রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চন্দ্রঘোনা-বান্দরবান সড়কের একাধিক স্থানে পিচঢালাই ওঠে ও দু’পাশ ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এছাড়াও চন্দ্রঘোনা-বান্দরবান সড়কের রাইখালী-বাঙ্গালহালিয়া-রাঙ্গুনিয়ার দশমাইল পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে বনজঙ্গল-লতাপাতায় ছেঁয়ে গেছে। সড়কের মোড় এলাকায় টার্নিং পয়েন্টে বনজঙ্গলের কারনে চালক দেখতে না পেয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বান্দরবান জেলা শহরসহ দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া, শিলক, কোদালা ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ এ সড়কে নিয়মিত যাতায়াত করেন। সড়ক সংস্কার কিংবা মেরামত করা না হলে যে কোন মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এমনই আশংকা করছেন এ সড়কের যাত্রী ও একাধিক চালকরা।
চন্দ্রঘোনা-বান্দরবান সড়কের রাইখালী, গোপালপুরা, কারিগড়পাড়া, বাঙ্গালহালিয়া পুলিশ ক্যাম্পের পূর্বে, রাঙ্গুনিয়া সুখবিলাস মুক্তিযোদ্ধা পার্কের সামনে ও দশমাইল এলাকায় সড়কের নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সিএনজি অটোরিক্সা চালক মো. আলমগীর বলেন, পাহাড়ি ঢলে নেমে আসা বৃষ্টির পানিতে সড়ক ভেঙে ছোট-বড় একাধিক খাদ সৃষ্টি হয়। সড়কের কোন কোন অংশে নিজ উদ্যোগে বালু ও মাটি দিয়ে কোনমতে যান চলাচল সচল রাখা হয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বান্দরবান-চন্দ্রঘোনা সড়কের শ্যামদত্ত তংচংগ্যা পাড়ার সম্মুখে পদুয়া সুখবিলাস মুক্তিযোদ্ধা পার্ক এলাকাটি। মুল সড়কের অধিকাংশ পিচ ঢালাই ধানী জমিতে চলে গেছে।
পদুয়া গ্রামের ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন বলেন, গত বর্ষা মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর বান্দরবান-চন্দ্রঘোনা সড়কের দু’পাশে শতশত স্থানে পাহাড়ের মাটি পড়ে ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেঙে মুল সড়কটি আকারে ছোট হয়ে আসে। সড়ক ও জনপখ বিভাগ (সওজ) ও প্রশাসনের সহযোগীতায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বুলডোজার দিয়ে যতটুকু সম্ভব মাটি সরিয়েছে। কিন্তু রাইখালী, কারিগড়পাড়াসহ কিছু কিছু এলাকায় সড়কে পড়ে থাকা পুরোপুরি মাটি সড়াতে পারেনি।
রাইখালী গ্রামের মংসুই মারমা বলেন, বান্দরবান-চন্দ্রঘোনা সড়কে রাইখালী কিছু কিছু এলাকায় পিচ ঢালাইয়ের কাজ চলছে। নোংরা বালি মিশ্রিত সিলেটি পাথরের সাথে কম সংখ্যক বিটুমিন দিয়ে রাস্তার মেরামত কাজ করা হচ্ছে। নিম্নমানের কাজ হওয়ায় সড়কটি টেকসই না হওয়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় এক ইউপি সদস্য বলেন, অতি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহিৃত করে অতি জরুরি ভিত্তিতে সড়ক মেরামত করা প্রয়োজন। তা না হলে রড় ধরেন দুর্ঘটনায় হতাহতের সম্ভাবনা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।