রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মাগুরার মহম্মদপুরের মধুমতি নদীর পানি গত এক সপ্তাহ ধরে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় মধুমতির ভাঙনের তীব্রতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। হারিয়ে যাচ্ছে মানচিত্র থেকে মহম্মাদপুরের মধুমতি নদীর একাংশ। জিও ব্যাগ ফেলেও রোধ হচ্ছে না এ ভাঙন। ভাঙনের মুখে রয়েছে মসজিদ, মন্দির, ঈদগাহ ও অসংখ্য দোকান-পাটসহ হাজার হাজার একর ফসলি জমি। এ পর্যন্তু উপজেলার ভাঙনকবলিত এলাকার প্রায় ১০ কিলোমিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
উপজেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে মহেষপুর, হরেকৃষ্ণপুর, ঝামা, আড়মাঝি, যশোবন্তপুর, কালিশংকরপুর, রায়পুর, মুরাইল, ধুপুড়িয়া, জাঙ্গালিয়া, গোপালনগর, রুইজানি, কাশিপুর, ধুলজুড়ি, ও ভোলানাথপুর গ্রাম। গত কদিনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে নদীপাড়ের অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়ি, গাছপালা ও ফসলি জমি।
ফলে নদী তীরবর্তী বসবাসকারী মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক। ভাঙনকবলিত এলাকা মানুষের দাবিতে মধুমতির ভয়াবহ ভাঙন রোধে মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ড, জরুরিভাবে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ সাপেক্ষে হরেকৃষ্ণপুর থেকে ঝামা প্রর্যন্তু ৩ শ মিটার এলকায় জিও ব্যাগ ফেললেও স্রোতের তীব্রতায় ভাঙনরোধ সম্ভব হচ্ছে না।
এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সর্বস্ব হারানো অসহায় নারী-পুরুষের আহাজারি। আর অনেকের কাঁচা-পাকা বাড়িঘরসহ প্রয়োজনীয় মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিতে।। বিক্রি করে দিচ্ছেন গাছপালা। চোখের সামনে ভিটেবাড়ি মধুমতিতে বিলীন হয়ে যেতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে। কদিনের অব্যাহত নদী ভাঙনে মানুষ অসহায় হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন তারা। খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে অনেকে।মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বহী প্রকৌশলী সরোয়ার হোসেন সুজন জানান, নদী ভাঙন রোধে আমরা কাশিপুর এলাকায় প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫০ মিটার বাধ নির্মাণ কাজ শেষ করেছি। ইতোমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে। নতুন করে বাধ নির্মাণ করতে আমরা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে। মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফুরর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।