পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোনোরূপ অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই বাংলাদেশের প্রায় ৪০ হাজার মনড্পে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব দুর্গাপূজা। শতকরা ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে নানারূপ উসকানি ও অপকৌশল সত্তে¡ও মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় শিক্ষার আলোকে এবং কোরআন-সুন্নাহর প্রেরণায় এমন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে চলেন। যার নজির পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত সকল ধর্ম জাতীয়তাবাদ ও আঞ্চলিকতা লালনকারী মানবজাতি নিজেদের জীবনে গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পারে।
এ থেকে অস্ট্রেলিয়ার উগ্র খ্রিষ্টানরা শিখতে পারে। আমেরিকার উগ্র সাদারা শিখতে পারে। ইউরোপের খ্রিষ্টান মৌলবাদীরা শিখতে পারে। ভারতের মুসলিমবিদ্বেষী নিরীহ মুসলমান হত্যাকারী ও নানা কৌশলে সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব মুছে দেয়ার অভিপ্রায় ব্যক্তকারী যে ঘৃণিত ক্ষুদ্র শক্তিটি গোটা ভারতের সম্মানহানি করছে, সে সন্ত্রাসবাদী শক্তিটিও শিক্ষা নিতে পারে। নগদ শত শত গণপিটুনির ঘটনা প্রতিবেশী দেশে ক’দিন আগে মাত্র ঘটছিল। এমনকি সম্প্রতিও ঘটছে। এ অবস্থায়, বাংলাদেশে দুর্গাপূজা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অধিক নিরাপদে, সহায়তায়, জাঁকজমকে পালিত হওয়া নিঃসন্দেহে শান্তির ধর্ম, সহাবস্থানের ধর্ম, মানবতার ধর্ম ইসলামেরই মহান সৌন্দর্য।
প্রধানমন্ত্রী দু’টি মন্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে গর্বভরে এদেশের সকল ধর্মের মানুষের নিজ নিজ ধর্ম শান্তিতে ও নিরাপত্তায় পালন করার যে পরিস্থিতি বিবৃত করেছেন, গভীর মূল্যায়নে নিঃসন্দেহে এর কৃতিত্ব ইসলামের সুমহান শিক্ষার দিকেই যাবে। যুগে যুগে ইসলাম প্রচারক আলেম-উলামা, পীর-মাশায়েখ, মসজিদের ইমাম-খতিব ও ধার্মিক মুসলমানরা গোটা জেনারেশনের মাইন্ডসেট এভাবে তৈরি করেছেন। এবারও আলেম ও ইমামগণ সম্প্রীতির কথা বলেছেন, সামাজিক ও মানবিক সদ্ভাবের কথা বলেছেন। পাশাপাশি এটাও বলেছেন যে, মুসলমানরা আল্লাহ ছাড়া আর কারও ইবাদত করে না। তারা মূতিপূজা করে না। সুতরাং আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত, মূর্তিপূজা, শিরক, শিরকমিশ্রিত সকল ধর্মীয় ও সংস্কৃতিগত আচার অনুষ্ঠান এবং শিরক থেকে সঞ্চারিত আনন্দ উৎসব ইত্যাদি কোনো মুসলমানের জন্য জায়েজ নয়। সম্পূর্ণ হারাম। এমন সূ² ভেদরেখা ও যুগপৎ ধর্মগত স্বাতন্ত্র্য ও নাগরিক ঐক্য বজায় রেখে চলার সুন্দর রীতি মুসলমানদের যেসব ধর্মীয় মুরব্বিগণ গড়ে তুলেছেন আল্লাহ তাদের সবার ওপর রহম করুন।
মিডিয়া বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, একটি মাত্র জায়গায় সরকারের দেয়া চাল মন্ডপে না দিয়ে তাদের আট-নয় হাজার টাকা ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। এ কাজটি যে জনপ্রতিনিধি করেছেন বলে অভিযোগ এসেছে, তিনি একজন মুসলিম। এখানে তিনি আমানত রক্ষা করা ও দুর্নীতি না করার যে শিক্ষা ইসলাম দিয়ে থাকে, তা পালন করেননি। তিনি হয়তো একটি রাজনৈতিক পরিচয় বহন করেন। জানা নেই, সে দলের আদর্শও কি তিনি অনুসরণ করেন? এখানে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক পরিচয় অর্থহীন। খারাপ মানুষ মানেই খারাপ। সব মন্ত্রীর বিশেষ তহবিল থেকে মন্ডপে মন্ডপে অনুদান দেওয়া হয়েছে। সব এমপি পূজা উপলক্ষে বড় বড় অংকের অনুদান দিয়েছেন। নিজ এলাকার বড় বড় মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন।
এক জায়গায় শত্রুতাবশত কিছু দুষ্ট লোক নিজেরাই প্রতিমা ভেঙে অন্যদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করে সফল হতে পারেনি, ধরা খেয়ে গেছে। দেশের একটি স্থানে সনাতন হিন্দু পূজারী ও ইসকনের অনুসারীদের মধ্যকার দলাদলিতে এক ব্যক্তির প্রাণহানি ও কয়েকজন আহতের খবর পাওয়া গেছে। খুলনার দিকে কয়েকটি মন্ডপে অতিরিক্ত মদপানের কারণে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫ জন মারা যান। প্রমাণ ও বস্তুনিষ্ঠতা পাওয়া এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব কঠিন। গুজবের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল, সিলেটের এক পুলিশ কর্মকর্তা পূজার মূল সময়ে আশপাশের মসজিদে মাইকে আজান দেয়া নিষেধ করে দিয়েছেন। খবর নিলে এর সত্যতা কেউই স্বীকার করতে রাজি হননি। আমরা ধরে নিয়েছি, এমন হয়ে থাকলেও কেউ যখন দায়িত্ব নিচ্ছেন না তখন এটি আর খতিয়ে দেখা সমীচীন নয়। তা ছাড়া, একটু আগেই বলেছি, খারাপ মানুষের কোনো বৈশিষ্ট্য বা পরিচয় থাকে না। তারা শুধুই খারাপ। পরিচয় দিলে রাজনৈতিক দলের প্রতি অবিচার হবে। ধর্মের প্রতি ইঙ্গিত হবে। বিষয়টি সাম্প্রদায়িকতা হবে। এসব উপেক্ষা করে আমরা ভালো কে ভালো বলব, মন্দকে মন্দ।
কিছু মানুষ মন থেকে কিছু জিনিস তৈরি করে আর সময় মতো তা ছড়িয়ে দিয়ে অশান্তি বাঁধাতে চায়। এসব খুব ধৈর্য ও প্রজ্ঞার সাথে মোকাবেলা করতে হয়। অতীতের মতো সারা দেশে পুলিশ একটি সুন্দর ব্যবস্থা প্রচলিত রেখেছে। পূজা যথাসম্ভব স্বাস্থ্যসম্মত শব্দ ও আইনসম্মত স্থানে সমাবেশের মধ্য দিয়ে পালিত হবে। নিকটস্থ মসজিদে আজান ও নামাজের জামাত চলার সময়গুলোতে মন্ডপের মাইক ঘরোয়াভাবে বাজবে, পাবলিকলি বাজবে না। এ শৃঙ্খলা সারা দেশে উত্তমরূপে সব পক্ষ মেনে চলেছেন বলে জানা গেছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর অবস্থা তৈরি হয়নি। নাগরিক ও সামাজিক মিল মিলাপ ও ঐতিহ্য বজায় থেকেছে।
তবে মুসলমানদের জন্য মূর্তিপূজা চিরতরে নিষিদ্ধ বলে তারা এ থেকে দূরে থেকে নিজেদের ঈমানের পরিচয় দিয়েছেন। ইসলাম যে পরিমাণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শিক্ষা মুসলমানদের দেয় এর কোনো তুলনা হয় না। মুসলমানের রাষ্ট্র অন্য ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা ও সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার জিম্মাদার। মুসলিম শাসকরা তাদের অমুসলিম নাগরিকদের পূজা-পার্বণের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন। ধর্মস্থান ও ধর্মীয় ব্যক্তিদের বিশেষ নিরাপত্তা দেবেন। তাছাড়া শতকরা ৯২ ভাগ মুসলমানের সংখ্যা হলেও বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি সবার। সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে পালন করবে, এটিই আমাদের সংবিধানের অঙ্গীকার।
সোস্যাল মিডিয়ায় কোনো একটি দৃশ্য অস্বাভাবিক দ্রুত ছড়িয়ে থাকে। তাই সবাইকে স্বাভাবিকত্ব বজায় রেখে কাজকর্ম করা কর্তব্য। একটি মন্ডপে দেখা গেছে, খুব জাঁকজমক ও আলোর খেলা। একটি পাঁচ-ছয় বছরের মাদরাসাপড়–য়া নিষ্পাপ শিশু, যার পরনে লম্বা জুব্বা ও মাথায় গোল টুপি। যেকোনো কারণে তাকে পূজামন্ডপে দেবীর সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। চারপাশে ফটোগ্রাফার রাখা হয়। তার কথাও রেকর্ড করা হয়। তার সাথে সাক্ষাৎকারের মতো কথা বলেন একজন টিভি সাংবাদিক। তিনি দেশের বেশ খ্যাতিমান নারী সংবাদকর্মী ও চেনা মুখ। নিজ ধর্মের এই পূজায় মুসলিম এ মাসুম বাচ্চাটির উপস্থিতি, তাকে প্রশ্নোত্তর, তাকে প্রসাদ খাওয়ানো ইত্যাদি ফটোসেশন, রেকর্ডিং ও একটি আরোপিত অনুষ্ঠান সাজানোর কী প্রয়োজন ছিল তা সোশ্যাল মিডিয়ার দর্শকরা বোঝেননি। নানা প্রশ্ন, মন্তব্য ও ধারণা গোটা বিষয়টিকে এমনভাবে ঘিরে ধরেছিল যে, দেশের সাধারণ মানুষও এ ঘেরাটোপ থেকে এই নারী সাংবাদিকের আচরণটিকে যুক্তিগ্রাহ্য করে সহজভাবে বুঝতে পারেননি। যদি ঘটনাক্রমে কোনো নাবালক সনাতন ধর্মীয় শিশুকে জুমার নামাজে নিয়ে মসজিদের মেহরাবে এভাবে প্রশ্নোত্তর, সাক্ষাৎকার, ফটোসেশন করা হতো, তাহলে এর প্রতিক্রিয়া মিডিয়ায়, বুদ্ধিজীবী মহলে, মানবাধিকার অঙ্গনে মনে হয় এত নীরব হতো না। এ নিয়ে বহু কথন-কাহন হতো। কিন্তু মুসলমানদের শিশু, অপ্রাপ্ত বয়স্ক, মানবাধিকার, ধর্মীয় বিষয়ে অযাচিত আচরণ, তেমন কোনো বিষয় নয়। এসব আলোচনাও সমর্থনযোগ্য নয়। সারা দেশে শান্তিপূর্ণ ও সম্প্রীতিসহ পূজা অনুষ্ঠিত হওয়ায় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী গর্ব করতে পেরেছেন। বলেছেন, এমনটি বাংলাদেশেই সম্ভব, সব ধর্মের লোকেরা নিশ্চিন্তে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে বলেই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ একই সুরে বলেছেন, দেশব্যাপী শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশে এত বিশাল একটি অনুষ্ঠান মূলত জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও গৃহীত নীতিরই বহিঃপ্রকাশ।
সারা দেশে পূজামন্ডপগুলোতে স্বাভাবিকভাবেই জনসমাগম বেশি হওয়ায় ট্রাফিকে চাপ বেশি ছিল। সব মানুষ মনখুলে এটি মেনে নিয়েছে। হাজার হাজার মুসলিম, আমলদার মুসলিম, নিয়মিত নামাজি র্যাব-পুলিশ ও সামাজিক কর্মীরা দিন-রাত পূজামন্ডপগুলো পাহারা দিয়েছেন। তাদের প্রায় সবাই অদল বদল করে সময়মতো গিয়ে নামাজ আদায় করে এসেছেন। অল্প সংখ্যক হিন্দু ধর্মাবলম্বী পুলিশ যেখানেই ছিলেন, তারা কেউ এ কথা ভাবারও সুযোগ পাননি যে, অন্যসব র্যাব-পুলিশ তাদের থেকে দায়িত্ব পালনে পিছিয়ে। আর তারা আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দায়ে পড়ে এসেছেন। কারণ, এমন মনে করার কোনো কারণ নেই, মুসলমানদের রাষ্ট্রই এভাবে নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব মুসলমান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়েছে। এ যেন সত্যিকার অর্থেই রাষ্ট্রের একতা ও ইসলাম ধর্মের শিক্ষার ফসল। সংখ্যায় কম বা বেশি যাই হোক, সকল ধর্মের মানুষের নাগরিক ও মানবিক অধিকার মুসলমানদের দেয়া কর্তব্য। এমন মনোভাব যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের মসজিদের ইমাম, আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ ও ধর্মপ্রাণ মুরব্বিরা প্রজন্মকে দিয়ে এসেছেন। এ সত্য ও বাস্তব বিষয়গুলো সবাইকে বুঝতে হবে।
নাগরিক, মানবিক ও সামাজিক সম্প্রীতি সঙ্গ সম্পর্ক বজায় রাখা সত্তে¡ও চিরদিনই মানুষ পরস্পরের ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম বিশ্বাস নীতি আদর্শ পছন্দ রুচি ও অভ্যাসকে শ্রদ্ধা করে থাকে। এতে জ্ঞানী লোকদের মাঝে কোনো দিনই দ্ব›দ্ব হয় না। সংস্কৃতিবান ভদ্রলোকের মধ্যে এসব নিয়ে কখনই বিরোধ বা শত্রুতা হয় না। দুই বন্ধু একসাথে সারাজীবন চলে, কিন্তু তাদের কাজকর্মে আকাশ-পাতাল তফাৎ থাকে। এরপরও শত্রুতা হয় না। যেমন ধরুন, একজন মদপান করে, অন্যজন করে না। একজন মাংশাসী, অপরজন ভেজিটেরিয়ান। একজন বহু নারী গমন করে, অন্যজন স্ত্রীর প্রতি পূর্ণ বিশ্বস্ত। একজন ক্যাসিনোতে যায়, প্রচুর জুয়া খেলে অপরজন জীবনে কোনো দিন জুয়ার ধারে-কাছেও যায় না। একজন চেইনস্মোকার বা ড্রাগ নেন, অন্যজন মাদক তো দূরের কথা, সিগারেটের ধোঁয়াটিও সহ্য করতে পারেন না। একজন দেশে-বিদেশে শুয়োর থেকে বানর, ইঁদুর, পোকামাকড়, ব্যাঙ, সাপ সবই খেতে অভ্যস্ত, অপরজন এক শুদ্ধ সুস্থ রুচিশীল নিপাট ভদ্রলোকের মতো ধর্মীয় দৃষ্টিতে হালাল, সামাজিকভাবে স্বীকৃত ও শারীরিকভাবে অভ্যস্ত খাওয়া-দাওয়া ছাড়া অন্য কিছু ভাবতেও পারেন না।
এমন দু’জন মানুষের নাগরিক ও মানবিক বন্ধুত্ব কি চলতে পারে না? কেবল নিজেদের পরস্পরের ধর্ম সমাজ সংস্কৃতি অভ্যাস ও রুচির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখলেই চলতে পারে। একে অপরের পছন্দকে, জীবনবোধকে, জীবনশৈলীকে সম্মান করতে পারলেই চলতে পারে। একে অপরের ওপর নিজের ধর্ম, সংস্কৃতি, রুচি, পছন্দ ও অভ্যাস জোর করে চাপিয়ে দিলেই হয় যত সমস্যা। একে অপরকে নিজ নীতি নিয়ম পালনে বাধ্য করলেই হয় যত অশান্তি। আমরা এ বাস্তবতাগুলো সবাই যদি বুঝতাম, তাহলে পৃথিবীতে জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের সহাবস্থান খুবই সহজ ও সাবলীল হতো।
‘সবার ওপর মানুষ সত্য তার ওপরে নাই’ কথাটি পরস্পরের সীমানায় প্রবেশ না করে, প্রত্যেককে তার নিজ বিশ্বাস, আদর্শ, বিধান, নীতি, সংস্কৃতি, রুচি ও পছন্দের সীমানায় স্বচ্ছন্দে বিচরণের সুযোগ দিতে জানলেই পৃথিবীটা শান্তির বাগানে পরিণত হতো। গায়ের জোরে কারও ধর্ম বা সংস্কৃতি কেউ দুমড়ে-মুচড়ে দিত না। কেবল ধর্ম বিশ্বাসের জন্য মানুষ ঘৃণা প্রচার করত না। কাউকে অসহায়ের মতো কেউ মেরে ফেলত না। পরম করুণাময় মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট প্রার্থনা করি, তিনি যেন সব মানুষকে সঠিক জ্ঞানটুকু দান করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।