পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ ছিলেন কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী। ক্লাসের ফার্স্টবয় ছিলেন তিনি। নিজে পড়তেন, ক্লাসের পড়া বুঝিয়ে দিতেন সহপাঠীদেরও। সেই স্মৃতি স্মরণ করে কাঁদলেন সহপাঠী ও তার সাবেক শিক্ষকরা। বুধবার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে জিলা স্কুল জামে মসজিদে আবরারের জন্য দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আবরারের সাবেক সহপাঠী ও শিক্ষকসহ শত শত মানুষ এ দোয়া মাহফিলে অংশ নেন।
সেখানে আবরারের এক সহপাঠী বলেন, আবরার আমার বন্ধু ছিল। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত তার সঙ্গে পড়েছি। আবরার এত ভালো ছাত্র ছিল যে, টিফিনের ফাঁকে আমাকে অংক করাতো। আমার মতো আরও অনেককে ক্লাসের পড়া বুঝিয়ে দিতো আবরার।
জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, জিলা স্কুলে দুই প্রকার ছেলে থাকে। কেউ কেউ ভদ্র, কেউ কেউ দুষ্টু, যাকে বলে চঞ্চল। আবরার ছিল ভদ্র ছেলেদের কাতারে সবার ওপরে।
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বলেন, সন্তান হারানোর বেদনা ভুলিয়ে দেয়া যায় না। তবে আল্লাহর ঘরে দাঁড়িয়ে কথা দিচ্ছি, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে যা প্রয়োজন সবই করা হবে। কোনো অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না।
স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল শেষে আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বুয়েট কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে যাদের দেখা গেছে তাদের অনেকেই মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। যার নেতৃত্বে টর্চার করে আবরারকে হত্যা করা হয়েছে তাকেই মামলার আসামি করা হয়নি। বাদ পড়াদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার জোর দারি জানাই আমি।
সরকারের পদক্ষেপে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জানেন স্বজন হারানোর ব্যথা। তিনি যদি সিসিটিভি ফুটেজ দেখেন তাহলে আমার বিশ্বাস আবরার হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া, যারা মামলার এজাহারে বাদ পড়েছেন তারা ধরা পড়বে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ তিনি যেন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাদ পড়াদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার পদক্ষেপ নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইফতেখারুল ইসলামসহ আবরারের সাবে সহপাঠী, শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ শিক্ষার্থী ও সুধীজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।