Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গণভবনে আবরারের বাবা-মা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০১৯, ৭:৩৩ পিএম | আপডেট : ৮:৫২ পিএম, ১৪ অক্টোবর, ২০১৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গণভবনে গেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নিহত শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাবা-মা।

সোমবার বিকেল ৫টার কিছু আগে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আসেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ও মা রোকেয়া বেগম। এছাড়া সেখানে আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজও আছেন।

প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ সময় দ্রুত সময়ের মধ্যে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার সাথে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দোষী যে দলেরই হোক না কেন তাদের ছাড় দেয়া হবে না। এসময়, তাদের সান্তনা দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন, সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফাহাদকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢামেক ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. মো. সোহেল মাহমুদ বলেন, বাঁশ বা স্টাম্প দিয়ে পেটানো হয়ে থাকতে পারে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে। এর ফলেই রক্তক্ষরণ বা পেইনের (ব্যথা) কারণে ফাহাদের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বলেন, ফাহাদের হাতে, পায়ে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। আঘাতের ধরন দেখে মনে হয়েছে ভোঁতা কোনো জিনিস যেমন- বাঁশ বা স্টাম্প দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তবে তার মাথায় কোনো আঘাত নেই। কপালে ছোট একটি কাটা চিহ্ন রয়েছে।

এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ।



 

Show all comments
  • সচেতন জনতা ১৪ অক্টোবর, ২০১৯, ৯:০৫ পিএম says : 0
    আপনি আবরারের মা * খুনিরা পাড়পাবেনা*
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৪ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:৪৮ পিএম says : 0
    প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ প্রশংসার দাবীদার। আমি প্রবাস থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানাই যুদ্ধকরে পাওয়া আমাদের কষ্টার্জিত লাল সবুজের সালাম। দুঃখের সাথে বলতে হয় দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ করে আমরা মুক্তিযোদ্ধা হয়েও আমাদের সৃষ্টি করা দেশ বাংলাদেশকে ছেড়ে প্রবাসী হয়েছি দেশের শাসনকর্তাদের কারনে। আজ যখন দেশে স্বাধীনতার সৃষ্টির দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এবং এর কান্ডারী যখন একজন দক্ষ কারিগর তারপরও এখন ইচ্ছা থাকার পরও স্থায়ী ভাবে দেশে আসতে চেয়েও বিফল হয়েছি দেশের শাসন ব্যাবস্থার কারনে। আজ আমারমত প্রচুর প্রবাসী শেষ বয়সে দেশে ফিরতে চেয়েও ফিরতে পারছেনা পরিবেশের কারনে এটাই সত্য। তবে নেত্রী হাসিনা যেভাবে দেশকে একটা পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে এতে করে মনে হয় তিনি আমাদের মনের ব্যাথা বুঝতে পেরেছেন এবং আমাদের পরবর্তীদেরকে দেশে ফেরারা সুযোগ করে দিচ্ছেন। আজ আবরার ফাহাদের মৃত্যুর জন্যে দায়ী কে?? অবশ্যই প্রশাসন... কারন এর আগে এই বুয়েটেই এক হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। তখন যদি সেই সরকার দোষীদেরকে বিচারের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্ত মূলক সাজা দিলে আজ এধরনের ঘটনা আমাদেরকে দেখতে হতোনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ব্যাবস্থা নিয়েছেন এটাই হচ্ছে রাষ্ট্রপ্রধানের করনীয় কাজ। এখন সঠিক ভাবে বিচার বিশ্লেষন করে এই মারপিটের উদ্দেশ্য বের করে বিচার করা হয় তাহলেই হবে প্রকৃত বিচার। কারন আমাদেরকে এটাও ভাবতে হবে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারাও মেধাবী ছাত্র কাজেই কি অবস্থায় কোন কারনে মারপিটের সৃষ্টি হয়েছে সেটা অবশ্যই বিচার্য বিষয়। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে একই ভাবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি নিষিধ্য করতে হবে এটাই আমাদের প্রবাসীদের দাবী। নেত্রী হাসিনার নেয়া প্রতিটি পদক্ষেপই হচ্ছে সঠিক পদক্ষেপ কাজেই আমরা প্রবাসীরা আশাবাদি বাদী/বিবাদী উভয় পক্ষই ন্যায় বিচার পাবে। নেত্রী হাসিনা এখন একজন আন্তর্জাতিক নেত্রী ওনাকে দেশী বিদেশী আইনের প্রতি নজর রেখে উভয় পক্ষকেই সমান চোখে দেখে ন্যায় বিচার করতে হবে। একপক্ষকে (বাদীপক্ষকে) কোনভাবেই খুশী করতে গিয়ে অপরপক্ষকে (আসামীপক্ষকে) সাজা দেয়া ঠিক হবে না। আবার একপক্ষকে (আসামীপক্ষকে) ছাড়া দিয়ে অন্যপক্ষের (বাদীপক্ষের) প্রতি অবিচার করা চলবেনা। আল্লাহ্‌ নেত্রী হাসিনাকে দীর্ঘায়ু দান করে দেশ ও দশের খেদমত করার সুযোগ দিন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আবরারের বাবা-মা

১৪ অক্টোবর, ২০১৯
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ