Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সতের দিনেও জৌকুড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়নি

রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

পদ্মায় প্রবল স্রোতের কারনে গত সতের দিন ধরে বন্ধ রয়েছে রাজবাড়ীর জৌকুড়া ও পাবনা জেলার নাজিরগঞ্জ নৌরুটের ফেরি পারাপার। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এই নৌরুটে চলাচলকারী হাজারো যাত্রীর।
রাজবাড়ীর সড়ক ও জনপথ বিভাগ কার্যালয় তথ্যমতে, হঠাৎ করে পদ্মায় পানি বৃদ্ধির ফলে রাজবাড়ীর জৌকুড়া ঘাটের পল্টুনটি তলিয়ে যায়। এছারাও তীব্র স্রোতের মোকাবেলা করে ফেরি চলাচল ব্যাঘাত হওয়ায় গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে জৌকুড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটের ফেরি চলাচল।

কার্যালয়টি আরো জানায়, এই নৌরুট দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে ২টি ফেরি, ২টি লঞ্চ ও ১০ থেকে ১২টি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। এই নৌযানগুলো দিয়ে প্রতিদিন, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, পাবনা ও সিরাজঞ্জ জেলার অন্তত ১৫ হাজার মানুষ ও যানবাহন পারাপার করা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজবাড়ী কার্যালয়ের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা নদীর পানি ৩ সেন্টিমিটার কমে এখনও বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সরেজমিনে গতকাল জৌকুড়া ঘাটে দেখা যায়, পল্টুনটির অর্ধেক পানির নিচে তলিয়ে আছে। পায়ে হেটে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে উঠার জন্য বালুর বস্তা ফেলে চলাচলের উপযোগি করেছে ঘাটের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে পার হচ্ছে মানুষ।
এদিকে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় জৌকুড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুট বন্ধ থাকায় এই রুটে যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। পাশাপাশি বন্ধ হয়ে গেছে ঘাটে থাকা অর্ধশত দোকান।

জৌকুড়া ঘাটের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোস্তাফিজুর রহমান শরিফের প্রতিনিধি মো. সোহেল রানা জানান, এই রুটে ফেরি পারাপার বন্ধ থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে। যাত্রীদের চলাচলের কথা বিবেচনা করে ট্রলারে পারাপার করা হচ্ছে। তবে কোনক্রমেই অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া হচ্ছে না। প্রতি এক ঘন্টা পরপর ট্রলার জৌকুড়া থেকে নাজিরগঞ্জ ছেড়ে যাচ্ছে।

জৌকুড়া নাজিরগঞ্জ নৌরুটের তত্ত¡বধানে থাকা রাজবাড়ীর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কেবিএম সাদ্দাম হোসেন বলেন, এই নৌরুটের চলাচলকারী দুটি ফেরিই বর্তমানে রেডি আছে। নদীতে স্রোত এতই বেশি যে ফেরি চালানো সম্ভব নয়। আমরা প্রতিদিন ঘাট এবং স্রোত দেখভাল করছি। স্রোত কমে গেলেই ফেরি চলাচল শুরু হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ