রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সিরাজগঞ্জ-ঈশ্বরদী রেলরুটে উল্লাপাড়ায় দু’টি সেতু চরম ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও এই রুটে ঢাকা-কোলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ও আন্তঃনগর ট্রেনসহ মালবাহী প্রায় ২০টি ট্রেন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ট্রেনগুলো সেতু ওঠার পরই ঝাঁকুনি দিয়ে কেঁপে ওঠে। ফলে একদিকে যেমন সিডিউল বিপর্যয় ঘটছে তেমনি সময়মতো যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পাচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্ত এ দু’টি সেতুর গাডারে ফাটল ধরায় লোহার এঙ্গেল কাঠের সিøপারের ঠেকনা (সিসি ক্লিক ) দিয়ে কোন রকমে ট্রেন চলাচল সচল রাখা হয়েছে।
এতে যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটে জান-মালের অনেক ক্ষতির আশংকা রয়েছে। প্রায় দুই মাস ধরে এ দুরাস্থায় ট্রেন চললেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন কার্যকরী ভ‚মিকা গ্রহন করা সম্ভব হয়নি। ফলে আতংকিত অবস্থায় চলছে ট্রেনগুলো আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।
ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলপথে উল্লাপাড়ার বংকিরাট ও মহিষাখোলা গ্রামের পাশে দুটি ক্ষতিগ্রস্ত রেল সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন ট্রেন। এর মধ্যে বংকিরাট গ্রামের পাশে ক্ষতিগ্রস্ত রেল সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন অতিক্রম করছে ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার বেগে। লোহার খাঁচায় ঠেক দেয়া সেতুতে ওঠার আগে একেবারেই থেমে যাচ্ছে ট্রেন। এরপর সেখানে দায়িত্বে থাকা রেলওয়ে ওয়েম্যানের সবুজ সংকেত দিলে সেতু পাড় হচ্ছে ট্রেন।
উল্লাপাড়া রেল স্টেশন সহকারী স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম জানান, লাহিড়ী মোহনপুর ও দিলপাশার স্টেশনের মাঝে অবস্থিত বংকিরাট গ্রামের পাশের সেতুটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া উল্লাপাড়া ও লাহিড়ী মোহনপুর স্টেশনের মাঝে মহিষাখোলা গ্রামের পাশের ক্ষতিগ্রস্ত রেল সেতুটিতে লোহার স্প্যান ও কাঠের সিøপার দিয়ে নিচ থেকে ঠেক (সিসি ক্লিক) দিয়ে কোনোমতে ট্রেন চলাচল করানো হচ্ছে। এই সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলছে। সেতুতে ট্রেন উঠলে সেতুটি কেঁপে উঠছে। যে কোনো মুহ‚র্তে এই সেতুতে ট্রেন চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে অনেকে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলপথটির সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত বৃটিশ আমলে নির্মিত হয়। ফলে উল্লিখিত রেলপথের ছোট-বড় সেতুগুলোর নির্মাণ বয়স প্রায় ১০০ বছরের ওপরে। উল্লাপাড়া ও ভাঙগুড়া উপজেলার রেলপথের অংশটি চলনবিল বেষ্টিত হওয়ায় প্রতি বছর বন্যার প্রবল ঢেউয়ের কারণে সেতু দুটির দুই পাশে গার্ডার দুর্বল হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এই রেলপথে ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেসসহ ১৪টি আন্তঃনগর এক্সপ্রেস, কয়েকটি মেইল ট্রেন ও অনেকগুলো মালগাড়ি চলাচল করে থাকে।
পাকশী রেলওয়ে বিভাগের বিভাগীয় রেলপথ ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আহসান উল্লাহ ভ‚ঁইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত সেতু দুটির উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চালানোর কথা স্বীকার করে বলেন, চলনবিলের ঢেউয়ের আঘাতে সেতু দুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেতু দুটির নিচে এখনও অনেক পানি। এই ট্রেন পথটি রাজধানীর সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র পথ। এই পথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে আপাতত ক্ষতিগ্রস্ত সেতুর নিচে অস্থায়ী সিসি ক্লিক নির্মাণ করা হয়েছে। পানি কমে গেলে ওই সেতুর পাশে বিকল্প ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু দুটি নতুন করে নির্মাণের ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে একটু সময়ের ব্যাপার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।