Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাবনায় পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ৩ সে.মি. উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে

জেলায় নদী ভাঙ্গনের তীব্র কবলে ১০টি ইউনিয়ন

পাবনা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০১৯, ৩:০৬ পিএম

উজানের ঢলে ভারতের ফারাক্কা ব্যারেজ দিয়ে হু হু করে দেশের পদ্মা নদীতে প্রবেশ করা পানির তোরে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েণ্টে 

সীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহি হতে থাকে। গত ২৪ ঘন্টায় পানি বিপদ সীমার সামান্য নিচে নেমে এসে ৩ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কে. এম. জহরুল হক আজ রবিবার এই তথ্য দিয়েছেন। তাঁর মতে , বর্তমানে পানি বিপদ সীমার উপরে রয়েছে। যদি উজানে বৃষ্টিপাত না হয় তাহলে পানি বিপদ সীমরি নিচে নেমে আসবে। পাবনা জেলায় পদ্মা নদীতে পানি ফুঁসে উঠায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত পদ্মার ৭টি শাখা নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়।

পানি বৃদ্ধির কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকা গুলোতে কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ।
অপরদিকে পানি নামার সাথে সাথে নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে জেলার ১০টি ইউনিয়ন। পাবনা সুজানগর এলাকাসহ জেলা নদীকূলের ১০টি ইউনিয়ন এখন তীব্র ভাঙনের সম্মুখীন । আর এই নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ বালির বস্তা ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পাবনা সদরের ভাড়ারা, হেমায়েপুর, দোগাছি ইউনিয়ন ও পাবনা সুজানগর উপজেলার ভায়না, সাতবাড়িয়া, নাজিরগঞ্জ, মানিকহাট, সাগরকান্দি ইউনিয়ন পদ্মার ভাঙ্গন মুখে পতিত হয়েছে। এই ভাঙ্গনের জন্য নদীর পানি বৃদ্ধি এবং অপিরকল্পিত ভাবে বালি উত্তলনের জন্য নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ।

কৃষকের ক্ষতির বিষয় নিয়ে কথা হয় পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজহার আলীর সাথে তিনি বলেন, এই পানি বৃদ্ধির কারণে পাবনা অঞ্চলের কৃষির ব্যপক ক্ষতি হয়েছে যার আর্থিক পরিমান আনুমানিক প্রায় ৭ কোটি । ১ হাজার ৭শত হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে আধাপাকা ইরিধান অনেক কৃষক ঘরে তুলতে পারেননি। কিছু পরিমান ধান কৃষক কাটতে পেরেছে যরি বেশীর ভাগ নষ্ট হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সকল উপজেলায় কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পানি নামার সাথে সাথে কৃষক যাতে আবার ফসল রোপণ করতে পারে সেই বিষয়ে তাদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। সরকারি ভাবে তাদের জন্য কোন সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হলে অবশ্যই তাদের কাছে সেগুলো খুব দ্রুত পৌঁছে দেয়া হবে।



 

Show all comments
  • ahammad ৬ অক্টোবর, ২০১৯, ৭:০৯ পিএম says : 0
    অসুবিদা নাই, আমরা ভাতে মারবো পানিতে মারবো তার পরও ছাহিবা মাএ আমাদের সকল আবদার রখ্খা করতে হবে। যদি গদিঠিক রখতে চান।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা পরিস্থিতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ