পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংবিধান লঙ্ঘন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সমুদ্র বন্দর, ফেনী নদীর পানি এবং জ্বালানী সঙ্কটময় বাংলাদেশের গ্যাস ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ভারত সফরের তৃতীয় দিনে শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিগুলোর খবর জেনে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। মনে হয়েছে এগুলো চুক্তি নয় যেন শেখ হাসিনা আরেকটি দাসখত দিলেন। এর মাধ্যমে মুলত: স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সমুদ্র বন্দর, ফেনী নদীর পানি এবং জ্বালানী সঙ্কটময় বাংলাদেশের গ্যাস হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও নিজেদের নিরাপত্তার কথা না ভেবে উপকূলীয় নজরদারির জন্য বাংলাদেশে রাডার স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তার বদলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পেয়েছেন ক্ষমতার মসনদে থাকার গ্যারান্টি আর ‘ঠাকুর শান্তি পুরস্কার’ । তবে বাংলাদেশের জনগণের বদনসিব, বিনিময়ে বাংলাদেশ কিছুই পায়নি।
রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সমুদ্র বন্দর, ফেনী নদীর পানি এবং জ্বালানী সঙ্কটময় দেশের গ্যাস ভারতের হাতে তুলে দেয়ার চুক্তি সুস্পষ্টভাবে সংবিধান পরিপন্থী অভিযোগ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, এটা বাংলাদেশ সংবিধানের ১৪৫ক অনুচ্ছেদের গুরুতর লংঘন। যা সংবিধানের ৭ক অনুচ্ছেদের অধীনে সংবিধান লংঘনজনিত রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধের শামিল। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪৫ক ধারায় বলা হয়েছে ‘বিদেশের সাথে সম্পাদিত সকল চুক্তি প্রেসিডেন্টের নিকট পেশ করা হইবে এবং প্রেসিডেন্ট তাহা সংসদে পেশ করিবার ব্যবস্থা করিবেন।’ কিন্তু সরকার অদ্যাবধি ভারতের সাথে কোন চুক্তিই সংসদে পেশ করেনি। এবং এইসব দেশবিরোধী চুক্তি প্রেসিডেন্ট জানেন কি না, সেটাও যেন জনগণের জানার কোন অধিকার নাই। কারন প্রেসিডেন্ট যদি এটা জানতেন, তাহলে তো তিনি সংবিধানের আলোকে তা সংসদে পেশের ব্যবস্থা করতেন।
এভাবে সম্পর্ক হয়না মন্তব্য করে রিজভী বলেন, আমরা আগেই বলেছিলাম প্রধানমন্ত্রী যতবার ভারত যান কেবল উজাড় করে দিয়ে আসেন। আনতে পারেন না কিছুই। এভাবে কী স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক হয়, না ভাই বোনের সম্পর্ক হয়? ফারাক্কার চালু অনুমতি দিয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পিতা। এখন কন্যা ফেনী নদীর পানি দিয়ে নিজেকে সার্থক প্রতিপন্ন করলেন। তিনি কেবল দিতেই যান ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘটা করে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের এই সরকারের নাকি পর্বতের শৃঙ্গের মতো সম্পর্ক। কিন্তু বারবার আমরা হতাশ হই। আমাদের সীমান্তে হত্যার সমস্যার সমাধান হয় না, আমাদের তিস্তার পানির সমস্যার সমাধান হয় না, বর্ষায় ফারাক্কার বাঁধ খুলে দিলে প্রবল বন্যার সৃষ্টি করা হয়, এখনও ভাসছে উত্তরাঞ্চল - এই সমস্যার সমাধান হয় না, বাণিজ্যের মধ্যে বিশাল ভারসাম্যহীনতা -সেটার সমাধান হয় না। এর আগে গত বছরের মে মাসে ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে গর্বভরে এই প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমরা ভারতকে যা যা দিয়েছি তারা তা সারা জীবন মনে রাখবে।’ আর এবারে জনগণকে পানিতে ও ভাতে মেরে প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহ ও প্রণোদনায় ফেনী নদীর পানি দান ইতিহাসে শেখ হাসিনার নাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি নিজ দেশের জনগণকে নিজ দেশের নদীর পানি থেকেও বঞ্চিত করলেন।
এই ফেনী নদীর পানির দামে কী ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতায় থাকাটা পাকাপোক্ত হলো প্রশ্ন করে বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ১২ বছরে যা যা দিলেন তারপর আর বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের কিছু অবশিষ্ট থাকল? আসলে এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে জনগণ ও দেশের স্বার্থের কথা চিন্তা করতো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাতো রাতের অন্ধকারে বিনা ভোটে ক্ষমতা দখল করেছেন। তাই জনগণের প্রয়োজন নেই। দেশ বিক্রি করে হলেও ক্ষমতা তার প্রয়োজন। তাই সব দেশের প্রধানমন্ত্রীই বিদেশ সফরে কিছু না কিছু আনতে যায়। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যান সবকিছু উজাড় করে দিয়ে আসতে! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বিশাল লটবহর -লোক লস্কর নিয়ে ভারতে গিয়ে সবকিছু দিয়ে আসার প্রেক্ষিতে কবিগুরু রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের একটি কবিতার চরন যেন মিলে যাচ্ছে:”যত চাও তত লও তরণী-পরে। আর আছে? আর নাই, দিয়েছি ভরে॥ এতকাল নদীকূলে যাহা লয়ে ছিনু ভুলে সকলি দিলাম তুলে থরে বিথরে এখন আমারে লহো করুণা ক'রে।
বিএনপি কারো সাথে শত্রুতা চায় না মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা কারো সঙ্গেই শত্রুতা চাইনা। সকলের সঙ্গে সমমর্যাদা ও সার্বভৌম সমতার ভিত্তিতে মিতালীই আমাদের পরম আরাধ্য। এই ভিত্তিতেই আমাদের স্বার্থ বজায় রেখে ন্যায্য প্রাপ্যটুকু শুধু বুঝে নিতে চাই। বন্ধুত্ব ও অধীনতামূলক মিত্রতার মধ্যেকার ফারাক যে আকাশ-পাতাল তা-কি আমাদের মনে থাকে?তিনি বলেন, বন্ধুত্ব হয় সমতার ভিত্তিতে লেনদেনের ওপর। কিছুই না পেয়ে শুধু একতরফা দিয়ে যাওয়াকে কি বন্ধুত্ব বলে? এটাতো একমুখি একতরফা প্রেম। নিজেদের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে চুক্তি করার চেয়ে কোনো চুক্তি না থাকাও যে ভালো, সেটাও আজ আমরা পুরোপুরি ভুলে বসে আছি।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, জাতীয় স্বার্থ বজায় রেখে ন্যায়সঙ্গত পাওনাটুকু বুঝে নেয়ার কথা বলার মতো দেশপ্রেম ও সাহস যাদের নেই, তারা কীভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারে? শেখ হাসিনা ভারত সফরে গেলেই দেশের জনগণ আতঙ্কে থাকে। কারণ সেখানে গেলে তিনি কি বলেন আর কি করেন ঠিক থাকেনা। আপনারা দেখেছেন সম্প্রতি হঠাৎ করেই ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়ে দেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থির করে তুলেছে। মানুষের নাভিশ্বাস দশা হয়েছে। অথচ, এমন একটি সিরিয়াস বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতে গিয়ে যেভাবে হাস্যরস করলেন, এতে দেশের জনগণ বিব্রত। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডক্টর মোমেন হয়তো বলবেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক স্বামী স্ত্রীর মত সুতরাং এমনটি হতেই পারে। পারস্পরিক স্বার্থ সমুন্নত রেখে বন্ধুত্বের সম্পর্ক হতে পারে কিন্তু রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক কেমন করে 'স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের সঙ্গে তুলনা সম্ভব, এটি জনগণের কাছে বোধগম্য নয়। বর্তমান মিডনাইট নির্বাচনের সরকারের উপহাসের পাত্র হলো জনগণ।
রিজভী বলেন, অন্ধকারের সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা বারবার তারস্বরে বলছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নাকি এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। অপ্রিয় সত্য হলো, সম্পর্ক আসলে এতটাই তথাকথিত উচ্চপর্যায়ে রয়েছে, নিচে যে দেশের ১৭ কোটি মানুষ রয়েছে, সেটা শাসকদের চোখে পড়ছেনা। তিস্তার পানি কোনদিকে গড়াচ্ছে সেটিও তাদের চোখে পড়ছেনা। এইজন্যই বলছি, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্ক থাকবে সমমর্যাদার ভিত্তিতে এবং অভিন্ন বিষয়গুলিতে ন্যায্য হিস্যা সমুন্নত রেখে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জনগণ ভারতের কাছে তিস্তার ন্যায্য হিস্যা বুঝে পেতে চায়। কিন্তু আপনারা দেখলেন, ফেনী নদীর ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহার করতে পারবে ভারত। ভারত এই পানি তারা ত্রিপুরা সাবরুম শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্পে ব্যবহার করবে। ভারতকে দেয়া হয়েছে, চট্টগ্রাম আর মংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ। এইসব চুক্তির বিস্তারিত কি জনগণের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে? জনগণকে কি জানতে দেয়া হয়েছে? এমনকি মধ্যরাতের ভোটে নির্বাচিতদের দিয়ে গঠিত সংসদেও আলোচনা হয়নি। ভারতের সঙ্গে এইসব চুক্তির বিনিময়ে কি পেলো বাংলাদেশ? আমরা দেখলাম, এসব চুক্তির বিপরীতে, আমাদেরকে ধরিয়ে দেয়া হলো একটি পদক আর জনগণের সামনে ঝুলিয়ে রাখা হলো মুলা। ভারত ভারতের স্বার্থ বুঝে নিচ্ছে আর ক্ষমতালোভী নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ সরকার বারবার নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিচ্ছে। এটা কেমন বন্ধুত্ব ? আমাদের স্পষ্ট কথা, এই আওয়ামীলীগ ও শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকলে কখনোই বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হবেনা। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য নিরাপদ নয়। তাই বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা আর দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন বৃহস্পতিবার ভারত সফরে যান তখন দেশের জনগন আশা করেছিলেন, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি, বাণিজ্য ভারসাম্য এবং সীমান্ত হত্যা সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু চুক্তিপত্র ও সমঝোতা গুলোতে এই প্রসঙ্গে কোন টু শব্দই আমরা দেখলাম না। এসব নিয়ে কোন কার্যকর আলোচনাই হলো না! দিল্লী বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তিস্তার পানি তো চাইতেই পারলেন না। বরং উল্টা ফেনী নদীর পানি দিয়ে আসলেন ভারতকে। ভারত শুস্ক মৌসুমে ফেনী নদী থেকে ১.৮২ কিউসেক ( প্রতি সেকেন্ড) পানি তুলে নিয়ে গেলে মরুভূমিতে পরিনত হবে ফেনী নদী অববাহিকা। যেমনি হচ্ছে তিস্তা এলাকা। আপনারা জানেন এখনো ৭০% এর উপরে দেশের মানুষ গ্যাস সংযোগ পাচ্ছেন না। সেখানে দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে গ্যাস পাঠানো হবে। আপনাদের স্মরণ আছে নিশ্চয়ই, গত বছরেরর ৭ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় শেখ হাসিনা বলেছিলেন,”বিদেশে গ্যাস রফতানি করতে রাজি হইনি বলে ২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। খালেদা জিয়া গ্যাস রফতানির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন।আমরা মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসার শিক্ষা পাইনি। আমরা দেশের সম্পদ বিদেশীদের দিয়ে জনগনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবো না।”-আজ প্রশ্ন কেন গ্যাস দিলেন? ক্ষমতায় থাকার জন্যই কী এ গ্যাস দেওয়া? এবার অস্বীকার করবেন কোনমুখে ?
অবিলম্বে ভারতের সাথে করা চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, যদিও বর্তমান সংসদে কার্যকর কোনো বিরোধী দল নেই। তারপরও ভারতের সাথে সম্পাদিত চুক্তিগুলো সংসদে পেশ করলে পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে দেশের জনগণ তার বিস্তারিত জানতে পারতো। ভারতের সাথে সরকার কি কি চুক্তি করছে তা জানার অধিকার বাংলাদেশের জনগণের অবশ্যই রয়েছে। এই অধিকার দেশের জনগণকে দেশের সংবিধানই দিয়েছে।রাষ্ট্র বিরোধী ও জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থী এইসব চুক্তি করে প্রধানমন্ত্রী তার সাংবিধানিক শপথ ভঙ্গ করেছেন। তিনি দেশের স্বার্থরক্ষায় তার কৃত শপথ ভঙ্গের প্রমান দিয়েছেন। নিজ দেশের স্বার্থের চাইতে বিদেশি রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার সাংবিধানিক সকল অধিকার হারিয়েছেন। তাই এ মুহুর্তে শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করছি। আমরা ফেনী নদীর পানিসহ সকল দেশবিরোধী চুক্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে চুক্তি বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।