কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ে (কুবি) বেশ কয়েকদিন ধরেই মিডটার্ম পরীক্ষার উত্তরপত্রের সঙ্কট রয়েছে। তাই বিভিন্ন বিভাগ থেকে প্রয়োজন মতো চাহিদা দিলেও প্রশাসন তাদের চাহিদা অনুযায়ী খাতা পেত না। গত ২৫ সেপ্টেম্বর মার্কেটিং বিভাগের একটি ব্যাচের মিডটার্ম পরীক্ষা নিতে যান বিভাগটির সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান। কিন্তু পরীক্ষা নেওয়ার সময় বিভাগে উত্তরপত্র না থাকায় পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা দোকান থেকে কাগজ কিনে পরীক্ষা দেয়। এছাড়া ওই দিনই মিডটার্মের উত্তরপত্র না থাকায় আইসিটি বিভাগের একটি ব্যাচের মিডটার্ম পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এই সঙ্কট নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার জের ধরে তাদের শোকজ দেওয়া হয়।

বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত চিঠিগুলোতে তারিখ ২ অক্টোবর উল্লেখ থাকলেও তাদের কাছে বৃহস্পতিবার ৩ অক্টোবর বিকালে চিঠি পৌঁছে দেয়া হয়। বিশ^বিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকার, আইসিটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. তোফায়েল আহমেদ ও মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসানের কাছে আলাদা আলাদা চিঠির মাধ্যমে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিগুলোতে স্ব স্ব ব্যক্তিদের প্রশাসন থেকে নির্দেশক্রমে জরুরি ভিত্তিতে কারণ লিখিতভাবে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়।

এ বিষয়ে মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বন্ধ না করে পরীক্ষা নেওয়ায় যদি অপরাধ হয় এবং এজন্য যে শোকজ দেওয়া হয়েছে সেটা খুবই হতাশাজনক। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বছরের শুরুতে যেখানে সরকার শিক্ষা উপকরণ পৌঁছে দেয় সেখানে কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ে নতুন অর্থ বছরের চার মাস পার হলেও পরীক্ষার উত্তরপত্র সঙ্কট এটাই তো একটা বিস্ময়। তিনি আরো বলেন, যেখানে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও রেজিস্ট্রার বলেছেন যে টেন্ডার জটিলতার কারণে উত্তরপত্র পর্যাপ্ত নেই সেখানে এই শোকজ কিসের ইঙ্গিত বহন করে?

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে পর্যাপ্ত খাতা থাকা সত্বেও তারা কেন দোকান থেকে ক্রয়কৃত কাগজে পরীক্ষা নিয়েছে এবং কেন একটি পরীক্ষা স্থগিত করেছে সেই কারণ জানার জন্যই তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এটা শোকজ নয়। ঘটনাটির জন্য মূলকারণ কী সেটা জানার জন্যই তাদের বরাবর এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।