পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ অঙ্গসংগঠন যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ও শ্রমিক লীগের মধ্যে ব্যাপক রদবদল আসছে। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে নতুনরা দায়িত্বে আসছেন। এই চারটি সংগঠনকে ঠেলে সাজাতে ইতোমধ্যে সম্মেলন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ২০-২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগেই আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী ও এক ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে সংগঠনগুলোর ঢাকা মহানগর শাখাগুলোরও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। দলীয় সূত্র মতে, আগামী ২ নভেম্বর কৃষক লীগ, ৯ নভেম্বর আওয়ামী যুবলীগ, ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ২৩ নভেম্বর জাতীয় শ্রমিক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে তা চূড়ান্ত করা হবে।
সূত্রমতে, গত বুধবার রাতে গণভবনে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে অনির্ধারিত বৈঠক করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বৈঠকে দলকে পরিশুদ্ধ করার তাগিদ দেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, দলে অনুপ্রবেশকারী, অপকর্মকারী, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজদের কারণে আমার দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীরা মার খাচ্ছে। এদের খুঁজে খুঁজে বের করে দিতে হবে। নেতাদের সতর্ক করে শেখ হাসিনা বলেন, কাউকে বাচানোর জন্য তদবির করতে আসবেন না। কোনো অস্ত্রবাজ-চাদাবাজকে শেল্টার দেবেন না। সবার আমলনামা আমার হাতে রয়েছে। সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের পাশাপাশি জেলা, মহানগর ও উপজেলা সম্মেলন চলবে। দলকে আরও জনপ্রিয় ও শক্তিশালী করতে দুর্নীতিবাজ, চাদাবাজ ও অপকর্মকারীদের ছেঁটে ফেলা হবে। একই সঙ্গে বের করে দেওয়া হবে বিএনপি-জামায়াত থেকে অনুপ্রবেশকারীদেরও। ২০-২১ ডিসেম্বরের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে ক্লিন ইমেজের পরীক্ষিত নেতারাই আসবেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।
জানা যায়, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের মধ্যে শক্তিশালী সংগঠন হচ্ছে যুবলীগ। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, তিন বছর পরপর যুবলীগের সম্মেলন হওয়ার কথা। সংগঠনটির সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছে ২০১২ সালের ১৪ জুলাই। ২০১২ সালের ১১ জুলাই মোল্লা মো. আবু কাওছারকে সভাপতি ও পঙ্কজ দেবনাথকে সাধারণ সম্পাদক করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সর্বশেষ কমিটি হয়। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন হয়। আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগ। ২০১২ সালে এ সংগঠনের সম্মেলন হয়। সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন শ্রমিক লীগের বর্তমান কমিটির মেয়াদ পেরিয়েছে অনেক আগে।
এছাড়া যুবলীগের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি হয়েছিল ২০১২ সালে। সেচ্ছাসেবক লীগের মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন হয় ২০০৬ সালের ৩১মে। এছাড়া কৃষক লীগ ও শ্রমিক লীগের মহানগর শাখার মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগে।
সূত্র জানায়, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ও শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ দুইজনের সবাই পরিবর্তন হচ্ছেন। এর মধ্যে একজন পদোন্নতি পেয়ে সংগঠনে থাকতে পারেন। তবে ঢাকা মহানগর শাখার সকল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পরিবর্তন হবে। তাদের স্থলে অভিজ্ঞ ও সাংগঠনিক নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে।
এদিকে বর্তমানে পদে আছেন এমন অনেক নেতার বিরুদ্ধে ক্যাসিনোতে জড়িত থাকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট পাঠিয়েছে গোয়েন্দারা। যুবলীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগের দুই মহানগরের নেতাদের নামে সরাসরি অভিযোগ রয়েছে। তাদের পদ না থাকার ব্যাপারে দলের নেতারা প্রায় নিশ্চিত। তাই এই দুই সংগঠনের ক্লিন ইমেজের নেতাদের দৌড়ঝাপ বেড়েছে।
এজন্য ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সম্মেলন করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সম্মেলন হবে। নেত্রীর সঙ্গে আলাপকালে যা বুঝেছি, তা হচ্ছে ক্লিন ইমেজ, উজ্জ্বল ভাবমূর্তি যার রয়েছে তারাই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কমিটিতে আসবেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, তিন সহযোগী ও এক ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাড়াও জেলা-উপজেলা ও মহানগরের সম্মেলন ধারাবাহিকভাবে চলবে। আগামী তিন মাস আমরা সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে চাই। দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা সে মোতাবেক কাজ শুরু করেছি।
যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্ধারণ করা সময়েই কংগ্রেস (সম্মেলন) করতে আমরা প্রস্তুত। সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, একটি সংগঠনকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে হয় সম্মেলনের মাধ্যমে। এবারের সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষিত, মেধাবী, সৎ ও জাতির পিতার আদর্শের তারুণ্য নেতৃত্বে প্রাধান্য পাবে বলে মনে করি।
কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সংগঠনের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা সাংগঠনিক কাজে বিদেশ সফরে আছেন। তিনি দেশে ফিরলেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। তার দিকনির্দেশনা নিয়েই আমরা সম্মেলনের প্রস্তুতি নেব। শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা গত বছর সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু করেছি। আগেই কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং করে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণের জন্য আওয়ামী লীগের কাছে চিঠি দিয়েছিলাম। দল যখনই সময় নির্ধারণ করেছে, তখনই সম্মেলন করব।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।