পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজ অনেকটা আতঙ্কজনক পণ্য। সরকারের নানা উদ্যোগেও কমাতে পারেনি পেঁয়াজের দাম। গতকালও পাইকারি এবং খুচরা বাজারে আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যটি।
পেঁয়াজের কেজি দুই-একদিনের মধ্যে ৬০-৭০ টাকায় চলে আসবে, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমন আশ্বাস দিলেও বাজারে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের কেজি এখনও ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর শ্যামবাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, মুগদা, ফকিরাপুল ও সেগুনবাগিচা অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
ভারত গত রোববার রফতানি বন্ধের পর পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে বেড়েছিল। গতকাল শ্যামবাজারে কেজিপ্রতি ২৫-৩০ টাকা কমে দেশি পেঁয়াজ ৭০-৭৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫-৭০ টাকা ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৬০ টাকায় বিক্রি হয়। ঢাকার কয়েকটি খুচরা বাজারে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১০০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের দিনের তুলনায় অবশ্য কেজিপ্রতি ১০ টাকার মতো কম।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, আস্তে আস্তে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ছে। মিসর ও তুরস্কের পেঁয়াজ এলে দাম আরও কিছুটা কমতে পারে। তবে তারা দাবি করেন, মিয়ানমার থেকে তড়িঘড়ি করে পেঁয়াজ আমদানি করা ঠিক হয়নি। কারণ, মিয়ানমানমার থেকে আনা প্রায় ২৫ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট।
প্রতিবেশী দেশ ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ায় গত সপ্তাহে হু হু করে বেড়ে যায় সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজের দামের নাগাল টেনে ধরতে মিয়ানমার থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ পরিস্থিতে গত বুধবার মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, মিয়ানমার থেকে ৪৮৩ টন পেঁয়াজ এসেছে। আরও ৪০০-৫০০ টন আজ আসবে। ফলে কাল বা পরশুর মধ্যে পেঁয়াজের দাম ৬০-৭০ টাকায় চলে আসবে। মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর দুই দিন চলে গেলেও পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকার ওপরেই রয়েছে। সেগুনবাগিচা ও ফকিরাপুল বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় ব্যবসায়ীরা দেশি পেঁয়াজের কেজি ১০০-১১০ টাকা বিক্রি করছেন।
পেঁয়াজের দামের বিষয়ে সেগুনবাগিচার খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, পাইকারি থেকে আমাদের বেশি দামে পেঁয়াজ কেনা, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। আমরা যদি কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারি, তাহলে অবশ্যই কম দামে বিক্রি করব। আজ-কালের মধ্যে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে এমন কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই।
এদিকে রফতানি বন্ধ ঘোষণার পর ভারতের মোহদিপুর স্থলবন্দরে আটকে পড়া পেঁয়াজ সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আসতে শুরু করেছে। ভারতের মোহদিপুরে দুর্গাপূজার সরকারি ছুটি শুরু হলেও বিশেষ ব্যবস্থায় পাঠানো হচ্ছে পেঁয়াজ। শুক্রবার দুপুর ১২টার পর থেকে ভারতীয় পেঁয়াজভর্তি ট্রাক আসা শুরু হয়। বিকেল ৩টা পর্যন্ত ভারতীয় ৫৫টি ট্রাক পেঁয়াজ নিয়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে। সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ জানান, আজ সারাদিনে ২০০ পেঁয়াজের ট্রাক পাঠাবে বলে ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণার পরপরই বন্ধ হয়ে যায় পেঁয়াজ আসা। এতে করে ভারতের মোহদিপুর স্থলবন্দরে কয়েকশ পেঁয়াজভর্তি ট্রাক আটকা পড়ে। কয়েকদিন অপেক্ষমান থাকার কারণে এসব পেঁয়াজে পচন ধরা শুরু হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার থেকে পেঁয়াজগুলো আসা শুরু হয়েছে।
এদিকে হিলি (দিনাজপুর) সংবাদদাতা জানান, পুরনো এলসি করা ৭০টি পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাকের মধ্যে ৫৭টি ট্রাক হিলি স্থলবন্দরেও প্রবেশ করেছে। ৪ দিন থেকে ওপারে পার্কিংএ আটকে থাকায় গরমে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। অধিকাংশ গাড়ি থেকে পানি পড়ছে। নানা জটিলতা শেষে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাকগুলো বন্দরে প্রবেশ করতে শুরু করে। বন্দর কতৃপক্ষ বলছেন ৫৭টি ট্রাকে ৯শ’ ৪৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে এসেছে। আমদানিকারক বাবলুর রহমান বলেন, আমদানিকৃত পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদেরকে। বন্দরে যে সকল পেঁয়াজ এসেছে তার মধ্যে অধিকাশ পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। পোর্ট থেকে পেঁয়াজ নিজ গুদামে নিয়ে গিয়ে বাছাই করে তার পর বিক্রি করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।