পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইলিশ মাছ দুর্গাপূজার উপহার হয়ে ভারত গেছে। কিন্তু দেশের সীমিত আয়ের অনেকের ভাগ্যে ইলিশ জুটছে না। রাজধানীর বাজারে সরবরাহ বেড়েছে ইলিশের। তবে দামও বেশি। যখন রুই মাছের কেজি ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ টাকা; তখন ৯শ গ্রাম বা এক কেজি সাইজের ইলিশের দাম গড়ে ৭শ থেকে ৯শ টাকা। আর ৫শ গ্রাম সাইজের প্রতিটির দাম পড়ছে ৫ থেকে ৬শ টাকা। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ি মাছের পাইকারী বাজারে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।
শনির আখরা থেকে পূজার জন্য ইলিশ কিনতে এসেছেন দীপালি-রনজিত দম্পতি। মাঝারি সাইজের দুটি ইলিশও কিনেছেন। এরপর আর দামে মেলাতে না পেরে ছুটছেন অন্য মাছের দিকে। সাধ্যের মধ্যে তাও মেলানো ভার। তাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হিসেব কষছেন দুজনই। জানতে চাইলে রনজিত কুমার বলেন, দেখেন বাজারে এত ইলিশ তবুও দাম ছাড়ছে না। দুটি ৫০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ কিনেছি ৬০০ টাকায়। ইলিমের দাম আকাশচুম্বী।
যাত্রাবাড়ী মাছের পাইকারী বাজারে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বাজারের অর্ধেক মাছই ইলিশ। প্রায় চার থেকে পাঁচ রকম সাইজের ইলিশ থরে থরে বরফে সাজানো রয়েছে। ২০০ টাকা কেজির ঝাটকা ইলিশ রয়েছে আবার ১০০০ টাকা কেজিরও রয়েছে। যার যেরকম দামের প্রয়োজন তিনি সেরকম দামের ইলিশ কিনছেন।
শনির আখড়া বাজারে কেজিতে ৫টি অথবা ৬টি ইলিশ হয়, এমন ইলিশ কিনেছেন সায়েদা বেগম। স্বামী বিদেশে থাকেন; তাই নিজে বাজার করেন। বললেন, মধ্যম সাইজের ইলিশ এখনো কিনতে পারছি না। বললেন, ছোট ইলিশ (ঝাটকা) কিনেছেন ২৫০ টাকা কেজি (৪টি) দরে। তিনি বলেন, ছোট ইলিশের তুলনায় বড় ইলিশের দাম অনেক বেশি। এতো ইলিশ তারপরও এক কেজি বা তার ওপরে ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৩০০ টাকা থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা।
যাত্রাবাড়ী সূর্যমুখী মাছের আড়তের ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলাম বলেন, এবার ইলিশের সরবরাহ বেশি থাকায় প্রতিদিন কয়েকশ টন ইলিশ শুধু যাত্রাবাড়ীতেই বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা থাকায় বিক্রিও হচ্ছে তাড়াতাড়ি। যাত্রাবাড়ীতে কত প্রকার ইলিশ মাছ বিক্রি হয় জানতে চাইলে পদ্মা মাছের আড়তের ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন বলেন, ভরা মৌসুমে দেশীয় ইলিশই বিক্রি করে দিশা পাই না। আর অন্য সময় বিদেশি ইলিশও বিক্রি হয়। মিয়ানমার, ওমান, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ান ইলিশ এর মধ্যে অন্যতম। আর ভরা মৌসুমে দেশীয় ইলিশের মধ্যে পদ্মা, চাঁদপুর, বরিশাল, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের ইলিশ বিক্রি হয়। পদ্মা ও চাঁদপুরের ইলিশের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তাই এ ইলিশের দামও অন্যান্য স্থানের চেয়ে একটু বেশি। তবে অনেকে বরিশালের ইলিশকে পদ্মার ইলিশ বলে চালিয়ে দেয়। মাছ কিনতে আসা রুহুল নামের একজন ক্রেতা বলেন, ইলিশের আমদানি বেশি হলেও এখনো ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসেনি। আমাদের মতো লোকজন ইলিশ কিনতে পারছে না। তাই অন্য মাছ কিনেছি। আরেকজন ক্রেতা বলেন, ইলিশ বেশি ধরা পড়ায় ভারতের রফতানি করা হচ্ছে। যার জন্য দাম বেড়েছে।
বাজারে ইলিশের দাম বেশি কেন জানতে চাইলে মেঘনা মাছের আড়তের ম্যানেজার দবিয়ার উদ্দিন বলেন, এমনিতেই শুক্রবার একটু দাম বেশি থাকে। তার ওপর পূজা। দুইএ মিলে ইলিশের দাম বেশি। তবে দু’একদিনের মধ্যে এই দাম থাকবে না। চাহিদা কমে যাবে তাই দামও কমবে।
অন্যদিকে, রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও সোয়ারি ঘাট এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রচুর পরিমাণে ইলিশ আসলেও দাম কমছে না। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।