Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মঠবাড়িয়ায় দেশি মাছ বিলুপ্তির পথে

আবদুল হালিম দুলাল, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

এক সময়ের দেশী মাছের ভান্ডার উপকূলীয় মঠবাড়িয়া উপজেলায় চলছে এখন দেশী মাছের অকাল। কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় অসাধু জেলেদের বিভিন্ন ধরণের ফাঁদ দিয়ে বেপরোয়াভাবে নিধন উৎসবে উপজেলার জলাশয় গুলো এখন দেশী মাছ বিলুপ্ত হওয়ার পথে। দেশী মাছের বিলুপ্তি ঠেকাতে মাছের অভয়াশ্রম করার দাবী জনসাধারণের।

উপকূলীয় মঠবাড়িয়া উপজেলায় মাকড়সার জালের মত ছড়িয়ে আছে অসংখ্য খাল। এ খাল গুলো এক সময়ে দেশী মাছের অভয়ারণ্য ছিল। নিত্য নতুন পদ্ধতিতে ফাঁদ দিয়ে মাছ নিধনের ফলে বিলুপ্ত হয়ে গেছে অনেক দেশী মাছ। শোল, গজার, কৈ, শিং, মাগুর, পুটি, পাবদা, টেংরা, বাইলা, টাকি, বাইন, বাশপাতা, রুই, কাতল, মৃগেল, ফলি, সর পুটি, বোয়াল, ভেটকি, দরগি, মলান্দি, চান্দাগুরা, ভেদী, বকথুরিনা, চিতল, উটকাল, নাপতা চিংড়ি, মলা, ভাটা, ফাইস্যা, বাতসী, চ্যালা, কালডি, কাটালি, মৌ কাটালি, গোদা চিংড়ি ইত্যাদি দেশী মাছে সমৃদ্ধ জলাশয় গুলো এখন মাছ শূন্য হওয়ার পথে। অনেক দেশী মাছের নাম এখন শুধু বইয়ের পাতা আর মৎস্য অফিসের তালিকায় আছে পানিতে নাই।

মা ইলিশ রক্ষায় অবরোধ এবং জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সময় বলেশ্বর নদ তীরবর্তী এলাকায় উপজেলা মৎস্য দপ্তরের সহায়তায় উপজেলা প্রশাসন কয়েকটি অভিযান চালিয়ে কিছু জাল পুড়িয়ে দায়িত্ব শেষ করে। এর বাইরে দেশী মাছ রক্ষায় প্রশাসনের আর কোন তৎপরতা সারা বছরে দেখা যায় না।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানায়, উপজেলার ৮০ হেক্টর খালে (৫টি খাল) মৎস্য অভয়াশ্রম করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। খাল গুলো হলো আমরাগাছিয়া-গুলবুনিয়া নতুন খাল (২২ হেক্টর), কালিকাবাড়ি খাল (১৫ হেক্টর), বেতমোর বেপারী বাড়ি খাল (১১ হেক্টর), সাপলেজা ভাইজোড়া হুজুরের বাড়ি বান্ধাঘাটা খাল (১৪ হেক্টর) এবং গুলিশাখালী হলতা মরা নদী (১৮ হেক্টর)।
একবছর পূর্বে অভয়াশ্রম করার প্রস্তাব পাঠানো হলেও কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অফিস সূত্রে জানাযায়। অভয়াশ্রমের তালিকায় ধানীসাফা, মিরুখালী ও দাউদখালী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি খাল যোগ করার দাবী সচেতন মহলের।
সরেজমিনে বাদুরা গ্রাম থেকে নাগ্রাভাঙ্গা সা’দ ঈমানী মোলা বাড়ি পর্যন্ত মাত্র দেড় কিলোমিটার খালে প্রায় ৫০টির মত বাঁধা, গড়া, ভেসনা, ও বুচনা জাল দেখা গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ