Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নৌযান ছাড়াই নদী ফায়ার স্টেশন!

মো: জাকির হোসেন, পটুয়াখালী থেকে | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

বঙ্গোপসাগরের কোলঘেসা নদী-মাত্রিক জেলা পটুয়াখালীর নৌপথকে সুরক্ষিত রাখতে পটুয়াখালী নদী-ফায়ার স্টেশন ভবন নির্মানের ৬ বছর পরও বরাদ্দ দেয়া হয়নি কোন নৌযানের। নদী ফায়ার স্টেশনের রয়েছে একটি ভবন, তার সামনে নদীর ঘাটে রয়েছে বিশাল জেটি,পন্টুন কিন্তু নেই কোন নৌযান ,এমনকি স্পীডবোটও।

২০১৩ সালের ২৫ সেপ্টম্বর ,৬ বছর আগে পটুয়াখালীর নদীপথকে সুরক্ষিত তথা নৌপথের বিভিন্ন দূর্ঘটনা থেকে জনসাধারনকে সুরক্ষিত রাখতে পটুয়াখালীতে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পাশাপাশি নদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চালু করা হয়।চলতি বছরে মার্চ মাসে নদী ফায়ার স্টেশনের সামনে নদীর ঘাটে একটি জেটি আসলেও তা এখনোও কাগজে কলমে গ্রহন করেননি পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।এদিকে এ স্টেশনের জন্য এখন পর্যন্ত কোন নৌযান সহ জনবলও বরাদ্দও পায়নি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

এছাড়াও নদী মাতৃক এ জেলায় প্রায়শই নৌ পথে বিভিন্ন ধরনের নৌ দূর্ঘটনা ঘটলেও নেই কোন ডুবরীর পদ।নদীমাতৃক এ জেলার নৌপথে সৃষ্ঠ দূর্ঘটনায় বরিশাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরীরা এসে উদ্ধার কাজ চালায়। ৮০ এর দশকের মাঝামাঝি পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে একটি নৌ এম্বুলেন্স বরাদ্দ দেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে তৎকালীন সময়ের একজন রাজনৈতিক নেতার ব্যাক্তিগত প্রমোদতরী হিসেবে ব্যবহ্্রত হওয়ায় সেটি কয়েক বছরের মধ্যেই বিকল হয়ে যায়। সে থেকেই এটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ফায়ার সার্ভিসের ঘাটে ।
পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীর ৮টি উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থাকলেও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাঙ্গাবালী উপজেলায় নেই কোন ফায়ার সার্ভিস স্টেশন।রাঙ্গাবালী উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জন্য জমি অধিগ্রহনের পক্রিয়া চলছে বলে দপ্তর সূত্র নিশ্চিত করেছে। পাশ্ববর্তী গলাচিপা উপজেলার স্টেশনটি নির্মানাধীন ,এদিকে দশমিনা উপজেলার স্টেশনটি এখনো রাজস্ব খাতে অর্ন্তভুক্ত হয়নি।এ ছাড়াও পর্যটন এলাকা কুয়াকাটায় জমি নির্বাচনের কাজ পক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।

এ দিকে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পুরাতন ভবনটি পরিত্যাক্ত হওয়ায় বেশ কয়েকবছর আগে তা ভেংঙ্গে ফেলা হয়।বর্তমানে নদী ফায়ার স্টেশন ও পুরাতন ভবনে এলাকায় সেড নির্মান করে জোড়া তালি দিয়ে ফায়র সার্ভিসের কাজ চালানো হচ্ছে। বর্তমানে গনপূর্ত বিভাগের তত্বাবধানে ৫ কোটি টাকার অধিক ব্যায়ে ৪ তলার একটি ভবনের কাজ শুরুর পথে রয়েছে।

পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পারিচালক মো: নজরুল ইসলাম জানান,উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পটুয়াখালী নদী ফায়ার স্টেশন পূর্নাঙ্গ চালু করতে প্রয়োজনীয় জলযান সহ অগ্নিনির্বাপন সরঞ্জমাদির চাহিদা পত্র প্রেরন করা হয়েছে,বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পূর্নাঙ্গরুপে চালু করার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন তারা, এ ছাড়ও তিনি আরো জানান, দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রা সহ পায়রা তাপ বিদ্যু কেন্দ্র এলাকার অগ্নি নির্বাপন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঐ এলাকায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মানেরও পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ