Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভাঙনে ভয়াল রূপ

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

দৌলতদিয়ার ভাঙনে বন্ধ ৩টি ঘাট
আটকে আছে শত শত যাত্রী ও পণ্যবাহী যান : কুষ্টিয়ায় শিশুর মৃত্যু
ভারত ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়া ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পদ্মা, মহানন্দা, গড়াই, মধুমতিসহ বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানি দৌলতদিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে আরও এক সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে বেড়েছে ১১ সেন্টিমিটার। রাজশাহীতে গতকাল সন্ধ্যায় এক সেন্টিমিটার বেড়ে উচ্চতা ছিল ১৮ দশমিক ১৯। মহানন্দায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপদসীমার শূন্য দশমিক ২২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, জানিয়েছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্লাবিত হচ্ছে বেশ কয়েকটি জেলার নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। কুষ্টিয়ায় বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যুর হয়েছে। পানি বৃদ্ধিতে তীব্র ঘূর্ণমান স্রোতের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া প্রান্তের ১ ও ২নং ফেরিঘাটের কার্যক্রম ও পাবনার সুজানগর নাজিরগঞ্জ-জৌকুড়া নৌ রুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। পদ্মায় তীব্র ও ঘূর্ণিস্রোতের কারণে ফেরি চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। স্রোতের কারণে ঘাটের পন্টুনে ফেরি ভেড়াতে চরম বিপাকে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, গত দু’দিনে অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে ভয়াল রূপ ধারণ করছে পদ্মাসহ বিভিন্ন নদ নদী। দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। রাজশাহীতে পদ্মা ও কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দুধকুমার নদের অব্যাহত ভাঙনে তিন শতাধিক বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। সব হারিয়ে বানের পানির সাথে চোখের পানিতে ভাসছেন ভিটা বাড়ি হারা মানুষগুলো। দৌলতদিয়ার ৬টি ঘাটের মধ্যে ভাঙনের কারনে বন্ধ রয়েছে ৩টি। ঘাট এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। আটকে আছে শত শত যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন। চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। পচনশীল পণ্য নিয়ে বিপাকে ট্রাক চালক ও ব্যবসায়ীরা।

বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট ক্রমেই তীব্র হয়ে উঠেছে। দূরবর্তী উচুঁ স্থানের টিউবওয়েল থেকে পানি এনে জীবন ধারণ করছেন বন্যা কবলিত মানুষজন। মাঠের ঘাস ডুবে যাওয়ায় গবাদি পশুর খাদ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি চরম অবনতি হওয়ায় ইতোমধ্যে দুর্গত এলাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হলেও বানভাসিদের আশ্রয়ের জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষ খোলা রাখা হয়েছে। হাজার হাজার হেক্টর ফসলের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। কৃষকরা জানিয়েছে বন্যায় শত কোটির টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে। ভেসে গেছে লাখ লাখ টাকার মৎস্য ঘের। আমাদের ব্যুরো, জেলা ও উপজেলা সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে বন্যা ও ভাঙনের এমন চিত্র ফুটে উঠেছে।

রাজশাহী : রাজশাহীর কাছে পদ্মায় পানি বাড়ার হার কমেছে। গতকাল সন্ধ্যায় এক সেন্টিমিটার বেড়ে উচ্চতা ছিল ১৮ দশমিক ১৯। বেশি পানি না বাড়লেও পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। নীচে নদীর বানের পানি আর উপরের বর্ষণ। দুই পানিতে বিপর্যস্ত মানুষ। বিশেষ করে বন্যায় যারা ঘরবাড়ি সব হারিয়ে কিংবা ছেড়ে এসে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন তারা পড়েছেন বেকায়দায়। সব হারিয়ে বানের পানির সাথে চোখের পানিতে ভাসছেন।
এদিকে আবহাওয়ার রয়েছে উল্টোপাল্টা আচরন। গতকাল ভোর বেলাটা ছিল গাঢ় কুয়াশায় মোড়া। আবার সকালে ছিল ঝলমলে রোদ্র। দুপুর বেলায় আকাশ কালো করে নামে ঝুম বৃষ্টি। নগরীর শ্রীরামপুর এলাকা শহররক্ষা মূল গ্রোয়েনে বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা অব্যাহত রয়েছে। এখানে পানির ¯্রােত বাধাপ্রাপ্ত হয়ে দূরে যাচ্ছে। বাঁধের পশ্চিমাংশে পুলিশ লাইনের সামনে ফেলা হচ্ছে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ। পঞ্চবটি আই বাঁধের নউপর দাড়িয়ে দেখা যায় উত্তর তীরের বস্তিগুলো ডুবেছে। নদীর ধারদিয়ে হাঁটার জন্য সিটি কর্পোরেশনের দৃষ্টিনন্দন ফুটপাত ডুবেছে। শহর রক্ষা বাঁধ আর নদী তীরের মাঝামাঝি বাস করা লক্ষাধিক মানুষ রয়েছে আতঙ্কে। এদিকে গতকাল সকালে শহররক্ষা বাঁধ পরিদর্শন ও রিভারভিউ স্কুলে আশ্রয় নেয়া বন্যার্তদের মধ্যে ত্রান বিুরণ করেছেন সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।

কুষ্টিয়া : দৌলতপূর উপজেলা, কুষ্টিয়া সদর ও কুমারখালীর বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যা কবলিত কয়েকটি ইউনিয়নে অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়ছে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। গত বুধবার বন্যার পানিতে ডুবে সোহাগ (৭) নামে এক শিশুর মৃত্য হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকাল ৫টার দিকে শিশু সোহাগ নতুন করে বন্যা কবলিত প্রাগপুর ইউনিয়নের ভাগজোত তালতলার তলিয়ে যাওয়া পানিতে ডুবে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন শিশুটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। সে ওই গ্রামের কৃষক ইকবাল হোসেনের ছেলে। দৌলতপুর উপজেলার প্লাবিু হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। উপজেলার রামকৃষ্ণপুর, চিলমারী, মরিচা ও ফিলিপনগর ইউনিয়নের সাথে প্রাগপুর ইউনিয়নসহ অর্ধশতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। তলিয়ে গেছে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল।
রাজবাড়ী : তীব্র স্রোতের কারনে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও দৌলতদিয়ার ৬টি ঘাটের মধ্যে ভাঙনের কারনে বন্ধ রয়েছে ৩টি। যে কারনে ঘাট এলাকায় দেখা দিয়েছে যানজটের। গতকাল বিকেলে সরেজমিনে দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্টে গিয়ে দেখাযায়, জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা খুলনা মহা সড়কের গোয়ালন্দ ফিড মিল পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এলাকায় দুই সাড়ি যাত্রিবাহি বাস পারের অপেক্ষায় বসে আছে। এছাড়াও গোয়ালন্দ ঘাট থেকে নয় কিলোমিটার পিছনে গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার জামাই পালের মাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় এক সাড়ি আটকে আছে পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান।
বিআইডব্লিটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, আমাদের যে ফেরি সচল আছে সেগুলো দিয়ে পার করা সম্ভব নয়। কারন নদীতে ¯্রােতের কারনে ছোট ফেরিগুলোকে টেনে কয়েক মাইল দুরে নিয়ে যাচ্ছে। বড় ফেরি ঘাটে আসতে সময় লাগছে ২ ঘন্টারও বেশি। তারপরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজবাড়ীর উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফ সরকার জানান, হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজবাড়ীর কয়েকটি পয়েন্টে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের।
পাবনা : পদ্মা নদীর প্রবল ¯্রােতের কারণে পাবনার সুজানগর নাজিরগঞ্জ-জৌকুড়া নৌ রুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই পথে পারপার হয়ে মানুষজন সহজেই দক্ষিণের রাজবাড়ী, পাংশা ফরিদপুরসহ দক্ষিণের এবং উত্তরের পাবনা সিরাজগঞ্জ , বগুড়া ,রংপুর এবং রাজধানীতেও আসা যাওয়া করে থাকেন। এখন অনেক পথ ঘুরে উত্তর ও দক্ষিণের জেলা সমূহে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ফেরি ও লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রবল ¯্রােত উপক্ষো করে স্যালো ইঞ্জিন চালিত নৌকায় পারপার হচ্ছেন।

এদিকে, পদ্মা নদীর পানি হার্ডঞ্জ ব্রিজ পেয়েন্টে আরও এক সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কে. এম জহরুল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পাবনায় বাঁধের বাইরে নি¤œাঞ্চল প্লাবিু হয়ে পড়েছে। ঈশ্বরদী ও পাবনা সদর উপজেলাসহ জেলায় প্রায় ১০০টি গ্রাম এখন বন্যা কবলে।
কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর উপজেলায় দুধকুমার নদ ক্রমেই আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নদীর ভাঙন। গত দুই সপ্তাহের অব্যাহত ভাঙনে উপজেলার পাইকেরছড়া , চরভূরুঙ্গামারী ও সোনাহাট ইউনিয়নের প্রায় দুই শতাধিক বাড়িঘর, গাছপালা এবং আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ইসলামপুর জামে মসজিদ ,কবরস্থান ও ঈদগাহ মাঠ। অপর দিগে সোনাহাট ইউনিয়নের দক্ষিন ভরতের ছড়া গ্রামে চৌধুরী বাজার সংযোগ পাকা রাস্তাটিও একই ভাবে ভেঙে গেছে। ইতোমধ্যে উপজেলার চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামটিতে যাওয়ার একমাত্র বাঁধটির অধিকাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

মানিকগঞ্জ : নদীতে পানি বৃদ্ধি এবং প্রবল ¯্রােতের কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ¯্রােতের বিপরীতে চলতে গিয়ে প্রতিদিনই দু’চারটি ফেরি বিকল হয়ে পড়ছে। তীব্র ¯্রােত, ফেরি বিকল এবং ঘাট বন্ধ থাকার কারণে বিগত কয়েকদিন ধরে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ফেরি সার্ভিসের অচলাবস্থা চলছে। ফলে দুই ঘাটে সৃষ্ট যানজট পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, পদ্মায় তীব্র ¯্রােতের বিপরীতে মাওয়া-চরজানাজাত নৌ-রুটে ডাম্প ফেরিগুলো চলাচল করতে পারছে না। ফলে ওই রুটের যানবাহনগুলো পাটুরিয়া -দৌলতদিয়া নৌ পথ ব্যাবহার করছে। এতে এ নৌরুটে যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে। যানবাহনের তুলনায় ফেরি কম হওয়ায় যানবাহন পারাপারে একটু সমস্যা হচ্ছে।

মধুখালী (ফরিদপুর) : ফরিদপুর ও মাগুরা জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত মধুমতি এবং গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধি ও উজানের পানি কারনে এবং দুই দিনের অতি বৃষ্টির ফলে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ১০ গ্রামের প্রায় ৩০ পরিবার নদী ভাঙনের মুখে এবং প্রায় ৩শ ৫০ টি পরিবার পানি বন্দী হয়ে অসহায় অবস্থায় জীবন
শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) : ফারাক্কা বাঁধের সবকটি গেট খুলে দেওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে বাড়ছে বন্যার আশঙ্কা। বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যাও। বন্যায় ১৩ হাজার পরিবার দুর্ভোগে পড়েছে। এছাড়া প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমির ফসল (মাসকলাই, শাকসবজি, হলুদ, কলা, কুল ও পেয়ারা বাগান) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে এসব জমির ফসল পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর সব মিলিয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৩৩ কোটি টাকা, ক্ষতিগ্রস্ত ২০ হাজার কৃষক।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম জানান, ‘পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পৌর এলাকার চরমোহনপুর, নামোশংকরবাটি ও বড়িপাড়া এলাকার নিম্নাঞ্চলে বসবাসরত বেশ কিছু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।’ পানি বাড়তে থাকায় গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের মহানন্দা নদী তীরর্বুী কাশিয়াবাড়ি, বাবুপুর এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।

লালপুর (নাটোর) : পদ্মা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে এতে নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া, লালপুর এবং ঈশ্বরদী এই ৩টি ইউনিয়নের পদ্মার চরের সকল জমির ফসল তলিয়ে গেছে, পানিবন্দি হয়ে পড়েছে চরে বসবাসকারী তিন হাজার পরিবার সহ উপরিভাগের কয়েক’শ পরিবার। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভাঙ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ