বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাদারীপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে আনন্দ মিছিল ও কেক কাটাকে কেন্দ্র করে সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০ সেপ্টম্বর সোমবার থেকে জেলা প্রশাসন কলেজ ক্যাম্পাসে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে আনন্দ মিছিল ও কেক কাটাকে কেন্দ্র করে শনিবার ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ পুলিশ সদস্যসহ ৪০ জন আহত হয়েছিল। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়। এছাড়াও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৭ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছে এবং আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনার পর থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে থম থম পরিবেশ বিরাজ করছিল। কলেজে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য রোববার সকালে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সৈয়দ সাদিক জাহিদুল ইসলাম সকল শিক্ষকদের নিয়ে মিটিং করে ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সকল শ্রেণির কার্যক্রম স্থগিত করেছে। তবে সরকারি ছুটি ব্যতীত অন্যান্য দিন ভর্তি কার্যক্রম, পাবলিক পরীক্ষা ও অফিসের সকল কর্যক্রম যথারীতি চলবে। কলেজ ক্যাম্পাসের পরিবেশ আরো শান্তিপূর্ণ করার জন্য ৩০ সেপ্টম্বর সোমবার থেকে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম কলেজ ক্যাম্পাশে ১৪৪ ধারা জারি করেন। কলেজের পরিবেশ স্বাভাবিক না পর্যন্ত এ আদেশ অব্যহত থাকবে।
সোহান, রাসেল, সরনাসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীলীগের দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনায় আজ শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে করে আমাদের মত সাধারণ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, ১৪৪ ধারা হল বাংলাদেশের ফৌজদারি কার্যবিধি একটি ধারা। এই আইনের ক্ষমতাবলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোন এলাকায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সভা-সমাবেশ করা, আগ্নেয়াস্ত্র বহনসহ যে কোন কাজ নিষিদ্ধ করতে পারেন। জরুরী অবস্থা বা সম্ভাব্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এই আইনের প্রয়োগ করা হয়।
সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সৈয়দ সাদিক জাহিদুল ইসলাম বলেন, কলেজ ক্যাম্পাসে শনিবার ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় রোববার আমি সকল শিক্ষকদের নিয়ে মিটিং করে সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে অনিবার্য কারণবশত সকল শ্রেণির কার্যক্রম স্থগিত করেছি। যাতে করে কলেজ ক্যাম্পসে পুনরায় কোন ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটে। তবে সরকারি ছুটি ব্যতীত অন্যান্য দিন ভর্তি কার্যক্রম, পাবলিক পরীক্ষা ও অফিসের সকল কর্যক্রম যথারীতি চলবে। ৩০ সেপ্টম্বর সোমবার থেকে জেলা প্রশাসক কলেজ ক্যাম্পাসে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের কারণে কলেজ ক্যাম্পসাসের পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল। সে কারণেই সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজ ক্যাম্পাসে যাতে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে এবং কোনরুপ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয় তার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছি। কলেজে শিক্ষা কার্যক্রমের পরিবেশ স্বাভাবিক হলেই আমরা ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নিব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।