রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্য দিবালোকে আ.লীগ ও যুবলীগের দুই নেতাকে পিটিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার এক বছর পুর্তী ১ অক্টোবর। খুনিদের ফাঁসির দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় সাইনবোর্ড-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কের দৈবজ্ঞহাটি বাজার এলাকার মহাসড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন ক্ষুব্ধ এলাকাবাসি।
২০১৮ সালের ১ অক্টোবর দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী দিহিদার (৪৫) ও ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি শুকুর শেখকে (৩৮) হত্যা করে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রসী। একই সাথে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দেয়া হয় আনছার আলীর স্ত্রী মঞ্জু খানমের এবং যুবলীগ কর্মী বাবুল শেখের।
মানববন্ধনে নিহত আনছার আলীর স্ত্রী পঙ্গু মঞ্জু খানম, পিতা নেছার আলী দিহিদার, মেয়ে ছাবরিনা আফরিন সুমি, ছেলে শাওন দিহিদার, নিহত শুকুর আলীর বড় ভাই ফারুক আহমেদ, ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি কিছলুর রহমন খোকন, মুক্তিযোদ্ধা ওয়াদুদ শেখ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পারুল আক্তার, যুবলীগ সভাপতি আকন হাবিবুর রহমানসহ শতশত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ অংশ গ্রহন করেন।
দলীয় কোন্দলের কারণে গেল বছর আ.লীগ দলীয় চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরের নেতৃত্বে এ জোড়া হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। ওই দিনই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল (ইউনিয়ন পরিষদ) থেকে শহিদুল ফকিরকে গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় থানায় হত্যা ও অস্ত্র আইনে পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। পৃথক ৩টি মামলা হয়। পুলিশ মামলার প্রধান আসামি চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।