Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাড়ছে দুর্ঘটনা চুরি-ডাকাতি ছিনতাই

নাঙ্গলকোটে যত্রতত্র স্পিডব্রেকার

সায়েম মাহবুব, নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) থেকে | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের সড়কগুলোতে যত্রতত্র স্পিডব্রেকার দেয়ায় যানবাহন চলাচলে বিপজ্জনক অবস্থা বিরাজ করছে। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। বাড়ছে চুরি-ডাকাতি ছিনতাই।
সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এক শ্রেণীর মানুষ উপজেলার প্রধান সড়কগুলোসহ ছোট-বড় সড়কগুলোর যত্রতত্র স্পিডব্রেকার দিয়ে থাকায় জনসাধারণের যাতায়াতে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে ছোট-বড় এবং গ্রামাঞ্চলের সড়কগুলোতে ব্যাপক হারে স্পিড ব্রেকার দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে হাট-বাজার, দোকান পাট, বাড়ি ঘরের সামনে যার যার ইচ্ছেমত স্পিড ব্রেকার দিয়ে রাখা হয়েছে। স্পিড ব্রেকারগুলো বিপজ্জনক হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা নির্মাণে বাধা বা অপসারণের ব্যবস্থা না নেয়ায় দিন দিন এর সংখ্যা বেড়ে চলছে। স্পিড ব্রেকারের কারণে দ্রæত গতিতে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। তাই এক ঘন্টার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগে দেড় থেকে দু’ঘন্টা। আবার কোথায়ও অপরাধজনিত ঘটনা ঘটলে আইনশৃংখলা বাহিনীর গাড়ি দ্রæত ঘটনার স্থলে পৌঁছাতে অনেক সময় লেগে যায়।

স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রকৌশলীর সাথে আলাপ কালে জানা যায়, সড়কে স্পিড ব্রেকার দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারি কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যদি কোথায়ও স্পিড ব্রেকার দেয়ার প্রয়োজন হয় তা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে করতে হয়। সে ক্ষেত্রে ব্রেকারগুলোতে সংকেত চিহৃ বা সিগনাল থাকাটা অত্যাবশ্যক। কিন্তু এ উপজেলায় আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে যার যার ইচ্ছেমতো যেখানে সেখানে স্পিড ব্রেকার দিয়ে রাখা হয়েছে। সড়কের মধ্যে বড় বড় স্পিড ব্রেকার দিয়ে রাখায় অনেক অসুস্থ রোগী, সন্তান সম্ভবা মা বোন, বৃদ্ধ বয়সীরা সড়কে চলাচল করতে অনেক কষ্ট ভোগ করতে হয়।

সিএনজি যাত্রী ইসমাইল হোসেন বলেন, এক কিলোমিটার পথ চলতে অন্তত ২০/২৫ টি স্পিড ব্রেকার অতিক্রম করতে হয়। যা অত্যান্ত বিরক্তিকর। সিএনজি চালক দাউদ হোসেন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন সড়কে শত শত স্পিড ব্রেকার দিয়ে রাখা হয়েছে। এতে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। এবং রাতে চলাচল করতে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইর কবলে পড়তে হয়। জনসাধারণ ও যানবাহনের চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে এবং দুর্ঘটনা রোধ করতে যত্রতত্র বসানো অপ্রয়োজনীয় স্পিডব্রেকার গুলো জরুরি ভিত্তিতে অপসারণ করা প্রয়োজন।
উপজেলা প্রকৌশলী উজ্জল চৌধুরী বলেন, স্পিড ব্রেকার দেয়ার বিষটি আমরা সমর্থন করিনা। তবে যেগুলো দেয়া হয়েছে সেগুলোর বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে কি ব্যবস্থা নেয়া যায় সেটি দেখব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ