Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ৪টি মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল

নাছিম উল আলম : | প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

দক্ষিণাঞ্চলের ৩ জেলায় প্রায় ১২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি মেডিকেল এ্যসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল-ম্যাটস নির্মিত হচ্ছে। এর ফলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে এ অঞ্চলে একটি বড় শূণ্যতা পুরণ হবে। বরিশাল, ভোলা ও ঝালকাঠীতে এসব ম্যাটস স্থাপিত হবে। ইতোমধ্যেই প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ভোলা ও ঝালকাঠী ম্যাটস-এর নির্মাণকাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর-এইচইডি। খুব শিগগিরই বরিশালের আগৈলঝাড়া এবং বাবুগঞ্জে অনুরূপ দুটি ম্যাটস-এর নির্মাণ কাজও শুরু হচ্ছে, জানিয়েছেন এইচইডি বরিশাল জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী রেজা খান।
একটি প্রকল্পের আওতায় সরকারের চুড়ান্ত অনুমোদনের পরে সম্পূর্ণ দেশীয় তহবিলে ৪টি ম্যাটস গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রতিবছর এসব ম্যাটস থেকে পাশ করা প্রায় ৪শ স্বাস্থ্য সহকারি স্বাস্থ্যসেবায় যোগ দেবে, আশা করছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়। দক্ষিণাঞ্চলে কোন মেডিকেল এ্যসিষ্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল নেই। অথচ স্বাস্থ্য সেবায় ম্যাটস থেকে পাশ করা ‘সাব-এ্যসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার-সেকমো’দের অবদান অসামান্য। ৮০’র দশকে পিরোজপুরে একমাত্র ম্যাটস প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৮২ সালের সামরিক সরকার তা বন্ধ করে দেয়।
তবে ২০০৬-০৭ সালে বরিশাল মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে একটি ‘হেলথ এ্যসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠিত হয়। হেলথ টেকনোলজির ওপর ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স চালু রয়েছে। তবে দেশীয় প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার এক যুগ পড়েও তা রাজস্ব খাতে স্থানান্তর হয়নি।
প্রস্তাবিত ৪টি ম্যাটস-এর জন্য ৩ একর করে ভূমি হুকুম দখল করা হয়েছে। এসব ম্যাটস-এ প্রতি বছর ১শ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। যার মধ্যে ৪০ জন ছাত্রী। ইতোমধ্যে ম্যাটস উত্তীর্ণ মেডিকেল ডিপ্লোমাধারিদের ২য় শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তার পদমর্যাদা প্রদান করা হয়েছে। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ম্যাটস উত্তীর্ণ ডিপ্লোমাধারি সেকমো’দের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতেও সেকমো’দের নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে, সূত্র জানিয়েছেন।
ভোলা ও ঝালকাঠীতে দু’টি ম্যাটস-এর নির্মাণকাজ ২০২১-এর জুনের মধ্যে শেষ করে ঐ বছর থেকেই ক্লাশ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।

 



 

Show all comments
  • মোঃগোলামরব্বানী ২৮ জুলাই, ২০২০, ৩:৩৪ পিএম says : 0
    আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, সাব এসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদবীর সংক্ষিপ্ত রুপ হলো এসএসিএমও। সেকমো নহে । আর দশম গ্রেড এখনো পাওনাই রয়ে গেছে৷ প্রতিবছর ডিএমএফ বের হলেও তাদের নিয়োগ বাস্তবায়ন হয় নি দীর্ঘদিন যাবত৷
    Total Reply(0) Reply
  • Md.Shamim Hossain ২৮ জুলাই, ২০২০, ৩:৩৮ পিএম says : 0
    আমি আপনাদের তথ্য কিছু ভুল দেখতে পেয়েছি!উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের এখনও দ্বিতীয় শ্রেণির ১০ম গ্রেডে উন্নতি হয়নি।তাছাড়া আপনারা স্বাস্থ্য সহকারী হিসাবে সম্মোধন করেছেন।এটা স্বাস্থ্যসহকারী না হয়ে চিকিৎসা সহকারী হবে।উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার Sub-Assistant community medical officer (S.A.C.M.O)সংক্ষিপ্ত ভাবে হবে।আশা করি আপনারা সকল সঠিক তথ্য সংবাদ উপস্থাপন করবেন।আমাদেরকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য আপনাদেরকে আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ডাঃমোঃশামীম হোসেন সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল প্রাইভেট প্রাক্টিশনার্স এসোসিয়েশন(বিডিএমপিপিএ)
    Total Reply(0) Reply
  • Mani Mohan Mistry ২৮ জুলাই, ২০২০, ৪:০৪ পিএম says : 0
    মেডিকেল এ্যসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল হল বেকার তৈরির কারখানা। সরকার কি কারনে ম্যাট্ স এর সংখ্যা বৃদ্ধি করিতেছে তা বোধগম্য নয়। হয়তো সার্থন্বেষী ঠিকাদারদের আর্থিক সুবিধা ও কর্মকর্তাদের ব্যাংক ব্যালেন্স বেশি করার জন্য। এখান থেকে পাশ করে বের হলে না পায় চাকুরি, না পায় সন্মান, প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে হলে হতে হয় হয়রানির শিকার।
    Total Reply(0) Reply
  • asadujjaman ২৮ জুলাই, ২০২০, ৬:৩৬ পিএম says : 0
    ভবিষ্যৎ এর যে আশা দেখলেন, এটা সত্যতা যাচাই এ একটু খোজ খবর নিয়ে প্রতিবেদন করলে জাতি উপকৃত হতো। ম্যাটস থেকে পাসকৃত স্টুডেন্ট দের বর্তমান অবস্থা এবং তাদের নিয়ে সঠিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি! এই বিষয় গুলা খুজে বের করুণ দয়া করে। কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে নন-মেডিকেল পার্সন রা চিকিৎসা দিয়ে থাকে।ধন্যবাদ
    Total Reply(0) Reply
  • Foysal ২৮ জুলাই, ২০২০, ৯:১৯ পিএম says : 0
    সরকারী ম্যাটস থেকে পাশ করেছি আর ৩বছর এখনো কোন সার্কুলার পাইনি। কি যে কষ্টে আছি। ৬০হাজারের বেশি চাকরিহীন আমার মতন। বেকারের কারখানা আরো ৪টা চালু হবে ঠিকাদারদের পকেট ভরবে।আর কি।
    Total Reply(0) Reply
  • Shohag ২৮ জুলাই, ২০২০, ৯:২৮ পিএম says : 0
    কর্মসংস্থানের ব্যাবস্তা না করে এগুলো খুলে লাভ কি? আলরেডি ৩০০০০(ত্রিশ হাজার) DMF বেকরা হয়ে বসে আছে আরো প্রতি বছর প্রায় ৬০০০ (ছয় হাজার)করে DMF বেকার হচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ