পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দুর্নীতি-মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান করেছেন, বিএনপি তখন তাদের গঠনতন্ত্রের ৭ম ধারা বাদ দিয়ে সমস্ত দুর্নীতিবাজদের তাদের দল করার সুযোগ করে দিয়েছে বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে আওয়ামী লীগের মরহুম নেতা এম এ মান্নান স্মরণে আয়োজিত সভায় তিনি একথা বলেন।
আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জি: মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, শিল্প মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু, সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান, আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউজ্জামান বদি প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আগে যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন অনিয়মকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্যে হাওয়া ভবন করে সমস্ত ব্যবসা থেকে টোল আদায় করতো, খোয়াব ভবন করে আমোদ ফূর্তি করতো। প্রধানমন্ত্রী আজকে দল-মতের ঊর্ধ্বে সমস্ত অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন, আর বিএনপি সাত নম্বর ধারা বাদ দিয়ে সমস্ত দুর্নীতিবাজদের দল করার সুযোগ করে দিয়েছে। এখানেই হচ্ছে তাদের সাথে আমাদের প্রার্থক্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি, অনিয়ম, মাদক এগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন, আর বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের সাত নম্বর ধারা বাদ দিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সাত নম্বর ধারায় ছিল, কেউ যদি দুর্নীতি গ্রস্ত হয় বা দুর্নীতির দায়ে শাস্তি প্রাপ্ত হয়, কারো বিরুদ্ধে যদি এই সমস্ত অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তিনি তাদের দলের কোনো পদেই থাকতে পারবে না। সেই সাত নম্বর ধারাটি বাদ দিয়ে বিএনপি সমস্ত দুর্নীতিবাজদের তাদের দল করার সুযোগ করে দিয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নেয়। আর বিএনপির কাছে রাজনীতি ব্রত নয়। তাদের কছে রাজনীতি হচ্ছে ক্ষমতা এবং ভোগ বিলাসের সোপান। আওয়ামী লীগ সৃষ্টি হয়েছে আন্দোলন, সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। আওয়ামী লীগে আজকের যারা জাতীয় নেতা, তাদের প্রত্যেকের পেছনে অনেক সংগ্রামের ইতিহাস আছে, জীবনকে মৃত্যুর মুখোমুখি করার অনেক ঘটনা আছে, যেটি বিএনপি নেতাদের নেই। বিএনপি গঠিত হয়েছে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে। রাস্তায় যখন খাবারের উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দেয়া হয়, তখন অনেক কাক জড়ো হয় এই খাবার নেবার জন্য। জিয়াউর রহমান আর ক্ষমতার উচ্ছিষ্টভুক কাকদের সমন্বয়ে বিএনপির জন্ম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের মধ্যে যে সমস্ত অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে, পরপর তিনবার ক্ষমতায় থাকার কারণে যারা আওয়ামী লীগের লেবাস পরে দলে অনুপ্রবেশ করেছিল, যাদের নৈতিক স্খলন ঘটেছে, তাদের বিরুদ্ধে তিনি জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন, তিনি ক্যাসিনো বন্ধ করছেন, মাদক বন্ধ করছেন, অনিয়ম বন্ধ করছেন’, বলেন ড. হাছান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।