বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশাল মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থার বিশৃঙ্খলার মধ্যে নগরীর প্রায় অর্ধেক এলাকা থেকে ইজিবাইকের চলাচল বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নগরবাসী। ইতোমধ্যে ইজিবাইক মালিক ও চালকরা মিছিল নিয়ে মেয়রের বাসার সামনে গিয়ে তাদের প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এখনো কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো না হলেও নগর ভবন থেকে যে ২ হাজার ৬৬০টি ইজিবাইকের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছিল, চলতি অর্থ বছরের জন্য তা নবায়ন করা হয়নি।
অপরদিকে ব্যাটারিচালিত রিকশার কোন লাইসেন্সই নেই। কিছু ব্যাটারি রিকশায় পুরনো প্যাডেল চালিত রিকশার লাইসেন্সের নম্বর প্লেট ব্যবহার করা হচ্ছে। অপরদিকে নগর ভবন থেকে ২ হাজার ৬৬০টি ইজিবাইকের লাইসেন্স প্রদান করা হলেও এ নগরীতে বিনা লইসেন্সের ব্যাটারি রিকশা চলছে আরো সহস্রাধিক।
নগরবাসীর অভিযোগ বিনা লাইসেন্সের ইজিবাইক ও ব্যাটারি চালিত অবৈধ রিকশা বন্ধ না করে যাত্রীবান্ধব ইজিবাইক বন্ধের সিদ্ধান্তটি নগরবাসীর দুর্ভোগ বৃদ্ধি করবে। এর আগেও নগরীর সদর রোড ও চকবাজার এলাকায় ইজিবাইক বন্ধ করা হয়েছিল। বর্তমান মেয়র গত বছর অক্টোবরে দায়িত্ব গ্রহণের পরে পুনরায় ইজিবাইক সদর রোডসহ নগরীর সর্বত্র চলাচলের অনুমতি প্রদান করে।
তখন কথা ছিল মাহেন্দ্রর মত বড় মাপের থ্রি-হুইলার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও রূপাতলী মিনি বাস টার্মিনাল থেকে নগরীর বাইরে চলাচল করবে। প্রথম দিকে বিষয়টি কার্যকর হলে নগরীতে যানজট ছিল না। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে আবার সেসব যানবাহন সীমিত আকারে নথুল্লাবাদ থেকে হাসপাতাল রোড-সদর রোড হয়ে স্টিমারঘাট পর্যন্ত চলাচল করতে শুরু করে। ফলে নগরীর সদর রোডের কাকলীর মোড়, গীর্জা মহল্লার মোড়ে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। উপরন্তু ব্যাটারিচালিত রিকশাও নগরীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
কিন্তু এসব যানবাহন বন্ধের বিষয়টি এড়িয়ে বিএমপির ট্রাফিক বিভাগ থেকে ইজিবাইক বন্ধের নতুন উদ্যোগকে নগরবাসী ট্রাফিক বিভাগের পুরনো রাস্তায় হাটার মানসিকতা বলে দাবি করছেন। নগরবাসীর অভিযোগ, ইজিবাইকে আসন, শব্দ কম ও ভাড়া কম হওয়ায় তাতে ভ্রমণে যাত্রীরা যেভাবে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন, গ্যাস চালিত গাড়িতে সে তুলনায় বিড়ম্বনা বেশি। গ্যাসচালিত থ্রি-হুইলারে গাদাগাদি করে বসতে বাধ্য করা হয় যাত্রীদের। ছোট ওই গাড়িতে শব্দ যেমন বেশি, তেমন ইঞ্জিনের গরমে শিশু ও অন্তসত্ত্বা মহিলা যাত্রীদের প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যঝুকি বাড়ছে।
ট্রাফিক পুলিশের নতুন এ সিদ্ধান্তে নগরীর সদর রোড, ফজলুল হক অ্যাভেনিউ, চকবাজার, ডিসি রোড এলাকায় ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশের কথাও বলা হচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ থেকে। তবে হাইকোর্টের সে আদেশের পরেও বর্তমান ও সাবেক নগর প্রশাসন ইজিবাইকের লাইসেন্স নবায়ন করে এসেছে কিভাবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তাদের যুক্তি ছিল হাইকোর্টের আদেশ ইজিবাইকের জন্য প্রযোজ্য নয়। এমনকি বর্তমান নগর প্রশাসন নগরীর সদর রোডে ইজিবাইক চলাচলে ইতোপূর্বের নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেয় গতবছর। যা এখনো বলবৎ আছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি আগামী সপ্তাহে বিআরটিএ এবং ট্রাফিক পুলিশের সাথে কথা বলবেন। হাইকোর্টের যে আদেশের কথা বলা হচ্ছে সেটিসহ এ ক্ষেত্রে কোন আইনি ব্যাখ্যা থাকলে তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।