পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় জামালপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (শৃঙ্খলা ও তদন্ত অনুবিভাগ) মো. মনির উদ্দিন শুক্রবার এ কথা জানান।
মো. মনির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ অনুযায়ী আহমেদ কবীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আহমেদ কবীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে মনির উদ্দিন বলেন, সাময়িক বরখাস্তের মাধ্যমে অভিযুক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়েছে। এরপর বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে অন্যান্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আগস্ট মাসে জেলা প্রশাসকের খাস কামরায় ওই অফিসের এক নারী কর্মচারীর সঙ্গে অনৈতিক অবস্থায় আহমেদ কবীরের একটি ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করা হয়। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে জেলা প্রশাসককে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি করা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গঠিত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার জামালপুরের সাবেক ডিসি আহমেদ কবীরকে সাময়িক বরখাস্ত করে আদেশ জারি করেছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন পদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ডিসির নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় সরকারের প্রশাসনযন্ত্রের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণœ হয়েছে। এটিকে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং সেটি দ্রুততার সঙ্গেই করা হচ্ছে। এর প্রমাণ হচ্ছে, ইতিপূর্বে প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে এত দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়নি। এবারই ব্যতিক্রম ঘটল।
প্রশাসনের কর্মকর্তারা মনে করছেন, জামালপুরের সাবেক ডিসি যে অপরাধ করেছেন, তাতে প্রশাসনের গায়ে কালি মেখে দিয়েছেন। তাই প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ কারণেই দ্রুত তদন্ত কমিটি করে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণেœর জন্য অভিযুক্ত ডিসিকে সর্বোচ্চ শাস্তিই ভোগ করতে হবে।
২২ আগস্ট জামালপুরের তৎকালীন ডিসি আহমেদ কবীর ও তার অফিস সহায়কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ আগস্ট ডিসিকে প্রত্যাহার করে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।