রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
যশোরের কেশবপুর উপজেলার জাহানপুর গ্রামের মহিলা তুলা চাষি নাছিমা খাতুন গত ১৪ বছর ধরে তুলা চাষ করে নিজের জীবনে পেয়েছেন সফালতা। তিনি এখন এলাকার অনেকের অনুপ্রেরনা।
সেই ২০০৫ সালের কথা, নাছিমা খাতুনের স্বামী আ. মালেক ছিলেন একজন আদর্শ তুলা চাষি। তিনি প্রতিবছর ৪বিঘা জমিতে তুলা চাষ করতেন। কিন্তু নির্মম এক হত্যাকা-ে নিহত হন আ. মালেক। ২০০৫ সালে আ. মালেক রাতে ফুটান্ত তুলা ক্ষেত পাহারায় ছিলেন। তুলা ক্ষেত পাহারা অবস্থায় দুর্বৃত্তের হাতে নির্মম ভাবে খুন হন আ. খালেক। এ সময় ২ মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে বিপাকে পড়েন নাছিমা খাতুন।
তুলা ক্ষেতে স্বামীর মৃত্যুর পর নাছিমা খাতুন পন করে ছিলেন, যে তুলার জন্য স্বামীর জীবন দিতে হয়ে ছিল সেই তুলাকে আকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে হবে। সেই থেকে শুরু করেন নব উদ্যামে তুলা চাষ। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তুলা বিক্রির টাকা দিয়ে তিনি ২ মেয়ে ও ছেলেকে ভালো ঘরে বিয়ে দিয়েছেন। তৈরি করেছেন পাকা বাড়ি। কিনেছেন ৫ বিঘা জমিও। গত বছরেও তিনি ৪ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করে আশানুরুপ ফলন পেয়েছেন। ৪ বিঘা জমিতে তিনি ৬০ মন বীজতুলা পান, যার বাজার মূল্য ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। খরচ বাদে নিট লাভ ছিল ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। তিনি এবছরও ৪বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছেন।
এ বিষয়ে কেশবপুর তুলা উন্নয়ন ইউনিট অফিসার শেখ কহিনুর ইসলাম জানান, বর্তমান ধানের মূল্য কম হওয়ায় কৃষক তুলা চাষে আগ্রহী। নাছিমা খাতুন কেশবপুরসহ এ অঞ্চলের একজন মডেল তুলা চাষি। তার এ সফালতা দেখে অনেকেই তুলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
তুলা উন্নয়ন অফিসের সহয়াতায় আগ্রহী কৃষকদের বীজ থেকে শুরু করে তুলা উৎপাদনের পর বিক্রি পর্যন্ত সমস্ত সহযোগীতা করা হয়ে থাকে। কেশবপুর উপজেলায় ১৬টি ব্লকে চলতি বছর তুলা চাষের লক্ষমাতা ছিল ১শ৭০হেক্টর জমি। অর্জিত হয়েছে ১শ ৬০ হেক্টর জমিতে।
যশোর জোনের প্রধান তুলা উন্নায়ন কর্মকর্তা মো. কুতুব উদ্দিন জানান, তুলা চাষে বীজ বপন থেকে তুলা বাড়িতে নিতে ৬ মাস সময় লাগে। এক বিঘা জমিতে ১৫ থেকে ২০ মন তুলা উৎপাদন হয়। যার বাজার মূল্য ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে খরচ হয় মাত্র ১০ হাজার টাকা। যা অন্য ফসলের চেয়ে এখন তুলায় লাভ বেশি। এ অঞ্চলে উফসি জাত ও রুপালি-১ হাইব্রিড জাতের তুলা চাষ হচ্ছে। কেশবপুর উপজেলায় ২০ টি প্রদর্শনী প্লট রয়েছে যে খানে বীজ, সার ও কিট নাশক দিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। নারী তুলা চাষি হিসেবে কেশবপুরের জাহানপুর গ্রামের নাছিমা এলাকার মডেল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।