Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পটিয়ায় এক পরিবারের ১০ জনই মাদক কারবারি

পটিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

পটিয়া পৌর সদরের বাহুলী ৭নং ওয়ার্ডস্থ থানার পাশেই কামাল হোসেন নামের এক ব্যক্তির পরিবারের ১০ জন সদস্য মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা একই বাসায় বসে দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় ৩টি মাদকের মামলা রয়েছে। প্রত্যেকে তারা মামলার আসামী। সর্বশেষ মামলাটি হয় গত ২৩ সেপ্টেম্বর। এদিন পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দীন ও এস. আই. এনামুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ কামাল হোসেনের ঘর তল−াশী চালিয়ে ২ কেজি গাজা উদ্ধার করে। এসময় কামাল হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন, মেয়ে সুমি ও রুমি আক্তার, ভাগিনা আবদুল আজিজকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে উক্তদিন মাদকদ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কামাল হোসেন নামের জনৈক ব্যক্তি পটিয়া থানার পাশে লাগায়ো বেরাইজ্জ্যা কলোনীতে ৮নং ওয়ার্ডের অধিবাসী লেঙ্গা সাইফুলের ভাড়া বাসায় অবস্থান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। সেখানে কামাল হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম, মেয়ে রুমি ও সুমি ছেলে নাজমুল ও বোন মিনু, ভাগিনা জীবন সরকার, আবদুল আজিজ, ভাগিনী নাহিদা আক্তার, ভগ্নিপতি সাগর সবাই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা উক্ত বাসায় মাদকের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। এরমধ্যে গত ২০১৮ সালে নভেম্বর মাসে ইয়াবা ও গাঁজা নিয়ে ধরা পড়ে কামাল হোসেন তার স্ত্রী ফাতেমা ছেলে নাজমুল ও মেয়ে রুমি আক্তার।

এ ব্যাপারে পটিয়া থানায় মাসে মামলা নং- ৩৫ দায়ের হয়। পরিবারের আরো ৩ জন ২০১৯ সালের জানুয়ারী মাসে সে ইয়াবা নিয়ে ধরা পড়ে। এতে তাদের বিরুদ্ধে আরেকটি মাদক মামলা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশ এদের মাঝে মধ্যে আটক করলেও অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও সহজে জামিন পাওয়ায় তারা মামলাকেও ভয় করে না। ২৩ সেপ্টেম্বর ৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতারের পর ২৪ সেপ্টেম্বর আদালত তাদের ২জনকে জামিন দেয়। ইয়াবা, মদ, গাঁজা বিক্রি করে পরিবারের সদস্যরা এখন কোটিপতি।
এব্যাপারে পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দীন জানান এসব মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ