পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারাদেশে লুটপাট চলছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক, শেয়ার বাজার, সাধারণ মানুষের পকেট কাটা, শেষ পর্যন্ত শুনলাম মশার ওষুধ চুরি করছে। ঢাকার রাস্তায় চলা যায় না, খালি উন্নয়ন আর উন্নয়ন। উন্নয়নে আপত্তি নাই, কিন্তু রাস্তার বদলে যদি পকেটের উন্নয়ন হয় তাতে আপত্তি আছে। টাকা যায় কোথায়? তা বের করতে হবে। একদিকে দেশের মানুষ না খেয়ে থাকে অন্যদিকে সিঙ্গাপুরের ম্যারিনা বে ক্লাবে গিয়ে উনারা ক্যাসিনো খেলেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ময়মনসিংহ নগরীর কৃষ্ণচূড়া চত্ত্বরে জেলা ও মহানগর আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। এর আগে নানান নাটকীয়তার পর বেলা ১১টায় সমাবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ। সমাবেশ শুরুর মাত্র আধা ঘণ্টা আগে প্রস্তুত করা হয় সমাবেশ মঞ্চ। মাত্র তিন ঘণ্টা আগে অনুমতি পেলেও সমাবেশ শুরুর আগে থেকেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় সমাবেশস্থল। হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে কৃষ্ণচূড়া চত্ত্বর পূর্ণ হয়ে তারা ছড়িয়ে পড়েন আশপাশের সড়কগুলোতে।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের দূর্ভাগ্য, আমরা দেশনেত্রীর সাথে দেখা করতে যেতাম। এখন আমাদের দেখা করতে দেয়া হয় না। আমরা দেখা করতে পারলে অন্তত: এই খবর দিতে পারতাম, দেশনেত্রী জেলে আছেন ভয়ের কিছু নাই। সারা বাংলাদেশের জনগণ আপনার সাথে আছে। যেখানেই বাধা আসছে সেখানেই জনগণ বাধা অতিক্রম করছে সেখানে সমাবেশ করছে। এখন থেকে যেখানে বাঁধা আসবে এখন থেকে সেখানে প্রতিরোধ হবে।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জঘন্য মিথ্যা কথা বলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তাদের লজ্জা নাই। হাছান মাহমুদসহ আরও কয়েকজন কালকে গ্রেফতার হলে বলা হবে তারা মির্জা আব্বাসের সাগরেদ ছিলেন। চোরে যখন ধরা পড়ে কিল খায়, তখন এর কথা ওর কথা বলে। তাদের ভালো করে কিল দিলে আসল কথা বলবে।
ময়মনসিংহ জেলা দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ এবং উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন তালুকদারের পরিচালনায় মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এড. ফজলুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, এমরান সালেহ প্রিন্স, শ্যামা ওবায়েদ, কেন্দ্রীয় নেতা ওয়ারেছ আলী মামুন, কামরুজ্জামান রতন, শামীমুর রহমান শামীম, আব্দুল বারী ড্যানি, আব্দুল্লাহ ফারুক, শামসুল আলম তোফা, ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, বেগম নূরজাহান ইয়াসমিন, এড. আরিফা জেসমিন, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহবুবুল হক রুবেল, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, কৃষক দলের সদস্য সচিব হাসান জারিফ তুহিন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, নূরুল ইসলাম নয়ন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।