দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
উত্তর: কোরআন মজিদের ১৮ নম্বর সূরার নাম ‘আল-কাহফ’। এর রূকু সংখ্যা ১১ এবং আয়াত ১১০ টি। সেটি মক্কা শরিফে অবর্তীণ হয়েছে, তাই তাকে ‘মক্কী সূরা’ বলা হয়। এই সূরায় কুরাইশদের তিনটি প্রশ্নোত্তরসহ হযরত মূসা আ. ও হযরত খিজির আ.-এর ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। সূরাটির অনেক ফজিলতও আছে। যেমন ইমাম মুসলিম (র) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে সে দজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে।” সূরাটির অন্যান্য ফজিলতের মধ্যে আজ শুধু জুম‘আর দিনে সূরাটি তেলাওয়াত করলে কী কী লাভ আজ কেবল তার কথা আলোচনা করা হবে।
দুই জুম‘আর মাঝের তার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে: ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, যে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যেই ব্যক্তি জুম‘আর দিনে সূরা কাহফ পাঠ কুরবে তার পায়ের নীচে থেকে আসমান পর্যন্ত নূর বুলন্দ হবে এবং কিয়ামত দিবসে তার জন্য উজ্জ্বল হবে আর দুই জুম‘আর মাঝের তার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (সূত্র: তাফসিরে ইবনে কাছির, খ. ৬, পৃ. ৩৯৮)
আপন স্থান থেকে বায়তুল্লাহ শরীফ পর্যন্ত নূর চমকাবে: ইমাম সায়ীদ ইবনে মনসূর (রা.) তার সুনান গ্রন্থে হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যেই ব্যক্তি জুম‘আর দিনে সূরা কাহফ পাঠ করবে, তার কাছ থেকে বায়তুল্লাহ শরীফ পর্যন্ত নূর চমকাবে। (প্রাগুক্ত)
দুই জুম‘আ পর্যন্ত নূর উজ্জ্বল করা হবে: হাকিম (র) তার মুস্তাদরাক গ্রন্থে আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে মুআম্মাল (র) হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। নবী কারীম (সা) বলেছেন, যেই ব্যক্তি জুম‘আর দিনে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে তার জন্য দুই জুম‘আ পর্যন্ত নূর উজ্জ্বল করা হবে। (প্রাগুক্ত)
কিয়ামতের দিন এর পাঠ তার জন্য নূর হবে: ইয়াহইয়া ইবনে কাছীর শু’বার (র)- এর সূত্রে আবু হাশেম থেকে তার সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, নবী কারীম (সা) ইরশাদ করেছেন, যেই ব্যক্তি সূরা কাহাফটি যেমন অবতীর্ণ হয়েছে তেমন তেলাওয়াত করবে, কিয়ামতের দিন তা তার জন্য নূর হবে। (প্রাগুক্ত)
অপর জুম‘আ পর্যন্ত সর্বপ্রকার বিপদ থেকে রক্ষা পাবে: হাফিয জিয়া মাকদেছী (র) তার মুখতার ‘গ্রন্থে’ হযরত আলী (রা)-এর একটি হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যেই ব্যক্তি জুম‘আর দিন সূরা কাহাফ পাঠ করবে সে আট দিন পর্যন্ত সর্বপ্রকার বিপদ থেকে রক্ষা পাবে। যদি দজ্জালের আবির্ভাব হয়, তবে তার বিপদ থেকেও রক্ষা পাবে। (প্রাগুক্ত)
যারা কোরআনের হাফিজ আমলটি তাদের জন্য খুব সহজতর। জুম’আর দিন যখন ইচ্ছা তখন তেলাওয়াত করতে পারেন, তবে আমরা যারা কোরআনের হাফিজ নই তাদের জন্য প্রথমে একজন আলেম ঠিক করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের জন্য অন্ততপক্ষে পাঁচটি সূরা সহিশুদ্ধ কওে নেয়া। যেটি একজন মুসলিমানের জন্য ফরজ। সেই সাথে দৈনন্দিনের আমলের বড়-ছোট সূরাসনমূহ শুদ্ধ করে নেয়া খুব জরুরি। যেমন- চারকুল, সূরা ইয়াসিন, ওয়াকিয়া আর মুলক ইত্যাদি। এবং সাপ্তাহিক সূরা ‘আল-কাহফ’ও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।