পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ সমগ্র দেশব্যাপী প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের মানুষের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ জামানতবিহীন ‘দারিদ্র্য মুক্তি’ নামে নতুন একটি ঋণ কর্মসূচী চালু করতে যাচ্ছে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড। গতকাল ধানমন্ডির পিলখানাস্থ ব্যাংকের বোর্ড রুমে এই কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নুল হক সিকদার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক পারভীন হক সিকদার, মোয়াজ্জেম হোসেন, রন হক সিকদার, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন ও মো. মাহাবুবুর রহমান খান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এফ এম শরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী মোশতাক আহমেদ ও মো. বদিউল আলম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম বুলবুল, আব্দুস সোবহান খান, শাহ্ সৈয়দ আব্দুল বারী ও মো. ফরিদ উদ্দিন আহাম্মেদ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠাকাল থেকে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুস্থ জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সহজশর্তে ও স্বল্প সুদে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড ব্যতিক্রমধর্মী একটি ঋণ কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে। এই কর্মসূচির নাম ‘দারিদ্র্য মুক্তি’। ব্যাংকের চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার বলেন, আমাদের প্রস্তাবিত ঋণ প্রকল্পটি সম্ভব সকল প্রকার ছাড় দিয়ে প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের কাছে সহজলভ্য করার চেষ্টা করেছি। ‘দারিদ্র্য মুক্তি’ ঋণ মূলত ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও পেশাজীবী, হস্তশিল্প, কুটির শিল্প এবং প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষকদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনয়ন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য চালু করা হয়েছে। এ সকল উদ্যোক্তা, পেশাজীবী ও কৃষক ন্যূনতম ১০ টাকায় হিসাব খুলে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। যেমন- কামার, কুমার, জেলে, দর্জি, ফুল বিক্রেতা, পত্রিকা বিক্রেতা, চা/পান বিক্রেতা, হকার/ফেরিওয়ালা, ফল/সবজি বিক্রেতা, রিক্সাচালক/ভ্যানচালক, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, হস্তশিল্প, তাঁতী, কনফেকশনারীসহ খাবার প্রস্তুতকারী উদ্যোক্তা, প্রান্তিক চাষী ও ব্যবসায়ীরা জামানতবিহীন ও সহজলভ্য এ ঋণ সুবিধার আওতাভুক্ত বলে বিবেচিত হবেন। ‘দারিদ্র্য মুক্তি’ ঋণটি সর্বোচ্চ ১৮ মাস মেয়াদী অথবা আবর্তনশীল। এ ঋণ সুবিধা গ্রাহক প্রতি সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা করে বার্ষিক ৫ শতাংশ সরল সুদে বিতরণ করা হবে। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এফ এম শরিফুল ইসলাম বলেন, এই ‘দারিদ্র্য মুক্তি’ নামক ঋণ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা তৃণমূল পর্যায়ে অবহেলিত, দুর্যোগগ্রস্ত দারিদ্র্য সীমার নিচে অবস্থানরত জনসাধারণকে ঋণ গ্রহণের আহŸান জানাচ্ছি, যাতে করে তারা কর্মক্ষম ও আয় উৎসারী কর্মকাÐে নিয়োজিত হয়ে তাদের জীবন-যাত্রার মান উন্নয়নপূর্বক দরিদ্রতা ও অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা থেকে মুক্তি পায় এবং দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে তারাও অবদান রাখতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।