Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভিক্ষা নয় কাজ করে খায় প্রতিবন্ধী শরীফ

নাটোর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

নাটোরের শহরতলীর কান্দিভিটুয়া এলাকার শারীরিক প্রতিবন্ধী মো. শরিফুল ইসলাম। বয়স ৩৫ বছর। ১ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের জনক। তার হাত ও পা অকেজা। চলাচল করতে হুইল চেয়ারের প্রয়োজন হয়। হাত পা অকেজো হওয়ার পরও অন্যান্য সাধারণ ভিক্ষুকদের মতো ভিক্ষাবৃত্তি না করে জীবন জীবিকার জন্য বেছে নিয়েছেন বাদাম বিক্রি। সে হুইল চেয়ারে বসে সারাদিন বাদাম বিক্রি করে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা আয় করে সংসার চালায়। নাটোর শহরের প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিতে গলিতে তাকে বাদাম বেঁচতে দেখা যায়। 

বাদাম বিক্রিতা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, ১০ বছর আগে তিনি নাটোরের নীচাবাজারে মাছের ব্যবসা করতেন। সেসময় বগুড়ায় মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সাথে এ্যাক্সিডেন্ট হয়ে তার মেরুদন্ডে গুরুতর আঘাত পাওয়ায় হাত-পা সবই অকেজা হয়ে যায়। ঢাকার পিজিতে চিকিৎসা শেষে নিজের অর্থব্যায়ে হুইল চেয়ার কিনেন। সেসময় কারোও কোন সাহায্য সহযোগীতা পাননি। মান সম্মানের বিষয় বিবেচনায় রেখে ভিক্ষাবৃত্তিতে নামতে পারেননি। তাই ৮ বছর হলো হুইল চেয়ারে বসে বাদাম বিক্রি করে যাচ্ছেন। তার ছেলে মেয়ে ২ জনই মছিরুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। বর্তমানে তার হুইল চেয়ারের ব্যাটারি বিকল হওয়ার পথে। ব্যাটারির চার্জ কম থাকার দরুণ বাদাম বিক্রি কম করতে পারেন, তাই আয়ও কম হয়। তার স্ত্রীকেও পরের বাড়িতে কাজ করতে দেন না। দারিদ্রতার মধ্যে কষ্ট করে হলেও এভাবে বাদাম বেঁচে তিনি সংসার চালান। ভিক্ষাবৃত্তিকে তিনি পছন্দ করেন না।
তার ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া ও বাদাম বিক্রির জন্য হুইল চেয়ারের ব্যাটারি কেনা আর প্লাস্টিকের পায়ের ব্যবস্থা করার জন্য সমাজের দানশীল হৃদয়বান উচ্চ বিত্তদের সমীপে আকুল আবেদন জানিয়েছেন মো. শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ, মোবাইল ০১৩০৯৪৭০৪১৩।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ