পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে অভিহিত করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে তাদের ৩০ থেকে ৪০ জন জঙ্গী সন্ত্রাসী নেতাকর্মী লাঠি, রড ও ইট নিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের উপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে। মোবাইল ছিনতাই করেছে। এই নারকীয় জঙ্গী হামলায় ছাত্রদলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। আমরা এই জঙ্গীবাদী সন্ত্রাসী হামলা'র তীব্রনিন্দা, ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাই। রিজভী বলেন, গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিনষ্টের মাধ্যমে একটি কর্তৃত্ববাদী পরিবেশ কায়েম করার জন্য ছাত্রলীগ এই হামলা চালাচ্ছে। তারা হামলা নির্যাতনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে। আর হলগুলোতে মিনি কনসেনট্রেশান ক্যাম্প তৈরি করে রেখেছে তারা। ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাত থেকে কেউ নিরাপদ নয়। তারা সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিনত করেছে প্রতিটি ক্যাম্পাসকে। সাংবাদিক, সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মীরা প্রতিনিয়ত হামলায় শিকার হচ্ছে। এসকল ঘৃণ্য সন্ত্রাসের দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কোনভাবেই এড়াতে পারেনা।
তিনি বলেন, গত একদশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের প্রায় প্রতিটি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ যেভাবে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে এতে স্পষ্টতঃই প্রতীয়মান হয়েছে, তারা রাজনৈতিক সংস্কৃতিও শেখেনি। একটি ভালো পারিবারিক মূল্যবোধেও বেড়ে উঠেছে বলে মনে হয়না। যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় থাকার জন্য ক্ষমতাসীন সরকার যেভাবে ছাত্রদেরকে প্রতিহিংসাপরায়ণ করে তুলছে এটি কারো জন্যই মঙ্গলজনক নয়। গতকাল তাদের হিংস্র আচরনে মনে হয়েছে তারা বদরুল লীগ, ছিনতাই লীগ, চাঁদাবাজলীগ, জঙ্গী লীগ, চাপাতিলীগ, হাতুড়িলীগ, দখললীগ, ইয়াবালীগ, টেন্ডারলীগ, ধর্ষকলীগের অচলায়তনে পতিত থেকে ছাত্রসমাজের কাছে পূতিগন্ধময় হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগের অনুসারী এই সংগঠনটির চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ধর্ষন, হত্যা, দখলের খবর বের হচ্ছে। তারা সন্ত্রাস করে আসছে। তাদের আচরন প্রমান করে ক্ষমতাসীন দলের হাইকমান্ড ছাত্রলীগের হাতে বই-খাতার বদলে অস্ত্র বন্দুক চাপাতি তুলে দিয়েছেন।
যার একটি নজির গতকাল দেখা গেল গনতন্ত্র চর্চার পীঠস্থান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সন্ত্রাস উগ্রতা কখনো রাজনীতির ভাষা হতে পারেনা, মনে রাখতে হবে এই ক্যাম্পাস প্রতিটি শিক্ষার্থীর, কোনো রাজনৈতিক দলের নিজস্ব সম্পত্তি না। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন কোনো সরকার বিরোধী ছাত্র সংগঠন নেই, যারা ছাত্রলীগের বর্বর হামলার শিকার হয়নি। একটি সফল কাউন্সিলে নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্রদল নতুন উদ্যোমে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাচ্ছে-যা ছাত্রলীগ সহ্য করতে পারছে না। কারণ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছাত্রসংগঠন ছাত্রদল। যখন ছাত্রদল সারাদেশের কাউন্সিরদের দ্বারা নির্বাচিত হয়েছে, তখন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ৮৬ কোটি টাকার চাদাবাজির খবর সারা দেশকে চমকিয়ে দিয়েছে। একদিকে ছাত্রদলের গণতন্ত্র চর্চার প্রশংসা আর অন্য দিকে ছাত্রলীগের চাদাবাজি-টেন্ডারবাজিতে দেশবাসীর কাছে যেভাবে হেয় হয়েছে সেটিকে ঢাকার জন্যই এখন তারা সন্ত্রাসীর পথ অবলম্বন করছে। ফলে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত ছাত্রদলকে তারা সহ্য করতে পারছে না।
রিজভী বলেন, কয়দিন আগে দুর্নীতি টেন্ডারবাজী চাঁদাবাজীর কারনে তাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বহিস্কার করেছে চাঁদাবাজলীগের সভাপতি -সাধারন সম্পাদককে। আমরা এই সন্ত্রাসী সংগঠন নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।একই সাথে দেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিত করার আহবান জানাচ্ছি।
আমরা বারবার গণতান্ত্রিক পথে হাটতে চেয়েছি কিন্তু সরকার নিজেরাও গণতন্ত্রের চর্চা করছেনা, আমাদেরকেও করতে দিচ্ছেনা। জাতীয়তাবাদী ছাত্র্রদলের সম্মেলন এবং নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ১৪ সেপ্টেম্বর। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সেভাবে প্রস্তুতিও নিয়েছিল। কিন্তু গত ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার অফিস টাইম শেষ হওয়ার পূর্বমুহূর্তে তড়িঘড়ি করে আদালতের রায়ের দোহাই দিয়ে ছাত্রদলের কাউন্সিলকে বানচাল করার জন্য ১২ জন সাবেক ছাত্র নেতার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার।
তিনি আরো বলেন, আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, ক্ষমতার অপব্যাবহার করে আদালত রায়ের রায়ের নামে এমনভাবে ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছা বাস্তবায়ন করলেন, যাতে ছাত্রদল আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার সুযোগ না পায়।এই রায়ের আসল উদ্দেশ্য ছিল যাতে ছাত্রদলের কাউন্সিলকে বানচাল করা।
একটি রাষ্ট্রে যখন ক্ষমতাসীনরা স্বৈরাচারী আচরণ করে, দুর্বৃত্তপরায়ণ হয়ে ওঠে, এমন পরিস্থিতিতে গণতন্ত্রকামী মানুষের শেষ আশ্রয় আদালত। কিন্তু জনগণ উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে, এখন আদালত যেন হয়ে উঠেছে ক্ষমতাসীনদের অশুভ ইচ্ছা বাস্তবায়নের হাতিয়ার। রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারেনা।
আপনারা জানেন, সারাদেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা কমপক্ষে ৩৬ লাখ। দেশে এতো লক্ষ মামলার স্তুপ রেখে ছাত্রদলের কাউন্সিল বন্ধ করা দূঢ়ভিসন্ধিমূলক। যে দেশের মানুষ বিচার চেয়েও পায়না, আর ছাত্রদলের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চার বিরুদ্ধে হুটহাট মামলার রায় বের করে নিয়ে আসতে একঘন্টা সময় লাগেনা।
রিজভী বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা দেখে মনে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ক্ষমতাসীন সরকারের পাশাপাশি আদালতও সরকারের বিশ্বাস্ত হাতিয়ার। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, জনগণ আশা করে আদালত হবে জনগণের শেষ আশ্রয়, ক্ষমতাসীনদের অস্ত্র নয়। আদালতকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, আদালতকে দলীয়করণের দিকে নিয়ে যাওয়া- দেশের জন্য ও জাতির জন্য শুভ কোনো কিছু বয়ে আনতে পারে না। ছাত্রলীগের কমিটি গঠন, শোকজ নোটিশ ছাড়া তাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বাদ দেয়া আবার দুই জনকে ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব প্রদান সব কিছু অবৈধ। অথচ আদালত এসব নিয়ে নিশ্চুপ।
আদালত যদি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন হতো তাহলে আরপিও ভঙ্গ এবং দস্যূবৃত্তিক কর্মকান্ড আমলে নিয়ে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্তি করে দিতো। আওয়ামীলীগ হাইকমান্ডকে শোকজ করতো। মিডনাইট ভোট ডাকাতি করার পর অবৈধ নির্বাচন ও ভূয়া সরকারকে বাতিল ঘোষণা করতো। শোভন-রাব্বানীর ৮৬ কোটি টাকার চাঁদাবাজীর ঘটনায় ব্যবস্থা নিতো। ৬০ ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে আদেশ দিতো। ব্যাংক ডাকাত, শেয়ার বাজার লুটেরাগণ আদালতের নজরে আসতো। বাংলাদেশকে ফোকলা করে এই সরকারের যারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতো। কিন্তু তা না করে আদালত পড়ে আছে বিএনপিকে নিয়ে।
তিনি বলেন, ছাত্রদল নিজেরা এখন পর্যন্ত যা কিছু করেছে, তার সবই আইনসম্মত। ছাত্রদল একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নেতৃত্ব নির্ধারণ করেছে। কাউন্সিলারদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত এই কমিটি। এটা রাতের আঁধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে নব্যবাকশালীদের ভোট ডাকাতি করে সরকার গঠনের মতো অবৈধ কিছু নয়। আইনের বিধানে, রাজনৈতিক দল বা তাদের কর্মকান্ড সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় আদালতের এখতিয়ারে পড়ে না, এমন একাধিক বার উচ্চ আদালতের রায় রয়েছে। আরপিও অনুসারে বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল, এই দল বা তার কোনো কর্মকর্তা বা কর্মকান্ডের উপরে সহকারী জজ আদালত বা নিম্ন আদালতের কোনো আদেশ জারী বা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার এখতিয়ার নাই। বিএনপি আরপিও ধারার বিধিবদ্ধতাও ন্যূনতম লংঘন করেনি।
রিজভী বলেন, ওয়ান ইলেভেনের তথাকথিত তত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে বিএনপির মহাসচিব পদ নিয়ে তারা কোর্টে গিয়েছিলো। কোর্ট ওই সময়ে পরিস্কার বলে দিয়েছিলো যে, কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না, সেই এখতিয়ার আদালতের থাকা উচিত নয়। এটা ছিল তখন আদালতের পর্যবেক্ষন। আমরা অতীতে কখনো দেখিনি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রমে আদালত যুক্ত হচ্ছে বা হস্তক্ষেপ করছে। এখন আদালতকে নগ্নভাবে ছাত্রদলকে ধ্বংস করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ এতই বিএনপিকে ভয় পায় যে একটা ছাত্রদলের কমিটি নিয়েও তাদের গায়ে জ্বালা ধরেছে। কে কমিটি করবে, কিভাবে কমিটি হলো এটা আদালতের বিষয় নয়। আদালতকে দিয়ে রাজনীতি নিয়ন্ত্রনের এই সংস্কৃতি দেশের জন্য ভয়াবহ পরিনতি ডেকে আনবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে যে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা লুটেপুটে ফোকলা করে দিয়েছে সে সম্পর্কে আপনারা অবগত আছেন। সরকার তথাকথিত উন্নয়নের কথা বলে নেতাদের উন্নয়ন, দূর্বৃত্তের উন্নয়ন, আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের উন্নয়ন, হাজার কোটির মালিকদের লুটপাটের উন্নয়নেই যে ব্যস্ত ছিল সেই সত্যগুলোই এখন প্রতিদিনই গণমাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের দলানুগত উপাচার্যরা লুটপাটের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। ক্ষুদ্র দপ্তরী হয়ে শত কোটির মালিক হয়েছে এদের আমলে। সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের সামিট গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ আজিজ খান। তার বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ৯১০ মিলিয়ন (৯১ কোটি ডলার) যা বাংলাদেশি অর্থে প্রায় ৭ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা।আপনারা জানেন এই আজিজ খান হলেন আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খানের সহোদর ভাই। খবর বেরিয়েছে, এই সাত হাজার কোটি টাকা থেকে, গত বছরেই তিনি দুই হাজার কোটি টাকা কামিয়েছেন কুইক রেন্টাল প্রকল্পের বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসিয়ে রেখে, মুফতে ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে। কুইক রেন্টাল প্রকল্পের উদ্যোক্তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে, অলস উৎপাদন ক্ষমতা থাকার কারণে ক্যাপাসিটি চার্জ পান। সামিট গ্রুপ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পিডিবির কাছ থেকে ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে দুই হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। ক্যাপাসিটি চার্জ হিসাবে দুই হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাওয়া একটা অবিশ্বাস্য লেভেলের লুটতরাজ। এভাবেই ক্ষমতাসীন দলের লোকজন বিদেশে টাকা পাচার করে দেশকে দেউলিয়া করে দিচ্ছে। আর জনগনের দৃষ্টি ভিন্নদিকে ফেরাতে লোক দেখানো অভিযান চালাচ্ছে সরকার। গত দুই দিনে অবৈধ অর্থ, দুর্নীতি -মাদক-জুয়া-ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান ফিকে হয়ে সরকারের আসল চেহারা বেরিয়ে এসেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।