পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতিতে বাংলাদেশ আজ বিপর্যপ্ত। শেয়ারবাজার, ব্যাংক, কয়লা, পাথর, পর্দা, বালিশ, টিন, বই, চা, চেয়ার, টেবিল সবকিছুতেই দুর্নীতি গিজগিজ করছে। ব্যাংকগুলো সব দেউলিয়া করে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতাদের ঘরে ঘরে এখন ব্যাংক, টাকশাল বানানো হয়েছে। গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা করেন।
রিজভী বলেন, সবাইকে অবাক করে হঠাৎ বিস্ময়কর অভিযানে আবিষ্কার হলো শত শত কোটি টাকা, ক্যাসিনো, মদ ও জুয়ার আসরের খবর। শত শত বছরের মসজিদের শহর ঢাকা এখন ক্যাসিনোর শহরে পরিণত হয়েছে। ডুবে গেছে লুটপাট, খুন, ধর্ষণ, মদ, জুয়া, ক্যাসিনো, চাঁদাবাজি, অনাচারে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজদের হরিলুটে গোটা দেশ ফাঁপা-ফোঁকলা হয়ে গেছে। ব্যাংকে টাকা না থাকায় এখন সরকারি, আধাসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তহবিলে হাত দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় একটি ইতিবাচক আলোচনায় থাকতে দুর্নীতি-অনাচারের বিরুদ্ধে আকস্মিক অভিযান আইওয়াশ কি না এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ লোক দেখানো এ অভিযানে অধরাই থেকে যাচ্ছেন মাদক ও দুর্নীতিবাজদের গডফাদাররা। কারণ, এবারের আওয়ামী আমলে সমগ্র বাংলাদেশ গডফাদারদের কব্জায়।
রিজভী বলেন, ব্যাংকগুলো সব দেউলিয়া করে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতাদের ঘরে ঘরে এখন ব্যাংক, টাকশাল বানানো হয়েছে। বিদেশে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করছে। পাচারের পর উদৃত্ত টাকা থেকে যাচ্ছে ঘরে। সরকারি দলের অঙ্গসংগঠনের চুনোপুঁটি নেতারা আঙুল ফুলে একেকটা বটগাছ হয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন যুবলীগের নেতারা ঢাকায় চালাচ্ছে ৬০টি ক্যাসিনো। যেখানে প্রতিরাতে শত শত কোটি টাকা উড়ছে জুয়ার টেবিলে।
রিজভী বলেন, সম্প‚র্ণ নিরাপরাধ খালেদা জিয়ার কারাবন্দিত্বের ৫৯২তম কালোদিবস পার হয়েছে। ২০ দিনপর গত শুক্রবার দেশনেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছিলেন তার স্বজনরা। তাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে পড়েছে যে, তাকে এখন আর চেনা যাচ্ছে না। কারাগারে যাওয়ার আগে তিনি যেমন ছিলেন এখন তেমন আর নেই। তার ওজন অনেক কমে যাওয়ায় শুকিয়ে গেছেন তিনি।
তিনি বলেন, অসুস্থতায় খালেদা জিয়া হাঁটাহাঁটি করতে পারেন না। বিছানা অথবা চেয়ারে বসে থাকতে হয়। এ কারণে ওষুধ খাওয়ার পরও তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসছে না। পায়ের ব্যথা কমেনি। কারাগারে গেলেন হেঁটে। অথচ এখন হাঁটতে পারছেন না। হুইল চেয়ারে করে তাকে এদিক-ওদিক নিতে হয়।
খালেদা জিয়া উঠে দাঁড়াতে পারছেন না উল্লেখ করে রিজভী বলেন, তিনি উঠে দাঁড়াতে পারেন না, তার সারাশরীরে ব্যথা। এমনকি হাত দিয়ে মুখে তুলে খেতেও পারে না। রাতে ঠিকভাবে ঘুমাতে পারেন না, তার দুই কাঁধ প্রায় ফ্রোজেন, হাতগুলো ফ্রোজেন হয়ে যাচ্ছে। অসুখটা এমন যেটা- ‘ইরিভারসেভেল ডিজিস’ যে ক্ষতিটা হবে তা আর কোনো চিকিৎসাতেই ফিরে আসবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।