পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে অবৈধ ক্যাসিনো বাণিজ্যের অভিযোগে গ্রেফতার ঢাকা মহানগর যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও জি কে গ্রুপের গোলাম কিবরিয়া শামীমের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছে এনবিআর। পাশাপাশি তাদের স্বজনদেরও ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে ব্যাংকগুলোতে চিঠি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। একই সঙ্গে ‘খেলনা সামগ্রী’ হিসেবে কোন আমদানিকারকরা ক্যাসিনোর যন্ত্রপাতি দেশে এনেছেন তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমদানি বিল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ক্যাসোনির যন্ত্রপাতি আমদানিকারকদের ধরা সম্ভব বলেও জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
অন্যদিকে মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় একশ’ অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর সহযোগী পুলিশ কর্মকর্তাদের তালিকা করছে একটি সংস্থা। মোটা অংকের চাঁদার ভাগ পাওয়া সেসব কর্মকর্তার একটি বড় অংশ ঢাকার বাইরে বদলি হলেও তদন্তে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে সংস্থাটি। একটি দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জুয়ার আসরের নিয়ন্ত্রণ ও টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা যেমন আতঙ্ক ও ভয়ের মধ্যে আছেন, তেমনি পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যও আতঙ্কে রয়েছেন। তারাও আশঙ্কা করছেন যেকোনো সময় তাদের নাম ফাঁস হয়ে যেতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, মহানগর পুলিশের সাবেক-বর্তমান কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে পুলিশের মাঠপর্যায়ের সদস্যরা কয়েক বছর ধরে ক্যাসিনো ও ক্লাবগুলোর জুয়ার আসর পাহারা দিতেও বাধ্য হয়েছেন। এ বিষয়টি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে আমলে নেয়া প্রয়োজন।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, রিমান্ডে খালেদ মাহমুদ, জি কে শামীম ও কৃষক লীগ নেতা শফিকুল আলম ফিরোজকে পৃথক পৃথক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের দেয়া তথ্য সমন্বয় করে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ক্যাসিনো, টেন্ডারবাজি, ব্যাংক হিসাব, মাদক ব্যবসা, রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশসহ তাদের নেটওয়ার্ক সম্পর্কে তথ্য দিচ্ছে রিমান্ডে থাকা আসামিরা।
জি কে শামীম-খালেদের ব্যাংক হিসাব জব্দ
ঢাকার ক্লাবগুলোর ক্যাসিনোতে ব্যবহৃত টাকার উৎসের সন্ধানে নেমেছেন আর্থিক গোয়েন্দারা। এরই মধ্যে দেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা- বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কাজ শুরু করেছে। ঢাকার ক্যাসিনোগুলোর সঙ্গে জড়িতদের সবার আর্থিক খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী সংস্থাটি প্রয়োজনীয় সহযোগিতাও দিচ্ছে। ক্যাসিনোগুলোয় ব্যবহৃত টাকার উৎস খোঁজা একটি চলমান বিষয় বলেও গোয়েন্দারা জানান। সূত্র মতে, মানিলন্ডারিং ও অর্থপাচার ঠেকাতে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে বিএফআইইউ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়া সব ব্যাক্তির নামে থাকা ব্যাংক হিসাব নজরদারিতে রাখতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের নিকটাত্মীয়দের নামে অ্যাকাউন্ট থাকলে তারও খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। তাদের নামে কী পরিমাণ অর্থ ব্যাংকগুলোয় আছে, তাও জানার চেষ্টা চলছে। এদিকে, র্যাবের হাতে গ্রেফতার যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
একটি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী এই প্রসঙ্গে বলেন, গত রোববার আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি পেয়েছি। চিঠিতে বলা হয়েছে, জি কে শামীম, তার স্ত্রী ও মা-বাবার নামে থাকা সব ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত রাখতে হবে। এ-সংক্রান্ত সব তথ্য পাঁচ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতেও বলা হয়েছে। এ দিকে, জি কে শামীমের ব্যাংক হিসাবে এরই মধ্যে ৩০০ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বিএফআইইউ প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বলেন, মানিলন্ডারিং ও সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়ে অনুসন্ধান করছে বিএফআইইউ। কোনো নেতা হোক আর যাই হোক, অপরাধ করে থাকলে তার ব্যাপারে আমরা কঠোর আছি। মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে। এর আগে, গত রোববার ক্যাসিনোয় ব্যবহৃত চিপস, টোকেন ও কুপন ব্যবহারের ওপর সতর্কতা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, টাকার আদলে তৈরি টোকেন ব্যবহার দন্ডনীয় অপরাধ।
সূত্র মতে, স¤প্রতি রাজধানী ক্লাবগুলোয় ক্যাসিনো, জুয়ার আসর চলার সময় বিভিন্ন ধরনের ‘টোকেন’ ও ‘কয়েন’ ব্যবহারের বিষয়টি উঠে আসার পর বাংলাদেশ ব্যাংক এই সতর্কতা জারি করে। এর আগে গত শুক্রবার থেকে ক্লাবগুলোতে অভিযান শুরু করে র্যাব। মতিঝিলে শুরু হওয়া এই অভিযান রাজধানী ছাড়িয়ে এরই মধ্যে দেশের অন্য শহরেও বিস্তৃত হয়েছে।
ফু-ওয়াং ক্লাবে অভিযানে ক্যাসিনো সামগ্রী মেলেনি
রাজধানীজুড়ে চলমান জুয়া ও ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে তেজগাঁওয়ের ফু-ওয়াং ক্লাবে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে এ অভিযান শুরু হয়। তবে অভিযান শেষে জুয়া বা ক্যাসিনোর কোনো সামগ্রী পায়নি পুলিশ। তবে ক্লাবটিতে দীর্ঘদিন ধরে বৈধতা নিয়ে একটি বার চলে আসছিল। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশ ও তেজগাঁও পুলিশের অপরাধ বিভাগ এই অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান শেষে ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, জুয়া বা ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিকেল থেকে অভিযান শুরু হয়। তবে ক্লাবটিতে এসবের কোনো কিছু তথা ক্যাসিনো সামগ্রী পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ক্লাবটিতে একটি বার রয়েছে। যেটির বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। তবে বারে বিক্রি হওয়া সামগ্রীগুলো বৈধ কি না সেটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
ফু-ওয়াং ক্লাবের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. শামীম বিল্লাহ বলেন, আমি এই ক্লাবে তিন বছর ধরে আছি। এখানে কোনো ক্যাসিনো বা জুয়ার আসর বসে না। তবে আমাদের ক্লাবে থাকা বারের অনুমতি আছে। এ বিষয়ে বৈধতার সব কাগজপত্র পুলিশকে দেখানো হয়েছে। এছাড়া অভিযান পরিচালনায় তারা সব ধরনের সহায়তা করছেন বলেও তিনি জানান।
বিজয় নগরে ফিল্ম ক্লাবে অভিযান, ১৫ আটক, মামলা
রাজধানীর বিজয় নগরের সায়েম টাওয়ারে জুয়া খেলার সময় ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় জুয়া খেলার সরঞ্জাম, টাকাসহ আরও অনেক সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে সায়েম টাওয়ারের অষ্টম তলায় বাংলাদেশ ফিল্ম ফ্যাশন লিমিটেডের অফিসে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় জুয়া খেলারত অবস্থায় টাওয়ারের ৮ তলা থেকে ১৫ জনকে আটক করা হয়।
রমনা থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, এটা মূলত ফিল্মের যে লোকজন তাদের একটি ক্লাব। অভিযানে জুয়া খেলার সরঞ্জাম, টাকাসহ নানা জিনিস পাওয়া গেছে। জুয়া খেলার সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)-এর সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু। একই সঙ্গে তিনি নাগরিক টেলিভিশনের অনুষ্ঠান প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পুলিশের সহায়তায় পালিয়ে যায় নেপালিরা
রাজধানীর ক্যাসিনোগুলোতে একশ’ নেপালের নাগরিক কাজ করতেন। র্যাবের অভিযানের সময় দু’জনকে আটক করা হলেও পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। পরে র্যাবসহ কয়েকটি সংস্থা ওই নেপালি নাগরিকদের গ্রেফতারে অভিযান চালায়। কিন্তু কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
একটি সংস্থার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, শতাধিক নেপালি নাগরিককে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, মতিঝিলসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ক্যাসিনো মালিকদের কাছে অগ্রিম তথ্যও পাচার করে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা। দুর্নীতিবাজ এসব কর্মকর্তা ও সদস্যের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে।
সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়, বুধবার রাত ১০টা ৪৯ মিনিটে ওয়াকিটকি হাতে সেগুনবাগিচার ৬/সি বাসার মূল গেট দিয়ে ঢুকে লিফটে বাসার উপরে চলে যান কয়েকজন। এরপর ভবনের একটি ফ্ল্যাটে কিছুক্ষণ অবস্থান শেষে ১১টা ২৮ মিনিট ১৫ সেকেন্ডে তারা বের হয়ে যান। এ সময় তাদের একজনের হাতে একটি ব্যাগ দেখা যায়। তারা চলে যাওয়ার পর রাত ১টা ৪৬ মিনিটে একে একে ৯ নেপালি বাসাটি ত্যাগ করেন। এ সময় তাদের হাতেও বেশ কিছু ব্যাগ দেখা গেছে।
ওই বাসার একজন ভাড়াটিয়া জানান, ওই বাসায় যে পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তারা গিয়েছিলেন তাদের নেতৃত্বে ছিলেন এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তিনি মতিঝিলের ক্লাব পাড়ায় তারেক নামে পরিচিত। ভিক্টোরিয়া ও দিলকুশা ক্লাবে তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল।
স্থানীয়রা জানান, ওই বাসার ছয়তলার একটি ফ্ল্যাটে দুই মাস ধরে ৪০ হাজার টাকায় ভাড়া থাকতো নেপালিরা। নেপালিদের ভাড়া নেয়ার এই পুরো প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেন একজন বাংলাদেশি। যার নাম মাসুম। তিনি নেপালিদের মোহামেডান ক্লাবের ট্রেইনার হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বাসাটি ভাড়া নেন। ভবনটির নিরাপত্তা কর্মী মামুন বলেন, সন্ধ্যার সময় তিনজন পুলিশ আসছিল, একটা ওয়্যারলেস ছিল। যাওয়ার সময় বললাম আপনাদের ঠিকানা দিয়ে যান। বলে- তোমাদের তো কোনো সমস্যা নেই। বাসায় গেস্ট এলে তো তোমাদের কোনো সমস্যা হয় না। অভিযোগ পাওয়ার পর বাড়িটি পরিদর্শন করেন ডিএমপির রমনা জোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, তদন্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কারো সম্পৃক্ততা মিললে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ঢাকায় যুবলীগ নেতাদের ‘৬০টি ক্যাসিনো চালানোর’ খবর সংবাদমাধ্যমে আসার পর গত বুধবার প্রথমবারের মতো ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবসহ চারটি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে জুয়ার সরঞ্জাম, কয়েক লাখ টাকা ও মদ উদ্ধার করে র্যাব। অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে ওই ক্লাবের সভাপতি যুবলীগের ঢাকা মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে সেদিন গ্রেফতার করা হয়। এর দুই দিনের মাথায় গত শুক্রবার ঢাকার কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ও ধানমন্ডি ক্লাবেও অভিযান চালায় র্যাব। কলাবাগান ক্রীড়াচক্র থেকে ক্লাব সভাপতি কৃষক লীগ নেতা শফিকুল আলম ফিরোজসহ পাঁচজনকে অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। এদিকে, গত রোববার ঢাকার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব, দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব ও আরামবাগ ক্রীড়া সংঘে অভিযান চালায় পুলিশ। এসব ক্লাবের প্রতিটি থেকে অবৈধ ক্যাসিনোর সরঞ্জাম পাওয়া যায। এছাড়া রোববার রাতে পুলিশের পৃথক অভিযানে গুলশানের তিনটি স্পা থেকে নারী ও পুরুষসহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পিয়াসী ও ড্রাগন বারে অভিযান
এদিকে ফু-ওয়াং ক্লাবের অভিযানের পর মগবাজারে পিয়াসী ও ড্রাগন বারে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে এ দু’টি বারে অভিযান চালানো হয়।
হাতিরঝিল থানার ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, সন্ধ্যা ৭টা থেকে পিয়াসী বারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। বারটির অনুমোদন থাকলেও এর বাইরে অনুমোদনহীন ক্যাসিনো বা জুয়া খেলা হয় কি না- তা খতিয়ে দেখতে অভিযান চালানো হয়েছে।
ওসি আব্দুর রশিদ আরও বলেন, মগবাজারে পিয়াসী বারের পাশাপাশি বাংলামোটরে ড্রাগন বারে অভিযানে অংশ নেয় পুলিশ। সন্ধ্যা ৭টার দিকে পিয়াসী বারে অভিযান শেষ করে ড্রাগন বারে যান তারা। তবে পিয়াসীতে অবৈধ কিছু পাওয়া যায়নি বলে ওসি জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।