পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যারাই অপরাধী তাদেরই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, গডফাদার, গ্র্যান্ডফাদার নয়, আমরা চিনি অপরাধী। সরকার কিংবা দলের জনপ্রিয়তা পেতে নয়, সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্যই শুদ্ধি অভিযান চালানো হচ্ছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, কিছু অবৈধ ব্যবসা ও টেন্ডারবাজদের বিষয় আমাদের কানে এসেছে। এসবের সাথে যারা জড়িত তাদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ শুরু করেছে। কে কোথায় আছে তার চেয়ে বড় হচ্ছে কে কতটুকু অপরাধ করেছে। রাজনীতিবিদ বা যেই হোক যারা অপরাধ করেছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। যেই আপরাধ করবে, আইনের চোখে সেই অপরাধী; তাদেরই আইনের আওতায় আনা হবে। আর গডফাদার, গ্র্যান্ডফাদার- এগুলো আমাদের কাছে কিছু নেই। আমরা চিনি অপরাধী। অপরাধী যেই হোক তাকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
এ পরিস্থিতিতে বিভিন্নজন গা-ঢাকা দিয়ে আছেন, আবার অনেকেই দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন- এতে করে বিমানবন্দর বা স্থলবন্দরে আপনারা রেড অ্যালার্ট জারি করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন তো কিছু হয়নি, যার জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করতে হবে। বিমানবন্দরে আমাদের একটা লিস্ট থাকে। তাই কখনই বিমানবন্দর দিয়ে অপরাধীরা দেশ ছেড়ে যেতে পারে না। যাদের বিচার চলছে বা যারা অপরাধী তাদের লিস্ট বিমানবন্দর এবং ইমিগ্রেশনে থাকে। এটা তো চলমান প্রক্রিয়া। এ পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে কোনো বিশেষ সতর্কতা নেই।
যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, এত বড় দুর্নীতি তারা একা করতে পারে না, এদের পেছনে বড় শক্তি আছে তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে-ই অপকর্ম করছে তাকেই আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। চুনোপুঁটি আর রাঘব বোয়াল বলতে আমাদের কাছে কিছু নেই। আমাদের কাছে সবাই সমান। রাঘব বোয়াল যদি আপরাধ করে থাকে তাকেও ধরছি। এক্ষেত্রে আমাদের সংসদ সদস্যরাও বাদ যাচ্ছেন না। চাঁদাবাজি বা জোর করে ক্ষমতা দখল বা মানিলন্ডারিং এসবের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।
একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বাংলা সংস্করণ এ নিয়ে একটা প্রতিবেদন করছে। এতে তারা বোঝাতে চেয়েছে যে, গত দু’টি নির্বাচন বিতর্কিত ছিল, সেখানে যাতে সরকার জনপ্রিয়তা পেতে পারে এ জন্য এ অভিযান- আপনি কী বলবেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আপনার কি মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তার ঘাটতি রয়েছে? উনি জনপ্রিয়তার জন্য নয়, সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এখন আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে এসব অবৈধ ব্যবসা বা যারা অবৈধভাবে অন্যায় কিছু করতে চায়, সেগুলোকে দমন করতে হবে। সেজন্যই আমাদের এ প্রচেষ্টা চলছে। বিবিসি যেটা বলেছে, সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। এর মধ্যে সত্যতা কিছু নেই।
অবৈধ ব্যবসা বা চাঁদাবাজি এগুলো কি এতদিন আপনাদের নজরে আসেনি? এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, দেখুন যখনই আমাদের নজরে এসেছে তখনই আমরা ধরছি। হয়তো স¤প্রতি একজন দুইজন উল্লেখযোগ্য আপনাদের চোখে পড়েছে। এর আগেও কিন্তু আমরা এ ধরনের অভিযান চালিয়েছি। এ অভিযান শুধু ঢাকাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে নাকি জেলা পর্যায়েও চালানো হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কোথাও সীমাবদ্ধ থাকবে না। যেখানে অপরাধ হবে সেখানেই অভিযান চলবে। যেখানে দেখবো অপরাধী, তাদেরই আমরা ধরে আনবো। বিমানবন্দরে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্তে¡ও ক্যাসিনো সরঞ্জাম কিভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করল? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, হয়তো মেশিনগুলো পার্ট পার্ট করে আনা হতে পারে। এখন তদন্ত চলছে, প্রতিবেদন আসার পরই বলা যাবে, এগুলো কিভাবে আনা হলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।