Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুপারের স্বেচ্ছাচারিতায় জেডিসি পরীক্ষা দেয়া হলো না মুক্তার

আবুল হাসেম, বরুড়া (কুমিল্লা) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

বরুড়া উপজেলার ডেউয়াতলী দাখিল মাদরাসার জেডিসি পরীক্ষার্থী উম্মে হানি মুক্তা এ বছর জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। কারণ ফরম পূরণ সময় শেষ হওয়ায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার। 

অভিযোগে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সদস্য চাঁন মিয়ার মেয়ে উম্মে হানি মুক্তা গত ২৪ জুলাই পরীক্ষার ফি বাবদ ৪০০ টাকা নিয়ে মাদরাসার সুপার কবির হোসেনের নিকট গেলে ৮০০ টাকার নিচে ফরম পূরণ হবে না বলে জানান। বোর্ডের নির্ধারিত ফি ২৫০ টাকা থাকলেও মাদরাসা সুপার ৮০০ টাকার নিচে কারো ফরম পূরণ করেননি। মাদরাসা সুপার পরীক্ষার্থীকে মাদরাসা ছুটির পর দেখা করতে বলেন।
দেখা করতে গেলে তাকে কুপ্রস্তাব দেন। কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়াতে তাকে অফিস কক্ষ থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন এবং বলেন তোমার ফরম পূরণ হবে না এবং আর মাদরাসায় আসবেনা। মুক্তা বিষয়টি তার অভিভাবককে জানায়। তার অভিভাবক ঐদিনই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। গত ২৪ আগস্ট অভিযোগটির তদন্ত করেন তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি উপ সহকারি মো. আলী। এ বিষয়ে গত ২৬ আগস্ট শুনানী হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাজহারুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তার বাবা মো. চাঁন মিয়া জানান, মাদরাসা সুপার অতিরিক্ত ফি আদায়সহ বিনা রশিদে টাকা নেয়ার প্রতিবাদ করায় তার মেয়েকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দিচ্ছেনা। এরই মধ্যে জেডিসি পরীক্ষার ফরম ফিলাপের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় সে এ বছর জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। মুক্তা মাদরাসায় যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
সুপার কবির হোসেন জানায়, মুক্তার ফরম ফিলাপের ব্যাপারে সে মাদরাসার শিক্ষকদের বাড়িতে পাঠিয়েও তাকে মাদরাসায় আনতে পারে নাই।
সরেজমিনে তদন্তকালে দেখা যায়, অষ্টম শ্রেণিতে ৯৫ জন ছাত্র-ছাত্রী থাকলেও ৮৮ জন ফরম পূরণ করেছে। প্রত্যেকের কাছ থেকে ৮০০-৯০০ টাকা করে নেয়া হয়। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র নাজমুল হাসানের পিতা দুধ বিক্রেতা শাহ আলম জানায়, তার কাছ থেকে ৮০০ টাকা, মুক্তার হোসেন মোল্লার বাবা শামছুল হকসহ মাদরাসার অভিবাবকরা মো. জহিরুল ইসলাম খাঁন জানায়, সুপার কবির হোসেন মাদরাসায় এককভাবে প্রভাব বিস্তার করে এলাকার লোকজনকে তোয়াক্কা না করে খেয়ালখুশি মতো মাদরাসা পরিচালনা করে আসছে। এলাকার লোকজন ভয়ে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারছেনা। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ