পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, শুধু ক্যাসিনো নয়, সব অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। এছাড়া ক্যাসিনো চলার সাথে প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে, গতকাল বিকেলে সচিবালয়ে জাবি ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় সাংবাদিকরা তার পদত্যাগসহ নানা বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো উত্তর না দিয়ে চলে যান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন বারের মতো ক্যাসিনো চালাতে গেলেও সরকারের অনুমোদন ও লাইসেন্স লাগে। যারা এ ব্যবসা করছে তারা সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নেয়নি। তারা অবৈধভাবে এ কাজটি চালাচ্ছিলো। সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। হঠাৎ করে অভিযান কেন এমন প্রশ্নের জবাব মন্ত্রী বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের আলোকে অভিযান চালানো হয়েছে। শুধু এখন না, আগেও এ রকম অভিযান চালিয়েছি। তিনি কলাবাগান ও কাওরানবাজারের দু’টি ক্লাবে অভিযানের কথা উল্লেখ করে বলেন, অভিযানে ওই ক্লাব দু’টির অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। একইভাবে ক্যাসিনো ব্যবসা চলার সাথে পুলিশ ও প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকলে কিংবা কারও বিরুদ্ধে সহযোগিতার প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদেরকেও বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এসব বিষয়ে তদন্ত চলছে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর আপনারা তৎপর হয়েছেন কি না এ প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পরিষ্কার। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে তার জিরো টলারেন্স নীতি আমরা অনুসরণ করছি। উনি যেভাবে নির্দেশনা দেন সেভাবে আমরা কাছ করছি। যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার টর্চার সেলের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
ইয়ংম্যান্স ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন। এ বিষয়ে তার ভূমিকা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কে কতখানি জড়িত সেটা তদন্তের ব্যাপার। তদন্ত শেষে এসব বিষয়ে বলা যাবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান নিয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী মন্তব্যে তিনি বলেন, এটা তার নিজস্ব বক্তব্য। বঙ্গবন্ধুর অন্যতম আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীসহ অন্য খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনি পথে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে সরকার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে জাবি ভিসির সাক্ষাৎ
এদিকে, গতকাল দুপুরের পর সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। সাক্ষাৎ শেষে বের হওয়ার সময় ‘ছাত্রলীগকে কমিশন দেয়া’ ও ‘তার ‘পদত্যাগের’ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি জবাব না দিয়ে চলে যান।
সাক্ষাতের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা একটা বিচ্ছিন্ন বিষয়। উনি মাঝে-মধ্যেই আসেন, আলাপ-আলোচনা হয়। স্পেশাল ও নির্দিষ্ট কোনো বিষয় ছিল না। পদত্যাগের বিষয়ে মন্ত্রী কিছুই জানেন না বলে জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পদত্যাগ নিয়ে আলাপ হবে কেন? অর্থ তো এখনো ডেসপাস হয়নি, এখনো কন্ট্রাক্ট শুরু হয়নি। তিনি বলেন, অর্থ নিয়ে যে কাহিনি শুনতেছি, এগুলো আমার কাছে পদ্মা সেতুর মতো মনে হচ্ছে। কী হবে সেটা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা। এগুলো নিয়ে উনিই (ভিসি) ভালো বলতে পারবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।