পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, নদী আমাদের মায়ের মতো। সন্তানের মতো নদীকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে কাজ করছেন। তাঁর নেতৃতেই বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর উচ্ছেদকৃত তীর ভূমিতে সিমানা পিলার স্থাপন, তীর রক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটি সহ আনুষংগিক অবকাঠামো নির্মাণ (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে এক কর্মশালায় এ দাবি করা হয়।
অনুষ্ঠানে উক্ত চারটি নদীর দখল ও দূষণরোধ এবং নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে জনকল্যাণমূলক প্রকল্প নিয়ে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মো, আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব-উল ইসলাম প্রকল্পটি সম্পর্কে আলোচনা করেন। নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন বিআইডবিøউটিএ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন,বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত করে গেছেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেশের উন্নয়ন সুরক্ষিত হবে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীর অবৈধ দখল থেকে নদীকে বাঁচাতে কাজ করছি। আমরা গন্তব্যে পৌঁছাতে চাই, এক্ষেত্রে কোন ধরনের সমঝোতা করবো না। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় নদী উদ্ধারে কাজ করছে। জনগন সমর্থন দিয়েছে। এ সমর্থন ধরে রাখতে চাই। আমাদের কাজ যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, মুখ থুবরে না পড়ে- সে প্রচেষ্টা থাকবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা ঢাকাকে রক্ষা করব। নদীকে রক্ষার জন্য কমিউিনিটি পুলিশ গঠন করা হবে। সাড়ে আটশত কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ উক্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
বিআইডবিøউটিএ কর্তৃক স¤প্রতি উচ্ছেদের মাধ্যমে প্রায় ১৫২ একর ভূমি উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত ভূমি ১ম পর্যায়ে প্রকল্পটিতে ৩ হাজার ৮০৩টি সীমানা পিলার স্থাপন কাজ শুরু হয়েছে। তাছাড়া ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, ১০ হাজার ৮২০টি সীমানা পিলার, ৪০ কিলোমিটার ওয়াল, ১২ কিলোমিটার পাইলিং, বনায়ন, ৩টি ইকোপার্ক, ২টি পর্যটন বান্ধব পার্ক, ৩ কিলোমিটার আরসিসি সেতু, ১০৫.১২ কিলোমিটার রেলিং, ৬টি পন্টুন, ৬টি এস্কেভেটর, ১১টি আরসিসি জেটি, ৩৮টি স্পার্ড ও ১০০ টি আরসিসি সিড়ি সহ ৪০৯ টি বসার বেঞ্চ অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। ইতোমধ্যে ০৬টি লংবুম এস্কেভেটর এবং ৬টি পন্টুন ক্রয় এর চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। পন্টুন তৈরি এবং অন্যান্য কাজও চলমান রয়েছে।
বর্তমানে প্রকল্প বাস্তবায়ন সহ বাস্তবতার নিরীখে দেখা যাচ্ছে ঢাকা শহরের চারদিকে নদী সমূহ দূষণমুক্ত করে একটি নদী মাতৃক রাজধানীর কলেবর সৃষ্টি করতে হতে প্রকল্প আরো কিছু কার্যক্রম বৃদ্ধি করা অপরিহার্য্য। যেমন নদী খনন কাজ সহ ইতোমধ্যে প্রাক্কলিত কিছু আইটেমের পরিবর্তন হওয়ায় এবং কাজের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় আলোচ্য প্রকল্পটি সংশোধনের আবশ্যকতা রয়েছে। তারই নিরীখে ইতোমধ্যে বিআইবিøউটিএ কর্তৃক সংশোধিত প্রকল্প গ্রহণ করে তা প্রায় ২,৪৩০ কোটি টাকা করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।