Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পান ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

পান ও সুপারি চাষে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার রয়েছে বহুদিনের সুখ্যাতি। এ বছর আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় পুরো উপজেলায় পানের বরজে ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে পানের ভাল মূল্য পাচ্ছেন কৃষক। তাই কৃষক-শ্রমিক সবার মুখেই হাসি ফুটেছে। স¤প্রতি হাইমচর উপজেলার কয়েকটি গ্রামের পানের বরজ ঘুরে এসব চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।

কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ২১৭ হেক্টর জমিতে পান এবং ৩১০ হেক্টর জমিতে সুপারি চাষ হয়। এই পান-সুপারি চাষের সাথে প্রায় ৯ শতাধিক কৃষক জড়িত। দুটি ফসল থেকে বছরে একজন কৃষক কমপক্ষে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা আয় করেন। কৃষকরা পান ও সুপারি চাষ করেই পরিবারের খরচ জোগান। হাইমচরের পান ও সুপারি জেলার চাহিদা মিটিয়ে পাশবর্তী জেলায়ও বিপনন করা হয়।
হাইমচর উপজেলার আলগী উত্তর ইউনিয়নের মহজমপুর, ছোট ল²ীপুর ও আশপাশের গ্রামের একাধিক কৃষকের সাথে আলাপ করে জানা যায়, বর্তমান মৌসুমে পান বেশি বিক্রি হয়। সপ্তাহে দুইবার তারা বরজ থেকে পান কেটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেন। অধিকাংশ কৃষকই পাশবর্তী ফরিদগঞ্জ উপজেলার রামপুর বাজারে পান বিক্রি করতে নিয়ে যান। ভোর রাত ৪টা থেকে সূর্যোদয়ের আগেই ওই বাজারে পাইকারি পান বিক্রি শেষ হয়ে যায়। এ কারণে পান বিক্রির জন্য একদিন আগ থেকেই প্রস্তুতি নিতে হয়।
চাঁদপুর সদর উপজেলার মহামায় এলাকার পান ব্যবসায়ী জমির হোসেন বলেন, পানের মৌসুম এলে তিনি সরাসরি হাইমচরের কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন। এতে তার প্রতি ভিড়ায় ১০ থেকে ২০ টাকা লাভ হয়। আর আড়ৎ থেকে ক্রয় করলে লাভ কম হয়। তিনি আরো বলেন, পান ক্রয়-বিক্রয়ে মূল্য কয়েকভাবে নির্ধারণ হয়। কেউ পাইকারী, কেউ খুচরা এবং কেউ পানের খিলি বিক্রি করেন। যিনি খিলি বিক্রি করেন তার এক ভিড়া পানের মূল্য দাঁড়ায় কমপক্ষে ৩শ’ টাকা।
পান চাষী মোস্তফা ও মো. জসিম মিয়া বলেন, এবছর আমরা এক ভিড়া পান ৮০ থেকে শুরু করে ১১০টাকায় বিক্রি করছি। অন্য বছরের তুলনায় পানের দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে। বরজ থেকে পান কেটে অধিকাংশ কৃষকই ফরিদগঞ্জ রামপুর বাজারে পাইকারী বিক্রি করেন। আবার বিভিন্ন এলাকা থেকে কিছু ব্যবসায়ী এসে ১শ’ ২শ’ ভিড়া পান পাইকারী দরে ক্রয় করে নিয়ে যান। তারা আবার এসব পান বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ