রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নানা অনিয়ম ও নারী ঘটিত ঘটনার অভিযোগে নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সাখাওয়াৎ হোসেন খোকনের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস, প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা বর্জন ও বিক্ষোভ করেছে। গতকাল সোমবার সকালে ছাত্রলীগ সৈয়দপুর কলেজ শাখা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ করে। এদিকে, শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলেজটির গর্ভনিং বডির সভাপতি ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম গোলাম কিবরিয়া।
জানা যায়, সৈয়দপুর কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন খোকন দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে নানা রকম অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা করে আসছে। এছাড়া ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কলেজের এক শিক্ষিকাকে নিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এরূপ শিক্ষকের কাছে আমরা শিক্ষা নিতে চাই না। তাকে অপসারণ করা না হলে কলেজের সব কর্মকান্ড বন্ধ করে দেয়া হবে। এ সময় শিক্ষার্থীরা কলেজ গেটসহ রাস্তায় বেড়িকেট দিয়ে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে অধ্যক্ষের দ্রুত অপসারণের দাবিতে নানা শ্লোগান দেয়।
এছাড়াও গতকালের দ্বাদশ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা বর্জন করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা কলেজে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। পরে এ খবর পেয়ে কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতি ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম গোলাম কিবরিয়া কলেজ গিয়ে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন এবং তাদের দাবিগুলো শুনেন। এরপর তিনি শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ঘটনা তদন্তে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) পরিমল কুমার সরকারকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এ কমিটির তদন্ত কমিটির অন্যান্যরা হলেন, সৈয়দপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রেহেনা ইয়াসমীন ও সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আবুল হাসনাত খান। এ কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, সৈয়দপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাখাওয়াৎ হোসেন খোকন গতকাল সোমবার দুপুরে তার শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন একটি স্বার্থান্বেষী মহল নানা কারণে আমার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে সমাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন ও মানসম্মান ক্ষুন্ন করতে ওই অপপ্রচার চালায়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।
লাইসেন্সবিহীন চালকের বিরুদ্ধে অভিযান
নীলফামারীর সৈয়দপুরে ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন চালকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। ‘একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না, ট্রাফিক আইন মেনে চলুন নিরাপদ থাকুন’ শ্লোগানকে সামনে রেখে নীলফামারী জেলা পুলিশ এ অভিযান শুরু করেছে। গতকাল সকালে প্রথমে সৈয়দপুর শহরের দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের ওয়াপদা মোড়ে এ অভিযান শুরু হয়। আর এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল।
এ সময় সৈয়দপুর ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) আবু নাহিদ পারভেজ চৌধুরী, সৈয়দপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল হাসনাত খান, ট্রাফিক সার্জেন্ট রাশেদ হাসান মন্ডল, ট্রাফিক পুলিশের টাউন উপ-পরিদর্শক (টিএসআই) আব্দুল খালেকসহ ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দপুর ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অভিযানের প্রথম দিনেই গতকাল প্রায় দুই শতাধিক বাস-মিনিবাস, ট্রাকসহ বড় আকারের যানবাহনের ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় ১২টি গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়াও ৫০জন হেলমেডবিহীন মোটরসাইকেল চালকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল বলেন, আজ থেকে গাড়ির ফিটনেস না থাকা, ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন গাড়ী চালকের এবং রেজিস্ট্রেশন ও হেলমেডবিহীন মোটরসাইকেল চালকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হলো। এ অভিযান অব্যাহতভাবে থাকবে বলেও তিনি ুজানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।