পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বিজেপি নেতাদের বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতা খুবই উস্কানীমূলক, ঔদ্ধ্যত্বপূর্ণ ও সাম্প্রদায়িক বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি সরকারকে ভারতের প্রতি অনুগত ও নতজানু নীতি পরিহার করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি’র বৈরী ও আধিপত্যবাদী তৎপরতা ও পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবার আহ্বান জানান। সেই সাথে এ বিষয়ে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে সরকারের প্রতিবাদ জানানোর কথাও বলেন। তিনি বলেন, ভারতের অসাড় ও ফাঁকা আশ^াসের উপর ভরসা করার কোন সুযোগ নেই। সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, আসাম ও পশ্চিম বাংলার কথিত নাগরিকপঞ্জি নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি- বিজেপি’র নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ বিরোধী যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করে চলেছে। বিজেপি’র নানাস্তরের নেতৃবৃন্দ প্রতিদিন ভারতের নাগরিকপঞ্জির বাইরে থাকা লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী হিসাবে চিহ্নিত করে তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবার যে হুমকি দিয়ে চলেছে তা দেশের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ বিদ্বেষী এসব সাম্প্রদায়িক বৈরী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট কোন প্রতিবাদ করা হয়নি। অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এসব প্রচারণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে বিজেপি’র এসব শত্রুতামূলক প্রচারণা বন্ধ করার দাবি জানানোর কথা তিনি বলেন।
সাইফুল হক উল্লেখ করেন, ভারতের নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসিতে বাদ পড়া ভারতীয়রা কিভাবে নাগরিক হিসাবে নথিভুক্ত হবেন তা একান্তই ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়। তিনি বলেন, বিজেপি’র কোন কোন নেতা যেভাবে বাংলাদেশের ভূখন্ড দাবি করে এনআরসি থেকে বাদ পড়ার ভারতীয়দের পুনর্বাসনের কথা বলছেন তা চরম ঔদ্ধ্যত্বমূলক ও আপত্তিকর এবং বিজেপি’র আগ্রাসী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। অনতিবিলম্বে বিজেপি’র এই সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধ না হলে তা দ্রুত দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি ঘটাবে এবং ভারতের মত বাংলাদেশেও নানামুখী উত্তেজনা বৃদ্ধি করবে।
তিনি বলেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, সুস্পষ্ট চুক্তি ও সমঝোতা থাকলেও ভারত বা বিএসএফ তা মানছে না। সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যাকা- অব্যাহত রয়েছে। বারবার ভারত সরকার আশ^াস দিলেও তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বাংলাদেশ এখনও বঞ্চিত। আর রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবাসনে মায়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টিতে ভারতের এখনও পর্যন্ত কার্যকরি কোন ভূমিকা নেই।
সাইফুল হক ভারত ও বিজেপি’র বাংলাদেশ বিরোধী আগ্রাসী ও উস্কানীমূলক অপতৎপরতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।