Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নয়াপল্টনে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

ছাত্রদলের কাউন্সিলের দুই দিন আগে আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞায় আটকে গেছে নির্বাচন। এই ঘটনায় সরকারকে দায়ী করেছে বিএনপি। কাউন্সিল স্থগিতের প্রতিবাদে প্রতিদিনই নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। গতকালও (রোববার) স্থগিত হওয়া কাউন্সিলে ছাত্রদলের প্রার্থীরা কয়েকশ’ নেতাকর্মীকে সাথে নিয়ে দিনভর বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। এদিকে আদালতের আদেশের পর পুনরায় কাউন্সিল কবে হবে সে ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আদালতের বিষয়টি সুরাহা হলেই সিদ্ধান্ত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। তাছাড়া ‘১৮ সেপ্টেম্বর পুনরায় সম্মেলন হবে’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমন একটি বিজ্ঞপ্তির খবরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

গতকাল সকালে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কাউন্সিল স্থগিতের প্রতিবাদে সভাপতি প্রার্থী ফজলুর রহমান খোকন ও হাফিজুর রহমানের কর্মীরা বিক্ষোভ করেন। পরে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন ছাত্রদলের আসন্ন কাউন্সিলে সভাপতি প্রার্থী হাফিজুর রহমান, ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শাহ নেওয়াজসহ তাদের নেতাকর্মীরা। পরে বিকেলে কাউন্সিলের দাবিতে ফের বিক্ষোভ মিছিল করেন সভাপতি প্রার্থী হাফিজুর রহমান, ফজলুর রহমান খোকন, সাজিদ হাসান বাবু, রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আমিনুর রহমান আমিন, শাহনেওয়াজ, জাকিরুল ইসলাম জাকির, তানজিল হাসান, শেখ আবু তাহের।

ছাত্রদলের কাউন্সিলের প্রার্থীরা তাদের শত শত অনুসারী নিয়ে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলগুলো দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারো বিএনপি অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হয়। ছাত্রদলের নেতারা বলেন, একটি ষড়যন্ত্রকারী মহল ছাত্রদলের গণতান্ত্রিক কাউন্সিলকে বাধাগ্রস্ত করতেই আদালতকে ব্যবহার করেছে। আমরা আদালতের এই অবৈধ আদেশ মানি না। অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করে কাউন্সিল অনুষ্ঠানের দাবি জানান নেতারা। মিছিলে ছাত্রদলের নেতাদের পাশাপাশি যুবদলের নেতাকর্মীদেরও দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২৭ বছর পর ছাত্রদলের কাউন্সিল অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল গত শনিবার। এ জন্য সার্বিক প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়। প্রার্থীরা তাদের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ করেন বৃহস্পতিবার। অধিকাংশ ভোটার দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ভোট দেয়ার জন্য ঢাকায় চলে আসেন। কিন্তু কাউন্সিল অনুষ্ঠানের একদিন আগে আকস্মিকভাবে আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে বাধার মুখে পড়েছে ছাত্রদলের কাউন্সিল। হুট করেই আদালতের বাধার মুখে পড়ায় চাঙ্গা হয়ে ওঠা সারা দেশের ছাত্রদল নেতাকর্মীরা আবারো একটু স্থবির হয়ে পড়েছেন। এখন কবে হবে ছাত্রদলের কাউন্সিল তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।

বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান: আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিল হবে এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির পর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ছাত্রদলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন নেতাকর্মীদেরকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বলে আমার তথাকথিত স্বাক্ষর সম্বলিত যে প্রেস রিলিজ প্রচারিত হয়েছে তার সাথে আমার আদৌ কোনো সম্পর্ক নেই। তাছাড়া, আমিসহ ১০ নেতৃবৃন্দের উপর আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপিত থাকায় আমাদের এহন দায়িত্ব পালন সম্ভব না হওয়ায় আমরা আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়েছি। ছাত্রদলের ভবিষ্যৎ কাউন্সিল সম্পর্কে ছাত্রদলের কাউন্সিলরগণই তাদের করণীয় নির্ধারণ করবেন। এমতাবস্থায় ষড়যন্ত্রকারী মহলের কোনো অপপ্রচারে যেন কেউ বিভ্রান্ত না হন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছাত্রদল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ