পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আড়তে একদিনেই বেড়েছে কেজিতে ১৮ টাকা। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৬৮-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারত নির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আনার উদ্যোগ নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। মিয়ানমার থেকে সহসা আসছে আরও পেঁয়াজের চালান। তখন দাম পড়ে যাবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগীর আহমদ বলেন, ভারতে পেঁয়াজ রফতানিতে টনপ্রতি ৮৩০ ডলার নির্ধারণ করেছে। যা কয়েকদিন আগেও ছিল ৩০০-৩৫০ ডলার। ভারতে দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি কমে গেছে। এর প্রভাবে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আসছে। দেশি পেঁয়াজেরও সরবরাহ বাড়ছে। এছাড়া ভারতের উপর নির্ভরতা কমাতে অন্য দেশ থেকেও পেঁয়াজ আমদানি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। খুব শিগগির বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে বলে জানান তিনি।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতে রফতানি পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়ার পরপরই খাতুনগঞ্জের আড়তে কেজিতে ১৮ টাকা বেড়ে যায়। গতকাল রোববার আড়তে পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৬০ টাকায়। আর খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকায়। ভারতের নতুন ঘোষণার পর পেঁয়াজের চালান দেশে পৌঁছার আগেই দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় হতবাক ভোক্তারা। পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে দাম বেশি নেয়ার যুক্তি হিসেবে প্রতি বস্তা পেঁয়াজে তিন থেকে চার কেজি পঁচা পেঁয়াজ থাকার কথা জানান ব্যবসায়ীরা।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ভারত পেঁয়াজ রফতানিতে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। তবে ভারতের পেঁয়াজের মোকামে দাম কম। গত সপ্তাহেও ২৫০-৩০০ ডলারে পেঁয়াজ আমদানি করেছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার ভারত নির্ভর।
এর বাইরে মিয়ানমার থেকে সুলভে কিছু পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে চীন, মিশরসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির চিন্তাভাবনা রয়েছে ব্যবসায়ীদের। তবে এসব দেশের পেঁয়াজ আকারে বড়, ঝাঁজও কম। তাই চাহিদা খুব বেশি থাকে না। কৃষি বিভাগের হিসাবে, দেশে সাড়ে ২৩ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে প্রতিবছর। ভারত থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পেঁয়াজ আমদানি হয় ১১ লাখ ৩৬ হাজার টন।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন ভারতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে বাংলাদেশের বাজারে দাম বাড়িয়ে দেয়ার ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেন, কমদামে পেঁয়াজ আমদানি করে বেশি দামে বিক্রি করা অন্যায় এবং অনৈতিক। বর্ধিত দামে পেঁয়াজ আমদানি না করে অতিরিক্ত দামে যারা বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বাজার নিয়ন্ত্রণে টিসিবির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানির দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।