পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতাকে দুর্নীতির দায়ে সরিয়ে দেয়া প্রমাণ করেছে দেশে কি হারে দুর্নীতি চলছে, চাঁদাবাজি চলছে। এটাতো শুধুমাত্র একটা প্রকাশ পেয়েছে যে, এটাতে একটি সংগঠনের প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি জড়িত। তাদেরকে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দেশের প্রধানমন্ত্রী বহিঙ্কার করতে হয়েছে। এরকম সারাদেশে অনেক চলছে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অপসারণই প্রমাণ করে দুর্নীতি কোন পর্যায়ে চলে গেছে। এটা (বহিঙ্কার) হচ্ছে স্বীকৃতি, রিকগনেশন। এটা প্রমাণ হয়ে গেছে যে, তারা দুর্নীতি করছে। এই বহিঙ্কারকে আপনি কিভাবে দেখছেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা প্রমাণ হয়ে গেছে যে, তাদের দল দুর্নীতি করছে এবং সবাই মিলে দুর্নীতি করছে। এটা তো রিকগনেশন অব করাপশন।
ছাত্রদলের কাউন্সিল প্রসঙ্গে এক প্রশ্রের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আইন দিয়ে তো রাজনীতি হয় না। আমি সেদিনও বলেছি, যে এভাবে রাজনীতিকে আদালত দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা- এখানেই আমাদের আপত্তি। এটা নজিরবিহীন ঘটনা। যে একটা রাজনৈতিক দলের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে আদালত এবং সেটা সরকারের উদ্যোগে, তারাই করাচ্ছে। এটাতে প্রমাণিত যে, এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনা, বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, বিরোধী দলে বিশ্বাস করে না। এটাই বাস্তবতা।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে জনগণের কাছে আমরা যে বক্তব্যটি দিতে চাই তা হচ্ছে- আসুন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্রের মুক্তি, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করা- একথায় উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মানে আমাদের দলমত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধে গণতন্ত্রের চেতনার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম, সেই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই লক্ষ্যে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই এবং ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মান করতে বদ্ধপরিকর।
সারাদেশে বিরোধী দলের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, বিগত ১০ বছরে চরম রাজনৈতিক নৈরাজ্য চলছে। বিরোধী দলের ওপর চলছে নিষ্পেষণ, অত্যাচার, গুম, খুন, হামলা। যেকোনো ব্যক্তি এই সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে তার বিরুদ্ধে নেমে এসেছে প্রশাসনের খড়গ। বিগত ১০ বছরে বিরোধী দলের প্রায় ২৬ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে এক লাখের বেশি মামলা দেয়া হয়েছে। গুম-খুন-বিচারবর্হিভূত হত্যা-মিথ্যা মামলা, কাস্টডিওতে হত্যা- এসব একটা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সারাদেশে গত ১০ বছরে।
বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে মির্জা ফখরুল বলেন, জাতিসংঘ আজ বাংলাদেশ সরকারকে প্রশ্ন করতে পারে এই দেশ তাদের সার্বজনীন মানবাধিকার সনদের স্বাক্ষরকারী হয়েও কিভাবে এবং কী ধরনের একটি সরকার চালু রেখেছে যেখানে সে সনদের কোনো কিছুই মানা হচ্ছে না। তাহলে কী এটা অযৌক্তিক হবে এটা মানছে না। আপনাদের মনে করে দেয়ার প্রয়োজন নেই আজ থেকে মাত্র সপ্তাহ খানেক আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে বিশ্বের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সময়ে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং একই সঙ্গে স্পষ্ট করেছে- গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি বর্তমান সরকারের কথা ও কাছে কোনো মিল নেই। সম্প্রতি কানাডা সরকারও বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রসঙ্গে অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনসমূহে বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়গুলো স্পষ্টভাষায় তুলে ধরা হয়েছে। গণতন্ত্রের মূল বাহন যে নির্বাচন, সেই নির্বাচনের গতি-প্রকৃতি ৩০ ডিসেম্বর-২০১৮ এর আগের রাতে কি ছিলো তা নতুন করে বলার প্রয়োজন্ নেই তা বিশ্বের সকল নামি-দামি পত্র-পত্রিকা ও মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্ববাসী সামনে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে।
ছাত্রদলের প্রসঙ্গে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ বলেন, দেশে দুই আইন চলছে। সরকারি দল হলে একরকমের আইন আবার বিরোধী দল হলে আরেক ধরনের আইন। যেমন আমরা পরিস্কার দেখেছি যে, ১/১১ তে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ২১টি মামলা ছিলো, একটি মামলাও এখন নাই। কোনটা বাতিল, কোনটা চার্জসিট থেকে বাতিল ইত্যাদি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ট্রায়ালও ফেইস করতে হয় না।
সংবাদ সম্মেলন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।