বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা : চুয়াডাঙ্গায় সাঁড়াশি অভিযানের মধ্যেও শহরের দক্ষিণ হাসপাতাল পাড়ায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
গতরাত এগারোটার দিকে ৭/৮ জন মুখোশধারী ডাকাত দক্ষিণ হাসপাতালপাড়ার আশাদুল ইসলামের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় আশাদুল ইসলাম ও তার ভাড়াটিয়া ফেরদৌস আলীর ঘর থেকে নগদ টাকা, মোটরসাইকলে, কম্পিউটার, মনিটর, ল্যাপটপসহ, সোনার গহনা ডাকাতি করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) তোজাম্মেল হক জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুখোশধারী ডাকাতরা ফেরদৌস আলীর বাড়ির বাইরে ও ভেতরে অবস্থান নেয়।
এসময় ফেরদৌস মোটরসাইকেলযোগে তার শিশু পুত্রকে নিয়ে বাড়ি ফিরে বাড়ির গেটে এসে দাঁড়ায়। সাথে সাথে বাড়ির বাইরে থাকা ডাকাতরা তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে শিশু পুত্রকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নেয় এবং ফেরদৌসকে নিয়ে বাড়ির ভেতরে নিয়ে নগদ ৭০ হাজার টাকা, ৮ ভরি ওজনের সোনার গহনা, ৪টি মোবাইলফোন, টিভি কার্ড ও কম্পিউটর মনিটরসহ অন্যান্য মালামাল ডাকাতি করে। পরে ডাকাতরা বাড়ির মালিক আশাদুল ইসলামের ঘরে ঢুকেও ল্যাপটপ ও নগদ টাকা ডাকাতি করে। মুখোশধারী ডাকাতরা আধঘণ্টা ধরে দুই বাড়িতে ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতরা হুমকি দিয়ে বলে, এ ঘটনা কাউকে জানালে আরো বিপদ হবে।
ঘটনার পরপরই পুলিশকে খবর দেয়া হলে রাতেই চুয়াডাঙ্গার সহকারি পুলিশ সুপার ছুফিউল্লাহ, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) তোজাম্মেল হক, পরিদর্শক তদন্ত কামরুজ্জামান, গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আমির আব্বাস, এসআই ইব্রাহিম হোসেন ঘটনাস্থল আসেন এবং এলাকায় তল্লাশি চালান। তবে, পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।