রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের দ্বায়িত্বহীনতা ও অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ করতে গিয়ে ভেঙে পড়ছে ফুলবাড়ি সরকারি কলেজের ছাত্রাবাসসহ একাধিক কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি। এদিকে ড্রেন নির্মাণে পৌর মেয়রের স্বেচ্ছাচারীতা ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা ।
অপরিকল্পিভাবে ড্রেন নির্মাণ করতে গিয়ে ফুলবাড়ি সরকারি কলেজের ছাত্রাবাস ভেঙে পড়ায়, গত বুধবার ১০ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, ফুলবাড়ি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নজমুল হক।
এছাড়াও রাস্তার জায়গা উদ্ধার ও অপরিকল্পিভাবে ড্রেন নির্মাণ করার প্রতিবাদ জানিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর অভিযোগ করেছেন পৌরশহরের পশ্চিম গৌরীপাড়া গ্রামের সাবেক দুই পৌর কাউন্সিলরসহ গ্রামবাসীরা। একইভাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছেন সুজাপুর গ্রামের বাসিন্দা ডাক্তার লিও চৌধুরী। কিন্তু কোন অভিযোগেই কর্ণপাত না করে, পৌর মেয়র মুরতুজা সরকার মানিক নিজের খেয়ালখুশিমত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এমন অনেক অভিযোগ খোদ পৌর মেয়রের বিপক্ষে।
ফুলবাড়ি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নাজমুল হক বলেন, পৌর মেয়রকে তার দপ্তর থেকে একাধিকবার চিঠি দেযা হলেও পৌর মেয়র সেই চিঠির কোন জবাব না দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন খনন করায় ভেঙে পড়েছে কলেজের ছাত্রাবাসের ভবনটি। শুধু তাই নয় ইতোপুর্বেও উত্তর সুজাপুর গ্রামের ড্রেন সরকারি কলেজের প্রাচীর ভেদ করে দেয়ায়, কলেজের প্রাচীর ভেঙে পড়েছে।
এদিকে পৌর মেয়রের স্বেচ্ছাচারীতা ও অনিয়ম এর মধ্য দিয়েই ড্রেন খনন করে ছাত্রবাস ভেঙে দেয়ার প্রতিবাদে, গত বুধবার বিকেলে ফুলবাড়ি সরকারি কলেজের সামনে মাদিলা সড়কের পাশে দাড়িয়ে মানববন্ধন করেছেন, ফুলবাড়ি সরকারি কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এছাড়া সুজাপুর আবাসিক এলাকার কয়েক জন বাসীন্দা বলেন ওই এলাকায অপরিকল্পিত ভাবে ড্রেন খনন করতে গিয়ে এই পর্যন্ত ভেঙে পড়েছে কয়েক ডজন বাড়ির প্রাচির।
অভিযোগ উঠেছে পৌর মেয়র ড্রেন নির্মাণে পক্ষ-পাতিত্ব করে তাঁর নিজস্ব ব্যক্তি ও তার সঙ্গ-পাঙ্গদের বাড়ির সামনে সরকারি জায়গা ছেড়ে দিয়ে অন্যের জায়গার উপর ড্রেন নির্মাণ ও খনন করে একাধিক নিরীহ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি সাধন করছে।
সুজাপুর গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান মিন্টু বলেন অপরিকল্পিত ড্রেন খনন করতে গিয়ে তার বাড়ির প্রায় ১০০ ফিট প্রাচির ভেঙে ফেলেছে, অথচ ওই প্রাচির বাদেও তার জায়গা ছেড়ে দেয়া আছে। কিন্তু মেয়রের কর্মিবলে পরিচিত বাড়ির সামনে এক ব্যাক্তি রাস্তার উপর প্রাচির নির্মান করলেও পৌর মেয়র সেই দিকে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। সুজাপুর গ্রামের বাসীন্দা ডাঃ লিও চৌধুরী বলেন, পৌর মেয়র পক্ষপাতিত্ব করে তার জায়গার উপর দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করার চেষ্টা করছে। অথচ তার ভোটের কর্মি ওবায়দুল চৌধুরীরকে রাস্তার জায়গা ছেড়ে দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করছে। একই চিত্র পৌরশহরের সর্বত্র।
সাবেক পৌর কাউন্সিরর ও সাবেক প্যানেল মেয়র এসএম নুরুজ্জামান বলেন, জনগনের মতামতকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে,বর্তমান পৌর মেয়র কর্মপরিকল্পনা তৈরী করে তার নিজের স্বার্থে, এজন্য পদে পদে হয়রানীর শিকার হচ্ছে পৌরবাসী ।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য পৌর মেয়রের মুঠোফোনে বারবার ফোন দিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি। পৌর-পরিষদে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তার বাসায় গেলে ভেতর থেকে জানায় মেয়র বাসায় নেই। এই বিষয়ে পৌর প্যানেল মেয়র মামুনুর রশিদ এর সাথে কথা বললে, তিনি বলেন মেয়র পরিষদের কোন মতামত গ্রহণ করে না, তার ইচ্ছামত কাজ করে। যে কারণে তিনিসহ পরিষদের ৯ জন কাউন্সিলর বিগত তিন মাস মাসিক সভা বর্জন করেছিল এর পরেও মেয়র তার ইচ্ছামত কাজ করে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।