বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে কক্সবাজারের টেকনাফ ও কুষ্টিয়ায় ৩ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যার আসামি দুই রোহিঙ্গা যুবক ও কুষ্টিয়ায় এক মাদক কারবারি বলে জানায় পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে বন্দুক, গুলি, পিস্তল, ফেন্সিডিল, ও ইয়াবা উদ্বার করা হয়। দুই ঘটনায় আট পুলিশ সদস্য আহত হয় বলে দাবি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
কক্সবাজার : কক্সবাজারের টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যার আসামি দুই রোহিঙ্গা যুবক পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান। নিহতরা হলেন- হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জমির আহম্মদের ছেলে আব্দুল করিম (২৪) এবং একই ক্যাম্পের ছৈয়দ হোসেনের ছেলে নেছার আহম্মদ (২৭)। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের আকিয়াব জেলার মংডু থানার বুচিদং হাসুরতা ও বুচিদং পুইমালী এলাকায় তাদের বাড়ি।
ওসি প্রদীপ দাশ বলেন, ওমর ফারুক হত্যা মামলার একাধিক পলাতক আসামি জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান করছে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল রাতে সেখানে অভিযানে যায়। “পুলিশ সদস্যরা সেখানে পৌঁছানোমাত্র সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে শুরু করে। পুলিশও তখন আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে দুই জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই দুইজনকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি। এ সময় টেকনাফ থানার এএসআই কাজী সাইফ উদ্দিন, কনস্টেবল মোহাম্মদ নাবিল ও রবিউল ইসলাম সামান্য আহত হয়েছেন এবং ঘটনাস্থল থেকে দুটি বন্দুক ও সাতটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে জানায় পুলিশ।
কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ায় গোলাগুলিতে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মোল্লাতেঘরিয়া ক্যানালপাড়ার সুজন (৩০) নামের এক মাদক কারবারি নিহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১ টি বিদেশি পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি, ৫০ বোতল ফেন্সিডিল, ও ৩০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এঘটনায় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১.৩০ মিনিটের সময় আমাদের কাছে খবর আসে সদর উপজেলা মোল্লাতেঘরিয়া ক্যানালপাড়া এলাকায় দু দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলি চলছে। আমি ও আমার সঙ্গীয় ফোর্সসহ দ্রæত ঘটনাস্থলে পৌছালে মাদক কারবারিরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের উপর গুলি বর্ষণ করতে থাকে। আত্মরক্ষায় পুলিশ ও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে মাদক কারবারিরা পিছু হটে পুকুরে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল তল্লাশি করে একজনকে পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মাদক ব্যবসায়ীকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১ টি বিদেশি পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি, ৫০ বোতল ফেন্সিডিল, ও ৩০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে । এ ঘটনায় পুলিশের এস আই মোস্তাফিজুর রহমান, এ এস আই তানভির আহম্মেদ, কনস্টেবল শফিকুলসহ ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে নিহতের নাম সুজন বলে জানা যায়। নিহত সুজনের নামে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মাদক সহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। নিহত সুজন মালিথা (৩০) সদর উপজেলার টাকিমারা গ্রামের ইসমাইল মালিথার পুত্র। উল্লেখ্য, স¤প্রতি সময়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত (পিপিএম)বার এর নির্দেশনায় মডেল থানার ভারগ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন এর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া জেলা জুড়ে মাদক, সন্ত্রাসী, কিশোর গ্যাং ও অপরাধ সহ বিভিন্ন অপারাধম‚লক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।