পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পতনের বৃত্ত থেকে যেন কোনোভাবেই বের হতে পারছে না দেশের শেয়ারবাজার। টানা দর পতন লেগেই থাকছে। গত তিন সপ্তাহ ধরে দর পতনের ফ্রেমেই আটকে আছে ডিএসই। এতে গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে। একসই সঙ্গে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ওপরে বাজার মূলধন হারিয়েছে ডিএসই।
সূচক ও বাজার মূলধন কমলেও ডিএসইতে কিছুটা বেড়েছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইতে গড়ে লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ প্রতি কার্যদিবসে। আর বাজারটির প্রধান মূল্যসূচক কমেছে দেড় শতাংশের ওপরে। বাজার মূলধনও প্রায় দেড় শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে টানা তিন সপ্তাহ পতনের মধ্যে থাকলে দেশের শেয়ারবাজার। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৪০৯ কোটি টাকা, যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে ৬ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা এবং তার আগের সপ্তাহে কমে ৭ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ টানা তিন সপ্তাহের পতনে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে ডিএসই। বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ৬৬টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ২৭৬টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমার ফলে ডিএসইর সব সূচকও কমেছে। গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৭৯ দশমিক ১৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৮২ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬২ শতাংশ।
অপর দুটি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে ২১ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৪১ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আর গত সপ্তাহে ডিএসই শরিয়াহ সূচক কমেছে ১০ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ১৬ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে মূল্যসূচকের পতন হলেও বেড়েছে গড় লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪২১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৩৯৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ২৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক ৮১ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ১ হাজার ৯৭৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ২৮৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। মোট লেনদেন কমার কারণ, গত সপ্তাহের মঙ্গলবার আশুরা উপলক্ষে শেয়ারবাজারের লেনদেন বন্ধ ছিল। গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের মধ্যে ‘এ’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের অবদান দাঁড়িয়েছে ৮২ দশমিক ৪২ শতাংশ। এছাড়া মোট লেনদেনের ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ ছিল ‘বি’ গ্রুপের দখলে। মোট লেনদেনে ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের অবদান ১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। আর ‘এন’ গ্রুপের অবদান ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল টিউবসের শেয়ার। কোম্পানিটির ১০১ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জেএমআই সিরিঞ্জের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি টাকার, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ৫৯ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিকন ফার্মাসিউটিক্যাল। লেনদেনে এরপর রয়েছে- মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ, মুন্নু জুট স্টাফলার্স, স্টাইল ক্রাফট, ওয়াটা কেমিক্যালস, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, সিলকো ফার্মাসিউটিক্যাল এবং ইবনে সিনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।