Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৩৫ বছরেও এমপিওভুক্ত হয়নি

চন্দ্রঘোনা কেআরসি উচ্চ বিদ্যালয়

কবির হোসেন, কাপ্তাই (রাঙামাটি) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৩৫ বছর পরও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন রাঙামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা কেআরসি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকগণ। ফলে বিদ্যালয়ের ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার কেপিএম শিল্পএলাকা হিসাবে সুপরিচিত চন্দ্রঘোনা কেপিআরসি এলাকা। ১৯৫৩ সালের কর্ণফুলী পেপার মিলস লিঃ (কেপিএম) এবং পরর্বতী ১৯৬৭ সালের কর্ণফুলী রেয়ন মিলস (কেআরসি) প্রতিষ্ঠার পর এ দুই শিল্প কারখানার কর্মকর্তা, কর্মচারি ও শ্রমিকদের সন্তানের শিক্ষার জন্য গড়ে উঠে কেপিএম স্কুল এবং কেআরসি স্কুল। বাংলাদেশ কেমিক্যালস ইন্ড্রাস্ট্রিজ কর্পোরেশ (বিসিআইসির) নিয়ন্ত্রণে এই ২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগ ও বেতন-ভাতাসহ যাবতীয় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হতো।

২০০২ সালের ১৫ ডিসে¤¦র বিসিআইসির নিয়ন্ত্রাধীন কেআরসি মিল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে স্কুলের শিক্ষক- কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও বন্ধ হয়ে যায়।

১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২০০২ সালের আগে রাঙামাটি জেলার মধ্যে ফলাফলে ৩বার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের গৌরভ অর্জন করে। এ প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের বেতন বন্ধ হওয়ার পর হতে ঐতিহ্য হারিয়ে কোন রকমে পাঠদান অব্যাহত আছে। এ সংকটের কারণে ২০০২ সালের পর থেকে একে একে চাকরি ছেড়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে গেছেন শিক্ষকরা।

স্কুলের ছাত্র নাঈম, ফয়সাল বলেন, শিক্ষাবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে অনেক কিছুই করছেন, আমরা চাই আমাদের এ প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভুক্তকরে আমাদের শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিবেন।

কেআরসি স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুল আলম জানান, বর্তমানে ৬ জন মহিলা শিক্ষক ও ৪ জন পুরুষ শিক্ষক ৬ষ্ঠ হতে ১০ শ্রেণী পযর্ন্ত ৩শ’ ৫৪জন শিক্ষার্থীদেরকে পাঠদান করছেন। শিক্ষার্থীদের থেকে আদায়কৃত সামান্য টিউশন ফি দিয়ে শিক্ষকদের বেতন দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, শিক্ষকদের বেতন এতই কম যা দিয়ে শিক্ষকের পরিবারতো দূরের কথা নিজের খরচও মিটেনা। তিনি অতিদ্রæত কেআরসি স্কুলকে এমপিওভুক্ত করার জন্য সরকারের নিকট আকুল আবেদন জানান।

কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক এ স্কুল পরিচালনা কমিটির সাথে জড়িত আছেন। তিনি বলেন, এ মুহুর্তে কেআরসি উচ্চ বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত হওয়া খুবই জরুরি। না হলে অচিরেই বন্ধ যাবে এতিহ্যবাহী এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তিনি আরো বলেন, রাঙ্গামাটির জেলার এমপি দীপংকর তালুকদার এ স্কুলের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বছর, বছর অনুদান দিয়েছেন। স্কুলের পাঠদান যাতে ব্যাহত না হয় তার জন্য তিনি তার তহবিল হতে নগদ অনুদান দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

কাপ্তাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাদির আহমেদ জানান, অনেকটা স্বেচছাশ্রমে শিক্ষকরা শিক্ষাগতা করছেন। তাই এ স্কুলটি দ্রæত এমপিওভুক্ত হওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ