পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছাত্রদলের কাউন্সিলে আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি গভীর চক্রান্তের অংশ বলে বিএনপির দাবি। এটি ছাত্রদলের নেতৃত্ব নির্বাচনে সরকারের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ দাবি জানান। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আজ শুক্রবার বৈঠকে বসে কাউন্সিলের পরবর্তী বিস্তারিত জানাবেন। ছাত্রদলের সাবেক সহধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আমানউল্লাহর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিতাদেশ সম্পূর্ণরুপে অযৌক্তিক। কারণ আমানউল্লাহ অনুষ্ঠিতব্য কাউন্সিলে প্রতিযোগী ছিলেন না এবং প্রতিযোগিতার জন্য আবেদন করেননি কিংবা তিনি কাউন্সিলরও নন। সুতরাং কোনো বিচার বিশ্লেষণ ও যুক্তি তর্ক ছাড়া তার করা মামলার প্রেক্ষিতে ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিতের আদেশ দেয়া গভীর চক্রান্তমূলক।
তিনি বলেন, সরকারের কারসাজিতেই এহেন আদেশ প্রদান করা হয়েছে। ছাত্রদলের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে কাউন্সিলরদের মধ্যে যে উৎসাহ ও স্বত:স্ফুর্ততারস্ফুরণ সৃষ্টি হয়েছিল সেটিকে বানচাল করার জন্যই এই আদেশ সরকারের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ। আমরা বারবার গণবিরোধী ভোটার বিহীন সরকারের গণতন্ত্র হত্যা কার্যক্রমের বিষয়ে জনগণকে অবহিত করেছি।
রিজভী বলেন, আওয়ামী সরকারের হাত ধরেই এ দেশে বারবার গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করা হয়েছে। দেশ থেকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেশান্তরিত করা হয়েছে। এক ভয়ংকর একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের হিংস্র থাবায় রাষ্ট্র সমাজ থেকে গণতন্ত্রের শেষ নিশানাটুকু মুছে ফেলা হয়েছে। গণতন্ত্রের অবধারিত শর্তমত ও চিন্তার স্বাধীনতাকে সম্পূণরুপে হরণ করা হয়েছে। সুতরাং এই মধ্যরাতের নির্বাচনের সরকার কোনো প্রতিষ্ঠানেরই গণতান্ত্রিক চর্চাকে সহ্য করতে পারছেনা। এরই বর্ধিত প্রকাশ ঘটলো ছাত্রদলের কাউন্সিলের ওপর আদালতকে দিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারির মাধ্যমে।
তিনি আরো বলেন, সুষ্ঠু, সুন্দর ও গণতান্ত্রিক পন্থায় ছাত্রদলের নেতৃত্ব নির্বাচন নস্যাৎ করতেই সরকারের নির্দেশে এই আদেশ। এটি আওয়ামী সরকারের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির আরেকটি অধ্যায় হয়ে থাকবে। এবার রাখঢাক করে নয়, বরং প্রকাশ্যেই আওয়ামী সরকার আদালতকে দিয়ে তাদের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির চরিত্রটি আবারো উন্মোচিত করলো। এরা যে গণতন্ত্রের শত্রুপক্ষ সেটি এই ঘটনায় আবারো প্রমাণিত হলো। সরকার আদালতকে দিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারির মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিল বন্ধ করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিএনপি।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এসময় ছাত্রদলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও বিএনপির নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আজিজুল বারী হেলাল, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশিদ হাবিব সহ অনেক প্রার্থী কাউন্সিলর উপস্থিতছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।