পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সঠিক নিয়মে ডাম্পিং হচ্ছে না রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের বর্জ্য। বর্জ্যগুলোকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে মাত্র ৩০ গজের মধ্যে ফেলা হচ্ছে। যে কারণে হাসপাতালের বর্জ্য থেকে মশা মাছি পুনরায় হাসতালের মধ্যেই থেকে যাচ্ছে। বর্জ্যরে গন্ধে হাসপাতাল সড়ক দিয়ে পথচারি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ চলাচল করছে। রয়েছে হাসপাতালের সামনে অসংখ্য খাবারের হোটেল। রাজবাড়ী জেলার প্রায় পনের লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসা রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে প্রবেশ করতেই চোখে পরে একেবারে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনেই ফেলা হয়েছে হাসপাতালের ব্যবহৃত, সুচ, ব্যান্ডিচ, হ্যান্ডগেøাভসহ অসংখ্য রক্ষমাখা কাপড়। যেখানে মশা মাছি বাসা বেধেছে। এখানকার মশামাছি আবার হাসপাতালে থাকা রোগীর খাবারে গিয়েও বসছে। যে কারণে হাসপাতালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থেকেই যাচ্ছে। হাসপাতালের সামনে এমন ময়লার ভাগার তৈরি করে রাখায় দুর্গন্ধে বিপাকে পরছেন পথচারীরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশে সরকারী হাসপাতালগুলোতে বর্জ্য ফেলার জন্য লাল, আকাশী ও সাদা রংয়ের পাত্র ব্যবহার করার কথা থাকলেও রাজবাড়ীর সদর হাসপাতালে এমন পাত্র দেখা গেছে দুই একটি। ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে ময়লা আবর্জনা রাখা হচ্ছে প্লাস্টিকের গামলায়।
হাসপাতালে সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর স্বজন আছমা বেগম বলেন, আমার ছেলে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে গত তিন দিন ধরে চিকিৎসাধীন। সে এখন সুস্থ্য হওয়ার পথে। তার সাথে তিনদিন হাসপাতালে থেকে আমি নিজেই অসুস্থ্য হয়ে পরেছি। হাসপাতালেন গন্ধে সব সময় পেট ফুলে থাকে। এখন বাড়ি যেতে পারলেই ভালো।
রাজবাড়ী সদর হাসপাল এলাকার বাসিন্দা এ জে মিন্টু বলেন, সরকারি হাসপাতাল হিসেবে এখানে রোগীরা তেমন কোন সুযোগ সুবিধা পায় না। হাসপাতালের বাউন্ডারির মধ্যে দিনের পর দিন ময়লা ফেলে রাখা হয় কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার করে না। হাসপাতাল ঘেষে রয়েছে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ। এই প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার শিক্ষার্থী মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে।
এদিকে বেসরকারী হাসপাতালগুলোর সামনে পাত্রে রাখা বর্জ্য তুলে নিয়ে রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া সড়ক ঘেষে ফেলছে পৌর কর্তৃপক্ষ। কোন প্রকার নিয়ম না মেনে ময়লা ফেলায় দুর্গন্ধে আর বিভিন্ন রোগে অতিষ্ট হয়ে পরেছে ওই এলাকার বাসিন্দারা।
বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল মালিক সমিতির সভাপতি প্রদীপ্ত চক্তবর্তী কান্ত বলেন, রাজবাড়ির বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোর সামনে প্লাস্টিকের পাত্রে বর্জ ফেলতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন আমাদের বর্জ্য নিয়ে ডাম্পিং করছে।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. দীপক কুমার বিশ্বাস অভিযোগ স্বীকার করে জানান, বিভিন্ন সঙ্কট থাকার কারনে সঠিক নিয়মে হাসপাতালের বর্জ্য ডাম্পিং করা সম্ভব হচ্ছে না। জনবল সংকট রয়েছে যে কারণে হাসপাতালের বর্জ্য হাসপাতালেই রেখে দিতে হচ্ছে। তবে হাসপাতালটি ১শ’ শয্যা থেকে আড়াইশ শয্যায় উন্নীত করণের কাজ শেষ হলেই কাটবে ভোগান্তি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।