পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তাদের কর্মকান্ডে বিরক্তি প্রকাশ করে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙ্গে দিতে বলেন। অবশ্য এ বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দুই নেতার বিরুদ্ধে এতসব অভিযোগ ও বিতর্কের পরও সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি তারা। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে প্রকাশ্যে দুই কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মারামারিতে জড়ান। এতে দুজনই আহত হন। ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এদিকে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গণভবনে প্রবেশের পাস বাতিল করা হয়েছে। সূত্রমতে, এতোদিন গণভবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্থায়ী অনুমতি ছিল। যেকোনো সময় চাইলে তারা গণভবনে প্রবেশ করতে পারতেন। ফলে গণভবনে প্রবেশের জন্য তাদের অস্থায়ী পাস নিতে হতো না। এই সুবিধা বাতিল করায় এখন থেকে গণভবনে ঢুকতে হলে তাদের অন্যান্যদের মতো আলাদা অস্থায়ী পাস নিতে হবে।
চলতি বছরের মে মাসে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশের পর থেকে সংগঠনটির বিবাদ প্রকাশ্যে আসে। কমিটিতে অছাত্র, বিবাহিত, মাদকের সাথে জড়িতদের পদ দেয়ায় বিক্ষোভ শুরু করে পদ বঞ্চিতরা। এরপর একে একে প্রকাশ হতে থাকে সব অযোগ্যতার খবর। সংগঠন পরিচালনায় অযোগ্যতা, অদক্ষতার অভিযোগ উঠে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হন প্রধানমন্ত্রী। গত শনিবার আওয়ামীলীগের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের এক সভায় ছাত্রলীগের কর্মকান্ডে বিরক্তি প্রকাশ করে কমিটি ভেঙ্গে দিতে বলেন তিনি। গত মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সভাপতির গাড়ীতে উঠাকে কেন্দ্র করে আবার নিজেদের মধ্যে মারামারিতে জড়ান সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ ও তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির। এরমধ্যে বিদ্যুৎকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আর আহত অবস্থায় জহিরকে সভাপতি তার গাড়ীতে করে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসেন। মারামারির সময় দু নেতা একে অপরকে জামাত-শিবির বলে গালি দেন।
এদিকে ঘটনাস্থলে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এক সংবাদিকের হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে জোর করে ভিড়িও মুছে দেন আরেক সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এসময় সাংবাদিককে জোর করে সভাপতির গাড়ীতে উঠানো হয়। এ ঘটনায় পরে দুঃখপ্রকাশ করেন রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও ডাকসুতে ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিত তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘এত বিতর্কের পরও ছাত্রলীগ এখনও শৃঙ্খলায় ফেরাতে পারেননি সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। গতকাল দুই সহ-সভাপতি মধুর ক্যান্টিনে আবার মারামারি করেছে। এটা কি ধরণের শৃঙ্খলা?’
ছাত্রলীগের সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ও ‘বিতর্কমুক্ত ছাত্রলীগ’ এর মুখপাত্র রাকিব হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, ছাত্রলীগ সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক কোন শিক্ষা গ্রহণ করেননি। গতকাল মধুতে আবার মারামারির ঘটনা ঘটেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবন্থা গ্রহণ করা হয়নি। এরমাধ্যমে এটাই প্রমাণ হয় যে ছাত্রলীগের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে গেছে। এখন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে আছেন। তিনিই পারেন আবার আমাদের প্রাণের সংগঠনকে তার আসল রূপে ফিরিয়ে আনতে।’
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ইনকিলাবকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন আমাদের মায়ের মত। রাগ করার পর মায়ের যেরকম সন্তানের উপর থেকে আবার আস্তে আস্তে রাগ কমে যায় আমাদের উপরও তার রাগ কমতেছে। মঙ্গলবারের মধুর ক্যান্টিনে মারামারির বিষয়ে তিনি বলেন, কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীর কারণে বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে। তারা দুজনের আগে থেকে ভালো সম্পর্ক ছিলো কিন্তু ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে।’ ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।